হলমার্ক নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের মতামত রাবিশ বোগাস : অর্থমন্ত্রী মুহিত
লিখেছেন লিখেছেন দিকভ্রান্ত নাবিক ৩০ মার্চ, ২০১৩, ১০:১০:১৪ সকাল
জালিয়াতির মাধ্যমে হলমার্ক সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাত্ নিয়ে বুদ্ধিজীবী ও ব্যাংকারদের সাম্প্রতিক মতামতকে ‘রাবিশ ও বোগাস’ বলে মন্তব্য করেছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী গতকাল সকালে সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেটে রূপালী ব্যাংকের ৫১৩তম শাখা উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেন। বর্তমান সময়ে দেশের অর্থনীতি ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো সময় অতিক্রম করছে বলে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতে ব্যাংকিং খাতে জালিয়াতি হয়। বাংলাদেশেও হয়েছে। তবে এটা ভয়ঙ্কর তেমন কিছু নয়।
অর্থমন্ত্রী জামায়াত-শিবিরকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে বলেন, হেফাজতে ইসলাম জামায়াত-শিবিরের মতো সন্ত্রাসী ও জঙ্গি পথে অগ্রসর হচ্ছে। তাদের কার্যকলাপ থেকে জামায়াত-শিবির ফায়দা নিচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী এ সময় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে জামায়াত-শিবিরের আশ্রয়দাতা উল্লেখ করে বলেন, তিনি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করতেই দেশে নৈরাজ্য চালাচ্ছেন। তার এসব কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হয়—এটা সন্ত্রাসের নেতৃত্ব ছাড়া আর কিছু নয়।
সোনালী ব্যাংকে দেশের বড় জালিয়াতি হয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, দুষ্টু প্রতিষ্ঠান হলমার্ক জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা আত্মসাত্ করেছে। হলমার্কের এমডি জেলে রয়েছে, তার শাস্তি হবেই।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে বুদ্ধিজীবী ও ব্যাংকাররা হৈচৈ শুরু করেছেন। তাদের চরিত্রই হৈচৈ করা। যারা এ চিত্কার-চেঁচামিচি করেন, তারা দেশের মঙ্গল চান না, এরা দেশের শত্রু।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ও আর্থিক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমলেন্দু মুখার্জী, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফরিদ আহমদ প্রমুখ।
রূপালী ব্যাংকের ৫১৩তম ও সিলেটে ৪৫তম এই শাখাটি উদ্বোধন করা হয় নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকায়। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য জগেজ্যাতি তালুকদারের স্ত্রী সুবিতা রানী ধরকে রূপালী ব্যাংকের উদ্বোধন হওয়া মদিনা মার্কেট শাখার মার্কেটিং অফিসার হিসেবে নিয়োগপত্র প্রদান করেন।
পরে মন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি সব সময়ই হয়ে থাকে। মোগল আমল, ব্রিটিশ আমলেও কম-বেশি দুর্নীতি হয়েছে। তবে সেবার পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির হারও বেড়েছে।
দুদকের সহযোগিতায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক খান মোহাম্মদ বিলাল। বক্তৃতা করেন দুদক মহাপরিচালক কামরুল ইসলাম মোল্লা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী এমপি, শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, দুদক সিলেটের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমদ, সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনসহ দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রশাসনের নেতারা।
বিষয়: বিবিধ
১২৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন