বিএনপি এর মগজশুন্যতার বয়ান
লিখেছেন লিখেছেন দিকভ্রান্ত নাবিক ১৩ মার্চ, ২০১৩, ০৫:০৫:৪১ সকাল
কি অসাধারণ এক বিশ্লেষণ। ইতিহাসের চর্চা আর মূল্যায়ন ছাড়া যে কোনও আদর্শকে টিকিয়ে রাখা যায়না তা মাহমুদ উর রাহমান সার অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন । বি এন পি এর গরু ছাগলদের বলি এখনও সময় আছে, ইতিহাস পড়ো, কিভাবে ইতিহাস থেকে শিক্ষা পাওয়া যায় জানতে পারবি। ভার্সিটি জীবনে ছাত্র দলের কুত্তা গুলোকে অনেক কাছে থেকে দেখেছি। টাকা পইসা মেরে কেটে খাওয়া, মদ গাজার আসর বসানো , সুন্দরী মেয়েদের পিছনে ঘুর ঘুর করা ছাড়া ওদের কোনও কাজ ছিলনা। ছাত্রদের মাঝে আদর্শ হয়ে উঠার মত একজন ও চাত্রদলে নেই। নিজের ভাণ্ডার গোছান ছাড়া ওঁরা আর কিছুই পারেনা। আর তাই হরতালে ওদের কোনও খবর ও পাওয়া যায়না। বি এন পি এর নেতাদের কেউ কোনও আদর্শ দ্বারা চালিত না/ সেটা তাঁদের কথাবার্তার ধরন দেখলে টের পাওয়া যায়। জিয়াউর রাহমানের আদর্শের কথা সবার মুখে শোনা গেলেও কি যে আদর্শ জিয়াউর রহমান ধারণ করতেন তা কেউ বলতে পারেনা। কি আর বলব আদর্শ শব্দটির অর্থই বিএনপি ছাগল গুলো জানেনা। চ্যালেঞ্জ করতে পারি আপনি একজন ও কলামিস্ট ও পাবেন না যে পুরোপুরি বিএনপি ব্যাক গ্রাউন্ড থেকে এসেছে। আমার দেশ পত্রিকার কলামিস্টের অধিকাংশই জামায়াত মাইন্ডের । আমার এই কথাটি যদি আপনার অবিশ্বাস হয় বুজবেন আপনি ও বিএনপি কর্মীদের মত বলদ টাইপের। নেতাদের কিচ্ছু বললাম না। ওঁরা তো জনগণকে শুধু ভাঙিয়েই খায়।
আরও একটা কথা বলি যে সব নেতারা এখনও তারেকের মত একজন চর- বাটপার কে বিএনপি এর ভবিষ্যৎ হর্তা - কর্তা হিসেবে প্রচার করছেন তাঁদের বলি আপনারা বোকার রাজ্যে বাস করছেন। তারেক তো কুলাঙ্গার হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছেন। মহান পিতার ভাব- মূর্তি ধ্বংস করে বিএনপি এর বারটা বাজিয়েছে এই তারেক জিয়া। খাম্বার ব্যবসা ওকে কে করতে বলেছিল ? আদম ব্যাপারী হতে কে বলেছিল ? মানলাম কিছু হইত মিডিয়া র বাড়াবাড়ি । কিন্তু মিডিয়া এই সুযোগ পেল কিভাবে? এমনি এমনি তো আর পায়নি!!!! সিঙ্গাপুর থেকে ১৩ কোটি ইউএস ডলার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই টাকা কি তারেক জিয়া রা গাছ এর পাতা দিয়ে বানিয়েছিলেন । ছাত্র দলের নেতা -কর্মী দের মাঝে যে মাগিবাজি আর বিলাসিতার যে মহা উৎসব ছাত্র সমাজ প্রত্যক্ষ করেছে তা মূলত তারেক জিয়ার ব্যবস্থাপনা এবং উৎসাহেই জন্মলাভ করেছিল। শুনতে খারাপ লাগলেও আমার কিছু করার নেই। সত্য কথা শুনতে একটু খারাপ লাগে । তবে শুনতে খারাপ লাগলেও অনেক কিছু শিক্ষণীয় তা আবাল রা ছাড়া সবাই বুজবেন।
একজন মা হিসেবে খালেদা জিয়া চরম ব্যর্থতা র পরিচয় দিয়েছেন। সন্তানদেরকে মানুষ হিসেবে গড়তে পারেননি। তাঁদের যে পরিচয় আজ মানুষ এর মুখে মুখে তার পুরো দায়ভার আপনার। আপনি নাকি আপোষহীন ? তবে সন্তানদের এই জঘন্য কার্যকলাপের সময় কি রঙ্গিন চশমা পরে ছিলেন? সন্তানদের অন্যায় আর জঘন্য কর্ম গুলোকে সহ্য করে আপনি কোটি কোটি মানুষের জীবন কে বিপন্ন করে দিয়েছিলেন। এসব কথা কোনদিন হয়তো স্বীকার করবেন না । কিন্তু বাস্তবতা তো সে কথায় বলে। আজকে যখন দেখেন বিএনপি এর হরতালে পিকেটিং করার লোক হয়না তখন কি বুঝতে পারেন না যে আপনার সন্তানেরা সারা দেশ সফর করে করে কিছু ছর বাটপারের জন্ম দিয়েছিল যারা কোনদিনও রাস্তায় নেমে বিপদের মুখ মুখোমুখি হবেনা। মরে গেলে হাওয়া ভবনের মক্ষী রানীদের দেহ তো আর ভোগ করা যাবেনা। নায়িকা পূর্ণিমার রসাল- টইটম্বুর দুধের নহরে যারা সাঁতার কেটেছিল, যৌবন লীলায় যারা কামসূত্রের প্রয়োগ ঘটানোতে পারঙ্গম তাঁদের তারা আন্দোলন সফল করার স্বপ্ন আপনি হাজার বছর ধরে দেখুন। কোনদিনও পূর্ণ হবেনা।
তিন- তিন বারের সরকারী দল- এই কথাটি বিএনপি ছাগলগুলো দেখি বলতে বলতে পাগল হয়ে যাচ্ছে। কই একটা পত্রিকা তো আজও দাড় করাতে পারলিনা। গণমাধ্যমে সাহসী ভুমিকাঃ রাখতে পারার মত নিবেদিত এক ডজন গণমাধ্যম কর্মীও ও তো তোরা তৈরি করতে পারলিনা। একজন খ্যাতিমান গণমাধ্যম ব্যক্তির নাম বলতে পারবেন যে বিএনপি সমর্থন করে ? মাহমুদুর রহমানের নাম যারা বলতে চাচ্ছেন তাঁদের বলি আবার বলদের ম পরিচয় দিলেন। মাহমুদুর রহমান তো বাইরের জগতের মানুষ। তিনি তো ধূমকেতুর মতই উদয় হয়েছেন।
মাত্র ৮ থেকে ১০% সমর্থন নিয়ে জামায়াত লঙ্কা- কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে। বিশাল শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষ কে তারা যেভাবে চ্যালেঞ্জ করছে তা মহাকাব্বিক রূপে প্রতীয়মান । ফেসবুক এ শিবিরের প্রচারণা আর কার্যক্রম দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যাবার মত অবস্থা। যেখানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিভিন্ন পেজ ৫০০০ লাইক পেতে হাঁপিয়ে উঠছে সেখানে শিবির সমর্থিত সাইট গুলো রাতারাতি ৫০০০০০-৬০০০০০ লাইক পেয়ে যাচ্ছে। শুধু এক বাঁশের কেল্লা নামক পেজ দিয়েই বিপ্লব ঘটে গেছে। এছাড়া আরও ডজন খানেক পেজ আছে যা দিয়ে শিবির কর্মীরা প্রতিনিয়ত সরকারের বিশাল গণমাধ্যম কে টেক্কা দিয়ে যাচ্ছে। গ্রাম গঞ্জের আধুনিক দুনিয়ার তথ্য প্রযুক্তির নাগালের বাইরে থাকা মানুষ গুলো এখন ফেচবুকের শরণাপন্ন হচ্ছেন খবর সংগ্রহের জন্য। বাশেরকেল্লার কথা শুনেনি এমন একজন জামায়াত কর্মী পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয়না।
ফেচবুক ছাড়াও ব্লগ, টুইটার প্রভৃতি সাইট গুলতে শিবিরের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। অনেক ক্ষেত্রে বাম বা আওয়ামিদেরকে তারা ধরাশায়ী করে ফেলছে। বিশ্বাস না হলে চেক করে দেখতে পারেন। বিএনপি কিংবা চাত্রদলের একজনকেও কোনও ব্লগে পাওয়া যাবেনা যারা জিয়াউর রহমানের অবদান ও আদর্শের প্রচার করছেন । একসময় দেখবেন জিয়াউর রহমান হারিয়ে যাবে। আর বিএনপি তখন এমনি হারিয়ে যাবে।
যায় হোক অনেকেই আমার কথায় কষ্ট পাবেন। কিন্তু আপনাদের খারাপ লাগা চিন্তা করে সত্যকে মাটি ছাপা দিতে পারলাম না । যারা বলবেন আমি অন্ধভাবে শুধু বিএনপি এর দোষ দিয়েছি আওয়ামী লীগ এর দোষ দেয়নি তাঁদের কে বলি কখনও অন্যায় কে দিয়ে অন্য কোনও অন্যায় ঢাকার চেষ্টা করবেন না। তাতে দলের মুখ রক্ষা হলেও দেশের বিন্দুমাত্র উপকার হয়না । অথচ আমাদের আসল লক্ষই তো দেশের উন্নয়ন। যদি আপনি উদাহরণ হিসেবে শেয়ার মার্কেটের দুর্নীতি কথা বলেন তবে আমি বলি এটা একটি চরম অন্যায়। দক্ষিণ এশিয়ার এত বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি আর হয়নি। কিন্তু তাতে কি তারেকের চুরি- বাটপারি জায়েজ হয়ে গেল। এই ধরনের মানুশিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন। দলের যেমন উপকার হবে তার চেয়ে বেশী উপকার হবে দেশের।
বিষয়: রাজনীতি
২৩৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন