মখাদের ফিরিস্তি কেউ আর বিশ্বাস করেনা
লিখেছেন লিখেছেন দিকভ্রান্ত নাবিক ০৫ মার্চ, ২০১৩, ০৭:২৮:২৯ সন্ধ্যা
আজ মখা রাজাকার সংসদে জামাত-শিবিরের ধংসজজ্ঞের ফিরিস্তি তুলে ধরেছে , অথচ ওই রাজাকারের বিরুদ্ধে সারাদেশে ক্ষোভ আর বঞ্চনার ঝড় বয়ে চলেছে। মিডিয়া গুলো মানুবিকতা আর দায়িত্ববোধের মাথা খেয়ে উঠে পড়ে লেগেছে সরকারের কুকীর্তি সমূহ ধামাচাপা দেয়ার জন্য।
১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার দাবিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে তখন তুমুল আন্দোলন চলছে। আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি এবং সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর এনডিপি তখন একই প্লাটফর্মে। গাড়ি ভাংচুর, বাসে আগুন দিয়ে যাত্রী হত্যা, হরতাল, অবরোধ, সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, রেললাইনের পাটাতন উৎপাটন ছিল তখন আওয়ামী লীগের নিত্যদিনের কর্ম। মখা আলামগীর তখন সরকারী চাকুরীজীবী হয়ে রাস্তায় জনতার মঞ্চ বানিয়ে বিরোধীদলের আন্দোলনে যোগ দিয়ে দেশ ধংসের কাজে লিপ্ত হয়েছিলেন - সেই সব কি উনার মনে আছে? তখন তার এবং তার দলের আন্দোলনে দেশের কত হাজার কোটি টাকার সম্পদ ধংস হয়েছিল তার বিবরণ দিক উনি। আর এখন ক্ষমতায় থাকাকালে শেয়ার মার্কেট, হলমার্ক, ডেস্টিনি, আংশিক পদ্মা সেতুর টাকা মেরে দেশের কত মানুষকে পথে বসিয়ে দেশের ধংস ডেকে এনেছেন তারও বিবরণ দিন। যতসব লুটেরা দুমুখো বদমাশের দল।
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশটির যেখানে যে দিকে যত দূর চোখ যায় এখন কেবল লাশ লাশ আর লাশ। রক্ত রক্ত আর রক্ত। বাংলাদেশ এখন আর কোনো মানবিক ভূখণ্ড নয়। বাংলাদেশ এখন এক বধ্যভূমি। বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনা সরকারের কসাইখানা। বাংলাদেশ এখন লাশের পাহাড়। বাংলাদেশ মানে এখন রক্তের বীভৎস দরিয়া। আর স্বজন হারানো মানুষের বক্ষ-ফাটা আহাজারি, আর্তনাদ আর হাহাকারকে পদপিষ্ট করে, সেই লাশ আর থৈ থৈ রক্তের বিভীষিকার ওপর চলছে শকুনিদের পৈশাচিক উল্লাস।
প্রতিটি মানুষের মুখে একই কথা, দেশের অবস্থা খুবই খারাপ। স্বাধীনতার পরে জন্ম নেওয়া কেউ এমন অনিশ্চয়তা ও অরাজক পরিস্থিতি কোন দিন দেখেনি। তবুও বোকার বাক্স (টেলিভিশন)গুলো যেন এনিয়ে কোন মাথা ঘামাতেই নারাজ। সরকার ও সংশ্লিষ্টদের বেপরোয়া-ভাব দূর করতে যেখানে তাদেরই ভূমিকা রাখার কথা ছিল সেখানে তারা যেন বরং বাস্তব অবস্থা ধামাচাপা দিতেই মরিয়া।
বিষয়: বিবিধ
৯৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন