বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর-সাদকার মাধ্যমে চিকিৎসা !!!
লিখেছেন লিখেছেন সাইদ ২৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৪৫:১৪ সকাল
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।আসসালামুআলাইকুম।
তার নাম ডাঃ ঈসা মারযুকী,সে শাম দেশের অধিবাসী ছিল। দামেস্কের এক হাসপাতালে চাকুরী করত। হটাৎ করে একদিন তার শরীর খারাপ হয়ে গেল,তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।চেকআপের পর জানাগেলো সে বিষাক্ত ক্যানসার রোগে আক্রান্ত।ডাক্তারগণ তার চিকিৎসা শুরু করলো,এবং তাদের একটা টিম যথেষ্ঠ মনোযোগসহ তার চিকিৎসা করতে লাগলো।
তার মেডিকেল রিপোর্ট তাদের সামনেই ছিল,দিনদিন রোগ বৃদ্ধি পেতে লাগলো।বোর্ডের রিপোর্ট আসলো যে সে মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত পৃথিবীর আলো-বাতাস গ্রহণ করতে পারবে।ডাঃ ঈসা যুবক মানুষ ছিল এমনকি তখনোও সে বিয়ে করে নাই।বিয়ের প্রস্তাব চলছিল,তখন তার প্রস্তাব কৃতাকে লোকেরা বললোঃ যে ,তোমার বিয়ের প্রস্তাব ভেঙ্গে দেওয়া উচিৎ,কেননা তোমার হবু স্বামী ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত;কিন্তু সে তা কঠোরভাবে প্রত্যাখান করলো।এদিকে ডাঃ ঈসা রাসুল (সাঃ) এর একটি হাদীস পড়েছিল যেখানে বর্নিতঃ হয়েছে "সাদকার মাধ্যমে তোমরা রোগীদের চিকিৎসা কর "
একদিন সে একেবারেই নৈরাশ্য অবস্থায় ছিল। হটাত তার এ হাদীসটি স্বরণ হলো। সে এ হাদীসটি নিয়ে চিন্তা করতে লাগলো।হটাত সে মাথা উঠিয়ে বললোঃ এ হাদীসটি কি সহীহ?যদি সহীহ হয় তাহলে তো আমার রোগের চিকিৎসা সদকার মাধ্যমে হওয়া উচিত,কেননা পৃথিবীর বহু চিকিৎসাইতো করা হলো।
একটি পরিবার সম্পর্কে তার জানা ছিল,যাদের গৃহকর্তা মৃত্যবরণ করেছিল,আর তারা খুব মানবেতর জীবন-যাপন করতে ছিল।চিকিৎসা করতে গিয়ে তার যা পুঁজি ছিল তা প্রায়ই খরচ হয়ে গিয়েছিল।এরপরও যতটুকু ছিল তা সে নিজের এক পরিচিত বন্ধুর মাধ্যমে ঐ বাড়ীতে পৌছে দিল এবং সবকিছু খুলে বললোঃ যে এ সাদকার মাধ্যমে সে রোগ থেকে সুস্থ্যতা লাভের আশা রাখে।অতএব তার সুস্থ্যতার জন্য দু 'আ করুন।সত্যিই রাসুলের (সাঃ)এ বাণীর প্রতিক্রিয়া সত্যে পরিনত হলো,সে আস্তে আস্তে সুস্থতা লাভ করতে লাগলো।
কিছুদিন পর চিকিৎসকদের বোর্ডের সামনে সে আবারও আসলো। চিকিৎসারত ডাক্তারগণ হয়রান হয়ে গেল যে রিপোর্ট তার পূর্ণ সুস্থতার কথা ঘোষণা করছে।সে বোর্ডকে বললোঃ যে আমি রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা করেছি।তার শরীর তখন সম্পূর্ণ সুস্থ্য ছিল।সে ডাক্তারগণকে বললঃ নিঃসন্দেহে আমি ভাগ্যের প্রতি বিশ্বাস রাখি,তবে এর অর্থ এও নয় যে বাহ্যিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা যাবে না এবং অসুস্থ অবস্থায় ডাক্তারের স্বরণাপন্ন হওয়া যাবেনা।তবে নিঃসন্দেহে রাসুলের (সাঃ) এর হাদীস বিশুদ্ব এবং সন্দেহাতীত কথা যে এমন এক মহান সত্ত্বা রয়েছেন যিনি কোনো ঔষধ ব্যতীতই রোগীকে সুস্থ্য করতে পারেন।
(হাদীসঃ হাসান,সহীহুল জমে -৩৩৫৮,আবু দাউদ ফী মারাসীল -১০৫,মাজমাউয যাওযায়েদ -৩/৬৩)
আল্লাহ হাফেজ
বিষয়: বিবিধ
১৮৯৬ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অন্যকে সুস্থ করা তো দুরের কথা, অসুখে তিনি নিজেই ধরাশায়ি হয়েছেন, হাহা,
হাহাহা............
Narrated ‘Aisha: The Prophet in his ailment in which he died, used to say, “O ‘Aisha! I still feel the pain caused by the food I ate at Khaibar, and at this time, I feel as if my aorta is being cut from that poison.” (Sahih al-Bukhari, Volume 5, Book 59, Number 713)
The messenger of God said during the illness from which he died - the mother of Bishr had come in to visit him – “Umm Bishr, at this very moment I feel my aorta being severed because of the food I ate with your son at Khaybar.” (The History of Al-Tabari: Volume VIII, p. 124)
The apostle of Allah lived after this three years till in consequence of his pain he passed away. During his illness he used to say, “I did not cease to find the effect of the (poisoned) morsel, I took at Khaibar and I suffered several times (from its effect) but now I feel the hour has come of the cutting of my jugular vein.” (Ibn Sa’d, Kitab Al-Tabaqat al-Kabir, Volume II, pp. 251-252)
সাদগাতে কাম হয় নাই?
মন্তব্য করতে লগইন করুন