বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে আর বাকশালের জন্য নিন্দিত হতে হবে না হয়তো !!!
লিখেছেন লিখেছেন সাইদ ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৬:২৮:৪৭ সকাল
আল্লাহর কাছে হাজার শোকর যে ১৯৭২-১৯৭৫ সালের বাকশাল দেখার দূর্ভাগ্য আমার হয়নি।আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের গল্প এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের গুনাবলী শোনার অনেক সুযোগ আমার জীবনে হয়েছে।যুদ্ধকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা ছিলো তুঙ্গে।তার প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি ছিলো আপামর জনসাধারণের মনে।তাকে ভালোবাসতো না এই রকম মানুষের সংখ্যা ছিলো খুবই নগন্য।কিন্তু ভাগ্যর নির্মম পরিহাস যে কিছু চাটুকার কিংবা সুবিধাবাদীদের কারণে একটিমাত্র বড় ভুলের কারণে তাকে নির্মম ভাবে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়।বাকশাল নামক এক ভুলের খেসারত তাকে দিতে হয় নির্মম নিষ্ঠুর বিদায়ের মাধ্যমে।অনেক মানুষের মনে স্বাধীনতার সময়ে তার অবদানের কথা ঢাকা পড়ে যায় বাকশালের অভিযগে।স্বাধীন দেশে বাকশালী নামে নিজ ভাইদের অত্যাচারের কথা অনেকই মেনে নিতে পারেনি।তাই অনেকের মাঝে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নন্দিত হতে পারেননি আজও।
বঙ্গবন্ধুর তনয়া গনতন্রের মানস কন্যার যে এইগুলো জানার এবং বোঝার কথা না তাও না।সন্দেহ নেই তিনি সুযোগ্য নেতার যোগ্য কন্যা।পিতাকে সবার মাঝে নন্দিত করার জন্য সবারই একটা সহজাত প্রচেষ্টা থাকে।আইন তৈরী করে কাউকে সন্মান জানতে বাধ্য করা যায়।বঙ্গবন্ধুকে সন্মান জানাতে আইনত আজ সবাই বাধ্য।আইন এর মাধ্যমে সবার ঘরে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙানো বাধ্য করা যেতে পারে।দেশের সব প্রতিষ্ঠানের নামের আগে বঙ্গবন্ধু নাম দিয়ে নাম করণ করা যেতে পারে।আইন করে বঙ্গবন্ধুর ছবিকে কুর্নিশ করতে বাধ্য করা যেতে পারে।কিন্তু আইন করে কি বাকশালের কথা ভুলিয়ে দেওয়া যেতে পারে?আইন করে মানুষের মনের স্মৃতিকে কি ভুলিয়ে দেওয়া যেতে পারে?তাই যতই আইন করা হোক না কেনো দেশের অনেক মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধুর বাকশালী শাসন মনে থাকবেই।স্বাধীনতার জন্য তিনি যুগ যুগ ধরে যেমন হবেন নন্দিত ঠিক বাকশালের জন্যও তিনি যুগ যুগ ধরে হতে থাকবেন নিন্দিত।
গনতন্রের মানস কন্যা হয়তো আজকে সেই সত্যটা উপলদ্ধি করতে পারছেন।ভবিষ্যতে আর যাতে বঙ্গবন্ধুকে বাকশালের জন্য নিন্দিত হতে না হয় সেইজন্য গণতন্ত্রের মোড়লে একটা নজিরবিহীন নির্বাচন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন।আজকে অনেকেই বলতে শুরু করেছে বর্তমানের গণতান্ত্রিক সরকার ১৯৭২-১৯৭৫ সালের শাসন আমলকেও হার মানাতে চলছে।ভবিষ্যতে হয়তো বর্তমানের নতুন মোড়কের গনতন্রের আড়ালে হারিয়ে যাবে ৭২-৭৫ সালের বাকশালী শাসন।ইতিহাসে জায়গা করে নিবে বর্তমানের শাসন আমল।চিরদিনের জন্য বাংলাদেশীদের মন থেকে হারিয়ে যাবে ৭২-৭৫ সালের বাকশালী শাসন।পিতার কলঙ্ক মোচনের জন্য কন্যার এই ত্যাগ ইতিহাসে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হব।ইশ! পিতার প্রতি এইরকম ত্যাগ যদি আমরা সবাই দেখাতে পারতাম তবে কতই না ----হতো।
বিষয়: বিবিধ
২২১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন