দেশের অস্তিত্বের প্রশ্নে আওয়ামী শোষনের বিরুদ্ধে আজকে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের প্রয়োজনে নৈতিক দায়িত্ব!!!

লিখেছেন লিখেছেন সাইদ ২৭ নভেম্বর, ২০১৩, ১২:৪৪:৩০ দুপুর

আজকে আওয়ামি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সময়ের প্রয়োজনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।আমরা জানি বিএনপি দুর্নীতিবাজ, এই বিএনপি যদি কোন মতে ক্ষমতায় যায় সে গত পাচ বছরে আওয়ামি লিগ যে লুটপাট করছে তার থেকে বেশি লুটপাট করার চেষ্টা করবে হয়তো ।কে না জানে, তারেক জিয়ার বন্ধুর একাউন্টে যে ২০ কোটি টাকা পাওয়া গ্যাছে যার দায় থেকে মার্কিন সমঝোতায় তাকে মুক্তি দেয়া হইছে তা তারেক এর দুর্নীতির টাকা।কিন্তু, তার পরেও জনগণ আওয়ামি দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়।এর ফলে যদি বিএনপির আর একটা অপশাসন আসে তাহলেও।

বাংলাদেশের বিগত ২০ বছরের যে মাক্রইকনমিক স্টেবিলিটি এবং প্রগ্রেস তা সম্পূর্ণ জনগণ এর হাতে গড়া এবং তাতে রাষ্ট্রের এবং সরকারদের অবদান তো নাইই বরং বলতে গেলে রাষ্ট্রীয় লুটপাট এবং সরকার এর রেডটেপ এবং সকল বাধা উপেক্ষা করে মানুষকে এই প্রগতির অর্জন করতে হইছে এবং রাষ্ট্রীয় বাধার কারণে যতদুর তার অর্জন করার কথা তার ২৫% ও সে অর্জন করে নাই।

তবুও যতদুর প্রগতি হইছে তার একটা ইম্পর্টান্ট এলিমেন্ট ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর হাতে একটা মোটামুটি নিরপেক্ষ নির্বাচন।এ কথা অনস্বীকার্য যে বিগত ২০ বছরে বাংলাদেশের প্রতিটা সরকার তার টার্মস পার করছে বা করতে পারছে কারণ তাদের লেজিটিমেসি নিয়ে কোনো প্রশ্ন কেও করতে পারেনাই। তুললেও টা ধোপে টিকে নাই।সরকার গুলোর স্টেবিলিটি থাকার কারণে, মানুষ আগাইতে পারছে। কারণ, সরকারী বিরোধী আন্দোলন মানুষের জীবন কে মাত্রাতিরিক্ত ভাবে ডিজরাপট করে নাই।করলেও সেই ডিজরপসন সহনশীল মাত্রায় ছিল।

প্রতিটি সরকারের আমলে অনেক হরতাল হলেও, সেই হরতাল গুলোতেও মানুষের জীবন আগাইছে, বিজনেস তার মত রুটিন এডজাস্ট করে নিচে, প্রশাসন চলছে-বটম লাইন হইলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার দ্বারা একটা গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে আসা একটা নির্বাচন এবং ক্ষমতার মেয়াদ কে কোনো বিরোধীদল চ্যালেঞ্জ করে কোন গণ আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারে নাই। এইটা বাংলাদেশ রাষ্ট্র কে একটা স্টেবিলিটি দিছে। এবং ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পাচ্ছি সেই ভাবে নির্বাচন না হওয়ার যে প্লান আওয়ামি লিগ করছে তাতে রাষ্ট্র কিভাবে অস্থিতিশিল হচ্ছে।

আমাদের উভয় দলের কাঠামো,চরিত্র এবং কার্যকলাপ দুর্বৃত্তায়িত এবং দুর্নীতির কার্যক্রমের জন্যে মাক্সিমাইজড।ফলে পাচ বছরে তারা উভয়েই, রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে তাদের গুন্ডাবাজি এবং লুটপাট এর মাধ্যমে একটা কাঠামো সৃষ্টি করে।যেই কাঠামোতে পুরো সিস্টেম এর উপর তাদের একচ্ছত্র দখল থাকে।এই ধারায়, আওয়ামী লিগ এর বিগত পাচ বছরের সরকার স্বাধীনতার পর সব চেয়ে শক্তিশালী সরকার সৃষ্টি করেছে।মিডিয়া সম্পূর্ণ তার দখলে, প্রশাসন সম্পূর্ণ তার দখলে এবং আওয়ামী লিগ এর সাংগঠনিক শক্তি সেন্ট্রাল কমিটি থেকে শুরু করে থানা লেভেলে গিয়ে প্রায় পাচ থেকে ছয়টা লেভেলে ছড়িয়ে আছে। ফলে, এই পাচ বছরে দুর্বৃত্তায়ন সত্যিকার অর্থেই গ্রাসরুট লেভেলে পৌছেছে।এরা যদি আরও পাচ বছর অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বিরাজ করার সুযোগ পায় তার ফলাফল কি হবে সেই ভয় থেকে জনগণ এর নির্বিবাদী অংশ এখন অত্যন্ত সংকিত এবং ইনটিমিডেটেড ফিল করতাছে।

বিগত পাচ বছরে দুর্বৃত্তায়নের যে স্ট্রাকচার দাড়াইছে সেই স্ট্রাকচারটা ভাঙ্গা ইম্পর্টেন্ট।বিএনপির রাজপুত্র আবার এসে জোরেসরে উনাদের হারানো রাজত্বের সম্পদ ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে।এবং এই সময়েই জনগন একটু হাফ ছেড়ে বাচতে পারবে।কারন, দুই দল এর দেশ কে লুটপাট করার যে দ্বন্দ তাতেই কিছুটা চেক অ্যান্ড ব্যালান্স হয়।রাস্ট্রের আর কোন প্রতিসষ্ঠান নাই যে সরকার এর দুর্নীতির চেক অ্যান্ড ব্যালান্স করতে পারে।দুর্নীতির চেক এন্ড ব্যালান্স করার জন্যে এই প্যাটার্ন টাকে ভাঙ্গা- বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষার একটা বড় প্রশ্ন।

এইটা দেশের বেশীর ভাগ মানুষই বোঝে।এর মাঝে, এক দল মানুষ আছে যারা কোনো ভাবেই জামায়াত কে মেনে নিতে পারেনা।তারা মনে করে বিএনপি আসলে তো জামায়াত আসবে, সেইটা তো আমরা হইতে দিতে পারিনা।যেই দলের নেতাদের হাতে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ মানুষের রক্তের দাগ তাদেরকে কেমনে আমরা সাপোর্ট দিব।তাই আমরা আওয়ামি লিগ এর পক্ষে থাকবো।কিন্তু, তাদের যুক্তির একটা বড় দুর্বলতা আছে।আওয়ামি লিগ যদি সত্যি চাইত বাংলাদেশ থেকে জামায়াত কে যুদ্ধাপরাধ এর অপরাধে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হবে তো তাদের সেই সাংবিধানিক, আইনগত ক্ষমতা তাদের ছিল।কিন্তু, তারা এই ৫ বছরে জামায়াত কে নিষিদ্ধ করে নাই-পালছে।তাদের ব্রুট মেজরিটি থাকা সত্ত্বেও- দেশের প্রতিটা মানুষের বাধায় মুখেও তারা সিস্টেম করে তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করতে পারছে। গুলি করে মুড়ি মুড়কির মত মানুষ মারছে,আমেরিকার এত প্রেশার সত্ত্বেও গ্রামিন ব্যাঙ্ক দখল করছে-যার মানে তারা যেইটা করতে চায় তারা সেইটা করে, কাউরে পাত্তা দেয় নাই।কিন্তু জামায়াত এর রাজনিতি তারা বাতিল করে নাই।

জামায়াত নিষিদ্ধ করার প্রশ্ন আসলেই তারা বলে এইটা কোর্ট এর করতে হবে তারা করতে পারবেনা।অথছ, এই দেশে বাংলা ভাই নিষিদ্ধ করা হইছে, হিযবুত তাহরির নিষিদ্ধ করা হইছে, পূর্ব বাংলা জনযুদ্ধ নিষিদ্ধ করা হইছে- কোন টাই কোর্ট এর আদেশে হয় নাই প্রসাশনিক ক্ষমতার বলে হইছে।নিষিদ্ধ না করে আওয়ামি লিগ জামায়াত শিবির কে কাল সাপ এর মত পালতাছে। আবার ঐ সাপ দিয়ে ছোবল মেরে শত্রু নিধন করতেছে, আবার মানুষ কে ভয় দেখাচ্ছে সাপ, সাপ, পালাও পালাও বলে।এর পর আবার সাপ এর বিষ এর ভেক্সিন ও বেচতাছে আওয়ামি যোদ্ধারা।এই টা শুধু ডবল স্ট্যান্ডার্ড না, ট্রিপল, কোয়াড্রাপোল স্ট্যান্ডার্ড হয়ে যাচ্ছে।ফলে, জামায়াত শিবির কেন বিএনপির সঙ্গি এই অজুহাতে গত পাচ বছরের দুঃশাসন, এক বছরে সরকারি হিসেবে ১২০০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ দিয়ে দেশের ব্যাংক সহ সকল ফাইনানিসিয়াল ইন্সটিটিউশানকে ধ্বংস করা, ডেস্টিনি শেয়ার মার্কেট দিয়ে মধ্যবিত্তের সম্পদ লুটপাট করা, সকল ক্ষেত্রে ভারতিয় ইন্টারেস্ট কে দেশের ইন্টারেস্ট এর উপর প্রাধান্য দেয়া এবং দেশ কে আদর্শিক ভাবে বিভাজিত করে হুতু তুতসির মত দুইটি গোষ্ঠী সৃষ্টি করার দায়ে তাদের পুরস্কৃত করা যায়না।এই দেশের বিগত ২০ বছরে ধারাবাহিকতা বলে মানুষ একটা সরকার এর পরিবর্তন দেখতে চায়।এইটা তার অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্ন।কারন মানুষ বোঝে আবার আরও ৫ বছর যদি আওয়ামী লিগ থাকতে তো তারা আমাদের বাসার কড়িবর্গা খুলে নিয়ে যাবে।কার কাছে যাবেন আপনি।পুলিশ আওয়ামি লিগ এর, প্রশাশন এ যারা বসে আছে তারা আওয়ামি লিগ এর, বিচার বিভাগে যারা বসে আছে তারা আওয়ামি লিগ এর। মিডিয়া আওয়ামি লিগ এর।আপনার কোন প্রতিবাদ কেও শুনবেনা।

আজকের সময়ের প্রয়োজন এই দুর্নীতির আখড়া ভেঙ্গে রিকন্সট্রাক্ট করা। এইটা কোন আদর্শিক অবস্থান না। এইটা একটা অত্যন্ত জান্তব একটা ভীতি থেকে আসা বাস্তব অবস্থান।বাংলাদেশের দল কানা নয় এমন প্রতিটি মানুষ এইটা বোঝে।কিন্তু সেইটার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গন ঘৃণার মুখে আওয়ামী লিগ নিজেকে আবার আরও ৫ বছর মানে অনন্ত কাল পর্যন্ত ক্ষমতায় রেখে দেওয়ার সিস্টেম করছে। আজকে সময়ের প্রয়োজনে আমাদের দায়, এর বিরুদ্ধে থাকা।নইলে, বাংলাদেশের প্রতিটি ইন্সটিটিউশান ধ্বংস হয়ে একটা ব্যাপক অত্যাচারী বাহিনী এবং দল এর হাতে সকল অধিকার লুণ্ঠিত আমাদের রোহিঙ্গাদের মত মিয়ানমারে আশ্রয় নিতে হবে।

(মূল বক্তব্য এক বড়ো ভাইয়ের লেখা থেকে সংগৃহীত)

বিষয়: বিবিধ

১৮৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File