নারীদের গোপন আহবানে অধিকাংশ পুরুষই সাড়া দিয়ে ফেলে !!!
লিখেছেন লিখেছেন সাইদ ১৫ নভেম্বর, ২০১৩, ০৭:৪২:৫৬ সকাল
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।আসসালামুআলাইকুম।
লেখাটা আসলে দ্য স্লেভ ভাইয়ের জাহান্নাম পছন্দ করা যাবেনা লেখাটা পড়ে লিখতে উৎসাহ পেলাম।আজকে মুসলিম সমাজের তথাকথিত আধুনিক নারীবাদীরা বলেন যে নারী তারমত স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে। সেখানে নারীর খোলামেলা পোশাক দেখলে পুরুষের এত উত্তেজিত হওয়ার কি আছে?পুরুষরা নিজদের সংবরণ করলেই তো পারে।এই ব্যাপারটা দ্য স্লেভ ভাই সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন।( দ্য স্লেভ ভাই এর ব্লগ থেকে নেওয়া: আল্লাহ তায়ালা নারীদেরকে পুরুষের জন্যে আকর্ষণীয় করে সৃষ্টি করেছেন। একইসাথে তাদের পোষাকের বিষয়ে বা পর্দার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দান করেছেন। পুরুষ ও নারী উভয়কেই দৃষ্টিশক্তি ও গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করতে বলেছেন।পর্দা উভয়ের জন্যেই প্রযোজ্য। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা পুরুষ ও নারীদের মধ্যে পারষ্পরিক আকর্ষণ সৃষ্টি করেছেন।তবে পুরুষের নারীর প্রতি আকর্ষণটি স্পষ্ট ও আগ্রাসী। সুসম্পর্ক অথবা কুসম্পর্ক স্থাপন উভয় ক্ষেত্রেই প্রকৃতিগতভাবে পুরুষ অগ্রগামী।ফলে কোনো নারী যখন পুরুষকে আকর্ষণ করে,পুরুষের পক্ষে সীমা লঙ্ঘন করা সহজ হয়ে যায়।কোনো নারী যদি কোনো পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাহলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে থাকে।বিষয়টি গোপনে ঘটলে এর মাত্রা অধিক বৃদ্ধী পায়।)
কোনো নারী যদি কোনো পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাহলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে থাকে।বিষয়টি গোপনে ঘটলে এর মাত্রা অধিক বৃদ্ধী পায়।এই লাইনটা যে কতো সত্যি তার সম্যক ধারণা পাই একটি টিভি প্রোগ্রাম থেকে।প্রোগ্রামটি ছিলো সত্যি ঘটনা অবলম্বনে।প্রোগ্রামটির নাম ভালবাসার পরীক্ষা।এখানে বেছে নেওয়া হয় কয়েকজন মেয়েকে। যাদের নিজের স্বামী/প্রেমিকের প্রতি রয়েছে আত্ববিশ্বাস। তারা নিজের স্বামীর বিশ্বস্ততার প্রতি এতটাই আত্ববিশ্বাসী ছিলো যে অন্য কোনো নারীর যেকোন আহবানে তারা কখনোই সাড়া দিতে পারেনা।ভালবাসা এবং স্ত্রীর প্রতি স্বামীর বিশ্বস্ততার পরীক্ষা হিসাবে প্রত্যেক ছেলের পিছনে একজন করে নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।প্রত্যেক ছেলের গতিপথ নির্ধারণ করে মেয়েটি।সাথে গোপন ক্যামেরায় সবকিছু ভিডিও করা হয়।মেয়েটিকে তিনটি স্টেপে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়।আগে থেকেই ছেলেটির পছন্দ-অপছন্দ,চাকুরী সহ বিভিন্ন তথ্য মেয়েটির হাতে তুলে দেওয়া হয়।প্রথম স্টেপে মেয়েটি ছেলেটির সাথে কথোপকতন করে।প্রথম স্টেপে উত্তীর্ণ হলে দিত্বীয় স্টেপে মেয়েটি কোনো রেস্টুরেন্টে একসাথে লাঞ্চ করার আহবান করে।এইক্ষেত্রে ছেলেটির জন্য আরেকটি পরীক্ষা সামনে আসে।আগের থেকে এই সময়ে নিজের স্ত্রীর/প্রেমিকার সাথে লাঞ্চ করার কথা থাকার কারণে স্ত্রী/প্রেমিকার কাছ থেকে ছেলেটির কাছে ফোন আসে।ছেলেটার জন্য ছোট একটা পরীক্ষা একদিকে নিজের স্ত্রীর সাথে লাঞ্চ করার কথা অন্যদিকে অল্প পরিচিত একটা সুন্দরী মেয়েটার লাঞ্চ করার আহবান।মেয়েটি যদি এই লাঞ্চে যাওয়ার স্টেপেও সফল হয় তাহলে তাকে ফাইনাল স্টেপে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।লাঞ্চ শেষে মেয়েটি ছেলেটিকে তার সাথে মেয়েটির বাসায় যাওয়ার জন্য আহবান করে। এইক্ষেত্রেও ছেলেটির কাছে নিজের প্রিয়জনের আবার ফোন আসে।সে যদি ফ্রি থাকে তাহলে তার সাথে বাইরে একটু সময় কাটাতে চায়।ছেলেটিকি নিজের প্রিয়তমা স্ত্রীর আহবানে সাড়া দিবে নাকি মেয়েটির আহবানে সাড়া দিবে? মেয়েটি সফল হলে ছেলেটিকে নিয়ে যায় তার বাসায়।এখানেই হয় ভালবাসার পরীক্ষার আসল ড্রামা।ছেলেটি মেয়েটির বাসাতে গিয়েই বুঝতে পারে তাকে কিরকম ট্রাপে ফেলা হয়েছে। মেয়েটির বাসাতে নিজের স্ত্রী/প্রেমিকাকে দেখে সে হতবাক হয়ে যায়।লজ্জায় নিজের মুখ লুকায়।এদিকে স্ত্রী/প্রেমিকার আত্ববিশ্বাসের বেলুন চুপসে যায়।তাদেরকে অনেকে কান্না করে।ছেলেটির শত অনুনয় মেয়েটিকে বোঝাতে পারেনা।প্রায় ৯০% পুরুষই এই ভালবাসার পরীক্ষাতে ব্যার্থ হয়।এই পরীক্ষার পরে তাদের পক্ষে একসাথে আর চলা সম্ভব হয়ে উঠেনা।খুব জনপ্রিয় একটা অনুষ্ঠান হলেও অনেকের ঘর ভাঙ্গার কারণে অনুষ্ঠানটা বেশিদূর এগোতে পারেনি।১০% পুরুষ বিশ্বস্ততার স্বাক্ষর রাখে।তারা সাধারনত মেয়েটার সাথে কথা বলে কিন্তু লাঞ্চ করতে রাজী হয়না।মেয়টাকে বিনয়েরে সাথে বলে আজকে আমার স্ত্রী/প্রেমিকার সাথে লাঞ্চ করার কথা আছে।পুরুষদের চরিত্র আসলেই দুর্বল।এটাকে শক্তিশালী করার জন্য আল্লাহ ভীতি ছাড়া অন্য কোনো উপায় আছে বলে মনে হয় না।
যদি মুমিন (শুধুমাত্র নামে মুসলিম নই) এবং বিধর্মীদের মধ্যে এই ভালবাসার/বিশ্বস্ততার পরীক্ষা করা হয় তাহলে কারা বিজয়ী হবে বলার অপেক্ষা রাখেনা।একমাত্র আল্লাহর প্রতি ভয়ই মুমিনকে নারীর গোপন আহবান থেকে বিরত রাখতে পারে।আজকে বিধর্মীদের দিকে তাকালে তাদের পার্থীব উন্নতিতে হয়তো অনেকে ঈর্ষা করে কিন্তু তাদের স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন,ভালবাসা-বিশ্বস্ততা এতই ঠুনকো যে সামান্য ছোটো একটা ভালবাসার পরীক্ষাতে তাদের বিশ্বস্ততা কাঁচের টুকরার মতো ভেঙ্গে যায়।এরা শুধু পার্থিব শান্তি খুঁজে কিন্তু প্রকৃত আত্বার শান্তি,ভালবাসার শান্তি,বিশ্বস্ততার শান্তির সন্ধান তাদেরকে সবসময় তাড়িয়ে বেড়ায়।হে আমার রব তুমি আমাদেরকে তোমার নির্দেশিত সঠিক পথে পরিচালিত করো।
আল্লাহ হাফেজ
বিষয়: বিবিধ
২৫০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন