তাদেরও সংসদ ! আমাদেরও সংসদ !!
লিখেছেন লিখেছেন সাইদ ২৫ জুন, ২০১৩, ০৫:৩৬:০৯ সকাল
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।আসসালামুআলাইকুম।
সংসদ কে একটা জাতীর ভবিষ্যতের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়।একটা জাতীর জীবনে আজকে যে সমস্যা গুলো জর্জরিত সে থেকে জাতী কিভাবে উত্তরণ পেতে পারে তা নিয়ে জাতীর নীতিনির্ধারকরা কি ভাবছেন তা মানুষ শুনতে চাই।তাদের কাছ থেকে গঠনমূলক,আশা ব্যঞ্জক বাণী শুনে জনগণ স্বপ্ন দেখতে চাই।তাদের বাস্তবিক চিন্তাধারায় মানুষ আশায় বুক বাধে,এই দুরবস্তা আর বেশীদিন থাকবে না।তাদের জীবনে নেমে আশা হতাশাকে তারা পিছনে ফেলে এগিয়ে যাবে সামনের দিকে।
জাপানে এসে জাপানের সংসদ অধিবেশন টিভিতে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে অনেকবার।আমি সাধারনত প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলের নেতার বিতর্কই বেশী দেখতাম।এত প্রানবন্ত বিতর্ক আমি কখনো দেখিনি। তাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থাকতো জাতীর বর্তমান সমস্যা।বিরোধীদলের নেতার সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রীকে দুঃখিত বলতে হতো যে তারা তাদের অঙ্গীকার মতো কাজ করতে পারেনি,আবার উল্টো বিরোধী দলের নেতার কন্ঠে শোনা যেতো প্রধানমন্ত্রীর প্রসংশা সহজ সরল সত্যটা স্বীকার করার জন্য। জনগনের কাছে দেওয়া অঙ্গীকার সরকার পূরণ করেছে কিনা তার স্বাক্ষী স্বয়ং জনগণ।ঢাক ঢোল পিটিয়ে বলার দরকার নেই।সহজ সরল সত্যটা জনগনকে বুঝিয়ে বলাই বুদ্ধিমানের কাজ।জনগণ সেটাই জানতে চাই।তিক্ত সত্য হলেও জনগণ বুঝতে পারে তাদের ব্যার্থতার কারণ।তাই এখানে অনেক মন্ত্রী,প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে।এটা রাজনীতির ভদ্রতা।আমি পারিনি তাই আমার থেকে যোগ্য ব্যাক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হোক।অনেক ব্যার্থতার ভার সহ্য করতে না পেরে আত্ত্বহননের পথও বেছে নেই।
আমাদের দেশেও সংসদ আছে।আমদের এইসব মহান নীতিনির্ধারকরা সংসদে আলোচনা করছেন আমদের ১৬কোটি জনগনের ভবিষ্যত নিয়ে।আমদের দেশের এত সমস্যা যে কোনটা রেখে কোনটা আলোচনা করবো। এদেশের মানুষ একটু শান্তিতে বাস করতে চায়,নিজের অধিকার টুকু ফিরে পেতে চাই।স্বাধীনভাবে নিজের কাজ করতে চায়।যেগুলো করা একটা রাষ্টের নুন্যতম দায়িত্ব।সরকারী চাকুরী নামে সোনার হরিন আজ ক্ষমতা আর অর্থের কাছে বন্দী।অধিকাংশ জনগনের সার্ভিস (সরকার কর্তৃক প্রদত্ত্ব ) আজকে ক্ষমতা আর অর্থের কাছে বন্দী।এগুলো নিয়ে আমাদের সংসদে আলোচনা হয়না।ছোটোবেলায় পুতুল খেলা নিয়ে মাঝে মাঝে বাচ্চা ছেলেমেয়দের মধ্যে ঝগড়া বাধতো।কেউ গালাগালি শুরু করে দিলে অন্য অবুঝ শিশুরাও গালাগালিতে যোগ দিতো।মাঝে মাঝে দুই একজন বড়রা এসে পূর্বপুরুষের চরিত্র নিয়ে গালাগালি করে ঘটনাটা আরও উসকে দিতো।তবে আশার আলো ছিলো এই যে কিছু মুরুব্বিদেরকে সবাই সন্মান করে দ্রুত মিটিয়ে ফেলতো।মানসিক প্রতিবন্ধী কেউ থাকলে মিটাতে একটু দেরী হতো এই আর কি।আজকে আমাদের নীতিনির্ধারকরা সংসদে আলোচনা করছেন আর আমার মন পড়ে আছে সেই ছোটোবেলার ঘটনার দিকে।আমরা ১৬কোটি মানুষই কি মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছি?যদি সত্যি তাই হয় তাহলে আমাদের এই থেকে কে উদ্ধার করবে?হে আল্লাহ আমরা তোমার কাছে এই থেকে পরিত্রান চাই।আমাদেরকে তুমি এভাবে মানসিক প্রতিবন্ধী বানিয়ে দিয়ে বেইজ্জতি করোনা।
আল্লাহ হাফেজ।
বিষয়: রাজনীতি
১১০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন