বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর!!!
লিখেছেন লিখেছেন সাইদ ২১ জুন, ২০১৩, ০৮:২২:০৬ সকাল
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।আসসালামুআলাইকুম।
প্রবাস জীবনের বড়ো একটা পাওয়া হচ্ছে অনেক দেশের মানুষের সাথে বন্দ্বুত্ব তৈরী হওয়া।যার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দেশের কালচার এর সাথে পরিচয় হতে পারি।ইসলাম নিয়ে যখন আমরা আলোচনা করি তখন দেখা যায় আমাদের দেশের বহুল প্রচলিত কোনো ঘটনা অন্য দেশের মানুষ জানেনা।আবার অন্য দেশের অনেক ঘটনা আমরা কেউই জানিনা।একে অপরের সাথে কথা বলার মাধ্যমে আমরা নিত্য নতুন অনেক ঘটনাই শুনে থাকি যেগুলো অনেক সময় আমাদের বিবেককে নাড়িয়ে দেয়।কিছু সময় আমাদেরকে নিজেদের অবস্থান বিবেচনা করার সুযোগ করে দেয়।
মিশরের এক ধনাড্য ব্যাক্তি যিনি একটা জটিল রোগে ভুগছিলেন।তিনি মেডিক্যাল চেক আপ এর জন্য লন্ডনে যান।সেখানকার এক নামকরা হসপিটালে তিনি মেডিক্যাল চেকআপ করান।তার হার্টে সমস্যা ধরা পড়ে।ডাক্তারি ভাষ্যমতে অপারেশন করলেও অপারেশন সাকসেস হওয়ার সম্ভবনা মাত্র ১০% আবার অপারেশন না করলেও সর্বোচ্চ বেঁচে থাকার সম্ভবনা ছয় মাস। ভদ্রলোকটি সবকিছু চিন্তা করে কয়েক মাস নিজ দেশের আত্বীয় স্বজনের সাথে কাটিয়ে এসে অপারেশন করার সিদ্দ্বান্ত নিলো।সিদ্বান্ত মতো ভদ্রলোকটি মিশরে ফিরেগেলো এবং আত্বীয় স্বজনের সাথে সময় কাটাতে লাগলো। একদিন সে এক গোশতের মার্কেটে গেলো গোশত কেনার জন্য।তার চোখে অদ্ভুত একটা দৃশ্য চোখে পড়লো।ময়লা কাপড় পরা জীর্ণ শীর্ণ একজন মহিলা মার্কেটের মধ্যে এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা গোশতের হাড় কুড়িয়ে বেড়াচ্ছে।দৃশ্যটা তার কাছে খুব আবেগঘন হওয়ায় সে মহিলার কাছে গেলো এবং হাড় কুড়ানোর কারণ জানতে চাইলো।মহিলাটা কিছুটা ইতস্তত হয়ে বললো তার বাচ্চাদের গোশত কিনে খাওয়ানোর তার সামর্থ্য নাই।এই হাড়গুলো পানি দিয়ে রান্না করে বাচ্চাদেরকে খেতে দেবে।ঘটনাটি ভদ্রলোকটির বিবেক কে খুব নাড়া দিলো।আমি বাঁচবো কিনা তার কোনো আশা নেই অথছ আজকে বাঁচার জন্য কতো টাকা খরচ করে অপারেশন করতে যাচ্ছি। আর এই মহিলার বাচ্চাগুলোর একটু গোশত খাওয়ার সৌভাগ্য হচ্ছে না।ভদ্রলোকটি কিছু না বলে বাসায় ফিরে গেলো।তাকে কেনো যেনো আজকের ঘটনাতে বেশ অস্থির লাগছিলো।পরেরদিন মার্কেটে এসে সে একই দৃশ্য দেখতে পেলো।একটা দোকানের মালিকের সাথে কথা বলে মহিলাটিকে সে দূর থেকে দেখিয়ে দিলো এবং কয়েক বছর মহিলাটিকে গোশত দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা দিয়ে গেলো।
কিছুদিন পর ভদ্রলোকটি সব আত্বীয় স্বজনকে বিদায় জানিয়ে লন্ডনে অপারেশনের জন্য চলে গেলো।ডাক্তার তার মেডিক্যাল চেকাআপ করার পর বললো এতো সাকসেসফুল অপারেশন সে কোথায় করিয়েছে।সে বললো সে কোনো অপারেশন করেনি।ডাক্তার কোনো ভাবেই তার কথা বিশ্বাস করলো না।ডাক্তারের কথা হয় তুমি অন্য কোথাও অপারেশন করেছ নয় তুমি আমার আগের সেই রোগী নও।ভদ্রলোক তর্কে না জড়িয়ে আল্লহর কাছে শোকরিয়া আদায় করলো। সর্বশক্তিমান আল্লাহ হয়তো কোনো বান্দার দোআ কবুলের মাধ্যমে আমার জন্য কিছুদিন দুনিয়াতে রিজিক রেখেছেন।হে আল্লাহ তুমি আমাদের সবাইকে তোমার প্রতি ঈমানী বিশ্বাস বাড়িয়ে দাও।
আল্লাহ হাফেজ
বিষয়: বিবিধ
১৭৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন