আর কত আত্ত্বপ্রতারণা করলে আমাদের বিবেক জাগ্রত হবে?????
লিখেছেন লিখেছেন সাইদ ০৪ জুলাই, ২০১৩, ০৩:৪০:৪২ দুপুর
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।আসসালামুআলাইকুম। মাঝে মাঝে খুব অবাক লাগে নিজের কাছে।অবাক লাগার কারণও আছে।নিজের বিশ্বাসের সাথে এতো প্রতারণা বোধ হয় আমাদের মুসলিম সমাজেই সবচেয়ে বেশি।শিক্ষিতদের মাঝে এই প্রতারণা বোধ আবার সংক্রমণ আকারে শুরু হয়ে গেছে।আত্মপ্রতারণা করছি এই বোধোদয় যদি না আসে তাহলে সেটাকে কোন প্রতারণার সংগায় ফেলবো আমার জানা নেই।অনেক মুসলিম ভাইবোনকে যখন বলা হয় তোমার ধর্ম কি তখন অবলীলায় বলে ইসলাম।ঠোঠের আগাতে যেনো উত্তরটা লেগেই আছে।যখন বলা হয় আল্লাহকে কি তুমি বিশ্বাস করো?কি বলেন ভাই আপনি কি আমার সাথে মশকরা করতেছেন?বুক ফুলিয়ে গর্ব করে বলে আমরা এক আল্লাহ কে বিশ্বাস করি।যখন আবার জিজ্ঞাসা করা হয় কুরআন কি?ভাই আর মশকরা কইরেন না।আপনি অনেক মশকরা করেছেন।কুরআন হচ্ছে আল্লাহর বাণী।কুরআনে কি কোনো মিথ্যা কথা লেখা আছে?আপনি কি পাগল নাকি?নাউজুবিল্লাহ।এই কথা ভাই আপনি আর মুখে আনবেন না।বুকফুলিয়ে আবার বলে ওঠে, আল্লাহ মানব জাতীর কল্যাণ এর জন্য কুরআন পাঠিয়েছেন।এর প্রতেকটা কথা আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি।অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনি ঠিক কথা বলছেন।যদি কিছু মনে না করেন একটা প্রশ্ন করি?সবই তো বুঝলাম।তাহলে আল্লাহ কুরআনে যেভাবে চলতে বলেছেন সেইভাবে আপনারা চলেন না কেনো কিংবা চলার চেষ্টাও তো করেন না দেখি।তার মানে কি আপনারা কুরআনে আল্লাহর আদেশ নিষেধ কে বিশ্বাস করেন না?বিশ্বাস করার অর্থ কি এই যে শুধু মুখ দিয়ে উচ্চারণ করলাম?কাজের মধ্যে দিয়ে যদি প্রমান না করতে পারি তাহলে সেই বিশ্বাসের মুল্য কতটুকু?এই বিশ্বাস কি তার সাথে প্রতারণা করার শামীল নয়?
আমাদের মাঝে অনেক মুসলিম ভাইবোনদের সমস্যা শুরু হয় এখান থেকেই।শুরু হয়ে যায় হাজার যুক্তি।আল্লাহকে বিশ্বাস করি,কুরআন কে বিশ্বাস করি তাহলে কুরআন এর আদেশ নিষেধ নিয়ে যুক্তি কিসের।একজন অমুসলিম যুক্তি দিতে পারে যেহেতু সে বিশ্বাস করেনা।তারপর একসময় আমরা প্রসঙ্গ এড়াতে বলি ভাই আমার একটু কাজ আছে বাসায় যেতে হবে।ঠিক আছে ভাই ভালো থাকবেন।আমার জন্য দোয়া করবেন।আমার জন্যও দোআ করবেন।এই ধরনের মুসলিমের সংখায় আজকে আমাদের সমাজে অনেক বেশী।প্রতিনিয়ত নিজেদের বিশ্বাসের সাথে আমরা প্রতারণা করে চলছি।সবচাইতে বড়ো সমস্যা হচ্ছে আমরা যে নিজের বিশ্বাসের সাথে প্রতারণা করছি সেটা বুঝতেদ পারছিনা।কিন্তু অফিস এর ম্যানেজার যদি বলে সামনে সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্টটা জমা দিতে হবে।আমাদের কি সাধ্য আছে তার আদেশ কে অমান্য করার?আমাদের অনেক মুসলিমদের বর্তমানে কাজের ধরন এবং চলাফেরা দেখলে মনে হয় একজন সামান্য অফিসের ম্যানেজারের আদেশও আল্লাহর আদেশের থেকেও অধিক গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
হে আমার অন্তর পরিবর্তনকারী মালিক,আমাদের অন্তরগুলো আজ ভোতা হয়ে গেছে,তোমার কথা আজ আমদের অন্তর ভেদ করতে পারেনা,আজ আমরা নিজেরা অক্ষম হয়ে পড়েছি নিজের বিবেককে জাগ্রত করার।তুমি আমাদের ঘুমন্ত বিবেককে একটু জাগ্রত করে দাও যাতে তোমার কোরআন এবং নবীর (সা এর হাদিছ অনুসারে নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারি।নিজেদের বিশ্বাসের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করতে করেত আজ তা উপলদ্ধী করতেও ভুলে গেছি।নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল।আমাদেরকে ক্ষমা করো এবং তোমার নির্দেশিত সহজ সরল পথে আমাদেরকে পরচালিত করো।জন্মের মাধ্যমে নয় কর্মের মাধ্যমে আমরা যেনো বুক ফুলিয়ে গর্ব করে বলতে পারি আমরা মুসলিম।
আল্লাহ হাফেজ
বিষয়: বিবিধ
১৯৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন