ভিক্টোরিয়া,হুরপরী,বানু এরা মুসলিমদের কে ভয় পায়।শয়তানের কৌশল মুসলিমদের কৌশলের নিকট একদিন না একদিন পরাজিত হবেই। (২৭ এ এপ্রিল মানিক ভাইয়ের ব্লগের আলোকে পর্যলোচনা)
লিখেছেন লিখেছেন সাইদ ১৬ মে, ২০১৩, ০৪:২০:১৫ বিকাল
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
আসসালামুআলাইকুম wrwb.
২৭ এ এপ্রিল মানিক ভাইয়ের ব্লগ
যাদের বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে পুরো লেখা পড়ার ইচ্ছা থাকলেও পড়তে পারেন না তাদের জন্য সারমর্ম।
সারমর্ম শয়তান যখন বুঝতে পারে তার কৌশল মুমিন বান্দার ক্ষতি এর চেয়ে ঈমান কে আরো দৃঢ় করছে।তখন শয়তান নিজেই তার কাছ থেকে চলে যাবে।এদেরকে আমরা এড়িয়ে চলতে পারবনা।যেখানে মুমিন বান্দা থাকবে সেখানে শয়তান থাকবেনা তাতো হতে পারেনা।শয়তান থাকবে তবে শয়তান যেনো আমাদের ক্ষতি করতে না পারে সেইজন্য শয়তান কে শিকল দিয়ে বেধে রাখার ব্যবস্তা আমাদের করতে হবে।গৃহস্ত যেমন তার পাগলা কুকুর কে বেধে রাখে ঘরের উঠানে।নতুন কোনো অতিথী আসলে জানান দেই ঘেই ঘেউ করে।এই শয়তানকেও আমাদের বেধে রাখতে হবে,ঘেউ ঘেউ করলে বুঝতে হবে আমাদের নতুন কোনো ভাই ব্লগে এসেছে,নতুন ভাইকে পাগলা কুকুরের কামড় থেকে কৌশলে ঘরে নিয়ে আসতে হবে।
আমার নিজস্স্ব বিশ্লেষণ
আল্লাহ,রাসুল (সা এবং কুরআন বিরোধী লেখাকে আমাদের জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে।এই লেখা গুলো মডারেশন ছাড়া যেনো পাবলিশ করতে না পারে,সেই জন্য মডারেশন টীমকে এদের সকল পোস্ট কে ওয়াচ এর আওতায় নিয়ে আসতে হবে।অন্যান্য লেখার বেপারে ব্লগে এদর আগমণ কে নেগেটিভ ভাবে না দেখে পজিটিভ ভাবে দেখলে মনে হয় ভালো হয়।এদের করা প্রশ্ন অনেকের মাঝে বিশেষ করে নন মুসলিমদের মাঝে বিদ্যমান।এই প্রশ্ন কখনই একজন মুসলিমের মনে উদয় হবেনা। আমাকে যেমন নন মুসলিম দের কাছ থেকে এই ধরনের অনেক বিব্রতকর প্রশ্ন শুনতে হয়।আমি যদি তাদের প্রশ্ন এর যুক্তিসঙ্গত উত্তর দিতে না পারি,তাহলে ঐ ননমুসলিম এর তার নিজের বিশ্বাসের ধারনাটা দৃড় হয়। কিন্তু এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর আমরা অনেকেই জানি কিন্তু আমাদের জানা আর ননমুসলিম দের জানা এক নয়।এইজন্য আমাদের কে খুঁজে বের করতে হবে কিভাবে এই প্রশ্ন গুলো এর উত্তর দিলে
একজন ননমুসলিম আর উত্তর দিতে পারবেনা।ভিক্টোরিয়া,হুরপরীরা যেহেতু ব্লগে আলোচনা করে,তাই আমাদের যুক্তিগুলো যখন এদের সীমাবদ্ধতার কাছাকছি চলে আসে,তখন এরা আলোচনা অন্য দিকে ডাইভার্ট করেনেই।এখান থেকে একটা সাধারণ ধারণা নেওয়া যাই,যে কোন পর্যন্ত তাদের সীমাবদ্ধতা।ফেস টু ফেস আলোচনার ক্ষেত্রে কেউ নিজের ইচ্ছামত আলোচনা ডাইভার্ট করতে পারেনা।সুতরাং ফেস টু ফেস যখন আমরা ইসলাম এর দাওয়াত দিই নন মুসলিম দের মাঝে,তখন এই পদ্ধতিটি আমরা কাজে লাগাতে পারি।ভিক্টোরিয়া,হুরপরী রা তাদের নিজের অজান্তেই যে কাজটা করছে তাহলোআমাদের কাছে প্রশ্ন আউট করে দিচ্ছে।আবার এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটাও আলোচনার মাধ্যমে তারা আমাদের কে জানিয়ে দিচ্ছে। আলোচনার কোনপথে সে আলোচনা অন্যদিকে ডাইভার্ট করে নেই, ঐ পয়েন্টাই তাদের কে কাবু করার জন্য মোক্ষম অস্ত্র।আমার তো মনে হয় জিনিষটা আমরা যদি carefully দেখি তাহলে উল্টো তারা আমাদের ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসাবে কাজ করছে। ভিক্টোরিয়া ,হুরপরীদের কাছে যখন এই মেসেজটা যাবে যে তাদের কৌশল,মুসলিমরা অত্যন্ত কৌশলের সাথে ইসলাম ধর্ম প্রসারের কাজে ব্যাবহার করছে এবং তারা সফলতাও লাভ করছে।
তখন হয় তারা সেখান থেকে চলে যাবে অথবা নতুন কৌশল নিয়ে নামবে।তাদের নতুন কৌশল
এর কাছে আমাদেরকেও নতুন কৌশল নিতে হবে।ভিক্টোরিয়া ,হুরপরীরা কৌশল নেই শয়তানের কাছ থেকে আর আমরা কৌশল নেব আল্লাহ এর সাহায্যে।আল্লাহ এর কৌশলের কাছে শয়তানের কৌশল পরাজিত হবে,এই জন্য আমাদেরকে সবর করতে হবে। এই মেসেজ টা তাদের কাছে পৌছে দেওয়ার
দায়ীত্ব আমাদের সব মুসলিম ভাইদের কেই নিতে হবে। নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে ভিক্টোরিয়া ,হুরপরীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
ভিক্টোরিয়া ,হুরপরীদের ব্যান করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলে আমার ধারণা।আজকে ব্যান করবেন কালকে নতুন নামে আসবে তারা।তবে এদেরকে মডারেটর এর আওতায় নিয়ে আসতে হবে।যাতে আল্লাহ এবং রাসুল (সা বিরোধী কোনো পোস্ট না করতে পারে।এদিক থেকে আমাদেরকে মডারেটর এর কাছে রিপোর্ট করতে হবে।
তাদের পোস্ট পড়া এবং কমেন্ট করা থেকে বিরত থেকে তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া যেতে পারে।তবে সেই ক্ষেত্রে তারা অন্যর পোস্ট এ কমেন্ট করা শুরু করবে। তাদের কমেন্ট কিংবা পোস্টে অশালীন ভাষা আমাদের ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকেতে হবে।শয়তান এর কাজ হচ্ছে মুমিনদের মুখ দিয়ে অশালীন কথা বের করা।আমরা অনেকে সবর করতে না পেরে অশালীন কমেন্ট করি,তাতে শয়তান খুশী হয়। ভিক্টোরিয়া,হুরপরীরা এটাই চায়।আমাদের মুখ থেকে অশালীন কথা বের করতে চায়।আমাদের কে ধৈর্য্যহারা করাও তাদের একটা উদ্দেশ্য।কথায় আছে রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।তবে তারা এমন কিছু লেখে,মুসলিম হিসাবে সয্য করা কঠিন হলেও কোনো ভাবেই ধৈর্য্যহারা হলে চলবেনা।
আমি ইসলাম সমন্ধে খুব অল্প জানি তাই কোনো রেফারেন্স দিতে সাহস পায়না,আমি একটি হাদিছ পড়েছিলাম (কোনো ভাই রেফারেন্স জানলে দিয়েন অথবা ভুল হলে সংশোধন করে দিয়েন।)একবার আবুবকর সিদ্দিকী (রা এর সাথে পথে একজন কাফের এর কথা কাটাকাটি হয়।কোনো একটা কারণে (ঠিক মনে পড়ছে না) কাফের লোকটি আবুবকর সিদ্দিকী (রা কে তীব্র ভাষায় খারাপ কথা বলে যাচ্ছিল।আবুবকর (রা এর কোনো ভুল না থাকা সত্বেও উনি কোনো জবাব না দিয়ে কাফের লোকটির কথা শুনে যাচ্ছিলেন। কথার মাঝখানে রাসুল (সা সেখানে উপস্থিত হোন।আবুবকর (রা ভাবলেন রাসুল (সা হইত কিছু বলবেন।কিন্তু আবুবকর (রা দেখলেন, রাসুল (সা মিটমিট করে হাসতেছেন।অনেকক্ষণ সবর করার পর আবুবকর (রা কাফের লোকটির কথার প্রতিউত্তর দেওয়া শুরু করেন।তারপর রাসুল (সা ওখান থেকে চলে যান।পরে রাসুল (সা এর সাথে যখন দেখা হয় তখন তিনি রাসুল (সা কে জিজ্ঞাসা করেন,আমি দেখলাম যখন কাফের লোকটি আমাকে কথা বলছিল এবং আমি চুপ করে ছিলাম,তখন আপনি মিটমিট করে হাসছিলেন আর আমি যখন কথা বলা শুরু করলাম, তখন আপনি ওখান থেকে চলে আসলেন।আমাকে ব্যাপারটি কি একটু খুলে বলবেন।
রাসুল (সা বললেন,আমি মিটমিট করে হাসছিলাম এই কারণে যে,তুমি যখন চুপ করে ছিলে তখন আমি দেখতে পাচ্ছিলাম,তোমার হয়ে একজন ফেরেশতা জবাব দিচ্ছে তাই আমি মিটমিট করে হাসছিলাম।কিন্তু তুমি যখন উত্তর দেয়া শুরু করলে তখন সেখানে একজন শয়তান এসে হাজির হয়।যেখানে শয়তান থাকে সেখানে তো আমি থাকতে পারি না তাই চলে আসলাম।
কয়েক বছর আগের ঘটনা।ইসলাম নিয়ে সত্যি বলতে আমি কিছুই জানতাম না। এখনও তেমন কিছু জানিনা,আগের থেকে এখন যেটা পার্থক্য আগে ইসলাম নিয়ে কিছুই ভাবতাম না আর এখন আল্লাহর রহমতে ইসলাম নিয়ে একটু ভাবার চেষ্টা করতেছি ।একদিন আমার ল্যাব এর প্রফেসর আমাকে জিজ্ঞাসা করলো তোমরা কেনো জাপান এর beef ,chicken খাওনা।আমার খুব সিম্পল উত্তর ছিলো আল্লাহ কুরআন এ আল্লাহ এর নামে জবাই করা হয়না এমন গোস্ত খাওয়া নিষেধ করছেন তাই তোমাদের এখানকার গোস্ত আমরা মুসলিমরা খাইনা ।আমার উত্তর তার মনপুত হলো না।শুধু বললো হুম।তারপর তার পরের প্রশ্ন ছিলো আল্লাহ এর নাম জবাই করা গোস্ত আর জবাই না করা গোশতের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কিনা?সে আমার কাছ থেকে বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন থেকে উত্তর জানতে চাচ্ছিলো।আমার সুবিধার জন্য সে ক্লিয়ার করে বললো।এই দুই ধরনের গোস্তকে যদি আমরা এনালাইসিস করি,তাহলে একই ধরনের ইলেক্ট্রন ,প্রোটন পাব তাই না ?আমি বললাম হুম।এর পর আর আমি তার সাথে তর্ক করেনি।ক্ষনিকের জন্য আমি বিভ্রান্ত হই ।কিন্তু বাস্তবে উনি আমাকে এই প্রশ্নটা না করলে যুতসই উত্তর আমি খুঁজে পেতাম না।পরবতীতে কাছাকাছি ধরনের প্রশ্নের সম্মখীন হই আরেকজনের কাছে। আমি তার প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলাম আমার আর আপনার পার্থক্য কি?সে বললো আমি জাপানীজ তুমি বাংলাদেশী।আমি বললাম আচ্ছা আমাদের যদি এনালাইসিস করা হয় ,আমাদের থেকে যে ইলেকট্রন,প্রোটন পাওয়া যাবে তাতে কোনো পার্থক্য আছে কিনা ?উনি বললেন না।আমি বললাম আমাদের ইলেকট্রন,প্রোটন এ কোনো পার্থক্য না থাকা সত্তেও যে আল্লাহ আমার আপনার মধ্যে বাংলাদেশী এবং জাপানীজ এই পার্থক্য তৈরী করে দিয়েছে ,সেই আল্লাহ কি আল্লাহ এর নামে জবাই করা গোস্ত আর আল্লাহ এর নাম না নিয়ে জবাই করা গোস্ত এর মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করতে পারে না?আপনি নিজের চোখে দেখলেন একই প্রোটন এবং ইলেকট্রন হলেও আল্লাহ পার্থক্য করার ক্ষমতা রাখেন।আপনি পার্থক্য নিজের চোখে দেখছেন তাই বিশ্বাস করছেন,কিন্তু যেটা আপনার দৃষ্টিগোচর হচ্ছেনা সেটা আপনারা বিশ্বাস করছেন না।আমরা মুসলিম হচ্ছে আমরা যতটুকু দেখী তাও বিশ্বাস করি আর যেটুকু আমরা এখনও দেখতে পারিনা তাও বিশ্বাস করি।
ইনশাআল্লাহ আল্লাহ যদি চান অচিরেই আপনাদের বিজ্ঞান প্রমান করে দেবে আল্লাহ এর নাম নিয়ে জবাই করা গোস্ত এবং নাম না নিয়ে জবাই করা গোস্ত এর মধ্যে পার্থক্য কি? এই প্রমান আপনারাই করবেন।
আমাকে এক জাপানীজ প্রশ্ন করেছিল তোমার মুসলিমরা এতো মারামারি কাটাকাটি করো কেনো? এই ধরনের অনেক প্রশ্ন এরা করে থাকে ।অনেক চেষ্টা করেও তাদের মনপুত উত্তর দিতে পারতাম না ।
আল্লাহ রহমতে জাপানীজ সমাজ ব্যবস্তা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করে যখন তার কাছ থেকেই উত্তর নেয়ার চেষ্টা করি,তখন তার নিজের উত্তর দেয়ার মধ্যই সে তার প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাই।একজন কৃষকের প্রশ্নের উত্তর কৃষকের জানা জ্ঞানভান্ডার এর মধ্যে দিয়েই উত্তর দিতে।ওদের লজিক দিয়েই ওদেরকে কাবু করতে হবে।ইনশাআল্লাহ,আল্লাহ তার দীনকে এই জমীনের বুকে বিজয় করবেই।কষ্ট করে পড়ার জন্য আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দিক।
আল্লাহ হাফেজ
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন