সহযোগী বাংলাদেশী পুলিশ ভাইদের পরিবারদেরকে লেখা খোলা চিঠি (৫৬টি ছবিসহ) Praying

লিখেছেন লিখেছেন বিজয়ী পতাকা ২৫ মার্চ, ২০১৩, ১১:২৬:১৩ রাত



২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন বললেন যে, ‘I came to serve my country’ -- উনি যে তখন ‘আমার দেশ’ বলতে ওনার ‘দেবদাস চক্রবর্তী’র ভারতকে বুঝিয়েছেন, তা তো বাংলাদেশের আম পাবলিক আমরা বুঝিনি। ভারতকেই উনি ওনার নিজের দেশ না বুঝালে, কিভাবে উনি একমাস পর ১৯শে ফেব্রুয়ারীতে ভারতীয় গানম্যানদের (বন্দুকধারীদের) ঢুকিয়ে, জাতিসংঘের ট্রেনিং প্রাপ্ত বাংলাদেশের সবচাইতে শক্তিশালী সেনা এবং বর্ডার প্রহরী ৫৭জন বিডিআরকে ২৫শে ফেব্রুয়ারীতে নিঃশংস্রভাবে হত্যা করে বাংলাদেশকে চুড়ান্ত ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিলেন? সেনাবাহিনী এবং বর্ডারকে দূর্বল করে উনি কোন পক্ষকে সুবিধা করে দিলেন? এবং সেই রেশ ধরে বামপন্থী আওয়ামী লীগ এবং ভারতের পক্ষীয় নয় এমন হাজার হাজার নিরীহ সেপাহীদেরকে ধরে ধরে নিধনের কাজ চালিয়ে গেলেন কেন? যদি উনি সত্যিই বাংলদেশের প্রধানমন্ত্রী হতেন, তবে ২০০৯-এর ২৫শে ফেব্রুয়ারীর মর্মান্তিক ঘটনার পরই উনি নিজেই স্বেচ্ছায় resign/পদত্যাগ করতেন। দুঃখজনক হল যে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে জানেন না, এমন কি পরবর্তী বছরগুলোতে ২৫শে ফেব্রুয়ারীতে সামান্যতম শোক প্রকাশ বা শ্রদ্ধা দেখাতেও তিনি পারেন নি। শেখ হাসিনা যেন নিজেই আওয়ামী লীগের মধ্যে বসে পুত্তলিকায় পরিণত হয়েছেন, যার প্রভু হচ্ছে ভারতীয় সরকার এবং দেশীয় বামপন্থী দল।







উক্ত ঘটনা ছাড়াও শেখ হাসিনা তার দলসহ গত চার বছরে যেভাবে রেকর্ড ব্রেকিং লুটপাট করে যাচ্ছেন, তা কোন দেশপ্রেমিক দেশনেত্রী হলে করতে পারতেন না। শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে তার একটা পদক্ষেপও বাংলাদেশের পক্ষে আসেনি। ওনার বোঝা উচিৎ ছিল যে, উনি শতকরা ৯০ভাগ মুসলিম দেশের প্রধানমন্ত্রীর স্থান দখল করেছেন। সেজন্য ওনার দরকার ছিল জনগণের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ এবং নৈতিক শিক্ষার আরো প্রসার ঘটিয়ে বাংলাদেশের জনসাধারণের চরিত্র গঠন করা, জনগণকে আরো শিক্ষিত করে তোলা। কিন্তু তার বিপরীতে উনি ইসলাম এবং ইসলামের শিক্ষার প্রতি বিমুখতা প্রদর্শণ করে, মুসলিমদের উপর বিজাতীয় মদ-জুয়া-গাজা-গান-নাচ-পূজা-অর্চনার প্রসার ঘটিয়ে দেশবাসীকে আরো অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, নৈরাজ্য এবং পরাধীনতার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন -- যেই পথে এর আগে বাংলাদেশের স্বৈরশাসকও সুবিধা করতে পারে নি।







এই সরকারের পুলিশ বিভাগ ডাকাত দলে পরিণত হয়েছে। হাসিনা (বাংলাদেশের পুলিশদের পোশাক পরিহিত ছদ্মবেশী) ভারতীয় পুলিশকে ৭১-এর মত বাংলাদেশের মাটিতে নামিয়ে বাংলাদেশের জনজীবনকে ক্রমাগত ভাবে দ্রুতগতিতে অনিশ্চয়তা, অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতা বর্ধন করে চলেছেন। বিচারকার্যকে ‘জোর যার মুল্লুক তার’-এর মত নিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনার প্রতিবাদকে তিনি শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যা করতে পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ, নারী, পুরুষ নির্বিশেষে গণহত্যা করতেও দ্বিধা বোধ করেন নি। বরং তার ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের হাতে অগণিত বিপুল পরিমাণে অস্ত্র সরবরাহ করে তা ব্যবহারের মাধ্যমে উনি জাতির স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিঘ্ন করছেন। এখন পুলিশকে জরিমানা না দিতে পারলে সাধারণ জনসাধারণকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেল-হাজতে বন্দী করে রাখার পদ্ধতি অবলম্বন করে পুলিশের নতুন ব্যবসা শুরু করে গ্রাম-গঞ্জসহ পুরো বাংলাদেশে মাশরুমের মত এই ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করছেন। ধর্ম-গোত্র নির্বিশেষে রাজাকারী স্টাইলে সরকারী পক্ষ থেকে মহামারীর মত অগণিত খুন, হত্যা, গুম, ধবংসযজ্ঞ, লুটপাট, ধর্ষণ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবমাননা, ভাংচুর এবং অগ্ণীসংযোগে বাংলাদেশ যেন একটি স্তব্ধ বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবেও দিন দিন গভীরতর গর্তের মধ্যে চলে যাচ্ছে। এই সরকার আমলে সব মিলিয়ে বাংলাদেশ সামনের দিকে না যেয়ে, পুরোপুরি ৫০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে। আওয়ামী সরকার নতুন প্রজন্মের কাছে প্রকৃত দুষ্কৃতিকারী সরকারের তাবেদার রাজাকারদের আসল রূপটা ৭১-এর পর হাতে-নাতে আবারও উন্মোচিত করে দিলেন। এভাবে বাকশালী কায়দায় বাংলাদেশে এই ত্রাসের রাজত্ব বেশী দিন চলতে দেয়া যায় না। সরকার চাক বা না চাক জনগণ দেশদ্রোহী বামপন্থী আওয়ামী লীগ সরকারের আনিত এই অনাচারের প্রতিবাদ করবেই।







পুলিশ মৃতদের পোস্টমর্টোমও করছে না, যেন পরবর্তীতে নিজেদের গুলি করে হত্যা করার দায়দায়িত্বের সাক্ষী বা লিখিত রিপোর্ট না থাকে এবং এই হত্যাকান্ডের দায়দায়িত্ব সহজেই বিরোধী দল এবং জনগণের উপর চাপিয়ে দিতে পারে। এমন কি ধৃতব্যক্তিদের পরিবারদেরকে কাশ্মীরী স্টাইলে জিডি-ও করতে দিচ্ছে না বন্দী-ব্যক্তিদের হত্যা করে ফেলবার ভয় প্রদর্শণ করে। আহতদেরও মুখ খুলতে দিচ্ছে না। এবং গুলিতে বিদ্ধ হাজার হাজার বাংলাদেশী একদিনের ব্যবধানে পঙ্গুত্বের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশের বর্ডারের অস্তিত্ব আজ প্রশ্নবিদ্ধ।







৭১-এ যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ নেতারা এবং ভারতপ্রেমীরা ইন্ডিয়াতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছিল। এদেশের মাটিতে মারা গিয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে, ধর্ষিত হয়েছে, স্বজনহারা হয়েছে, সম্পত্তি চ্যুত হয়েছে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক মুসলিম জনতা, সংখ্যালঘু সাধারণ আম পাবলিক এবং বিহারীরা। কিন্তু ৭১-এর পর বাংলাদেশের শহীদ আম পাবলিক এবং বিহারীদের আত্মত্যাগী মাথার খুলির উপর সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করলো ৭১-এ ভারতে পলাতক এই সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগ এবং বাম পন্থী নেতারা। ঠিক একই কায়দায় এই বছরের মুসলিম জনতার উপর নির্যাতন এবং ব্রাশ ফায়ার করে নিধনের শিকার শহীদদের লাশকে মিডিয়াতে সংখ্যালঘুদের লাশে পরিণত করে, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের নাম করে আবারো সুবিধা লুটছে সরকার এবং বামপন্থীরা। বিশ্বের কাছে তা জোরদার করার জন্য নিজেরাই অগ্ণীসংযোগ, মন্দির ভাংচুর চালিয়ে যাচ্ছে, যা ৭১-এর পরবর্তী পদক্ষেপগুলোরই পূণরাবৃত্তির সামিল। বাংলাদেশী মুসলিমরা এবং দেশপ্রেমিক সংখ্যালঘুরা সরকারের এই হীন বেল তলায় দুইবার যাবে না।







প্রতিবাদী জনসাধারণের উপর শেখ হাসিনার হুকুমে যখন ব্রাশ ফায়ার করে খুন করা হচ্ছে, তখন যেই পুলিশ ভাইরা এতে অংশ নিচ্ছেন না, তারা চাকুরীচ্যুত হচ্ছেন। আমি আওয়ামী লীগ এবং সাধারণ পুলিশভাইদের বলবো যে, আপনাদের গা ঢাকা দেয়ার সময় আর এই সরকারের অধীনে নেই। হয় আপনারা হাসিনার কথা শুনে পুরো অমানুষ হয়ে যান - যেটার বিচার দেশবাসী আপনাদের করবে। না হয়, আপনারা যদি মনে করেন যে, হাসিনার হুকুম আপনারা হুবহু মানবেন না, তাহলেও কিন্তু আপনারা রক্ষা পাবেন না। কারণ আপনাদেরকে চাকুরীচ্যুত করা ছাড়াও, আপনাদেরকে গুলি করতে না দেখলে রাস্তার মধ্যেই আপনাদেরকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ, অথবা ছাদের উপর থেকে সরকারী ছাত্রলীগ দল গুলি করে আপনাদের হত্যা করবে। কারণ এখন হাসিনার পুলিশদের লাশের প্রয়োজন, যেন ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওরা পুলিশভাইদের এই লাশগুলো জামাত-শিবিরের দ্বারা নিহতের নাম করে চালিয়ে দিতে পারে।







পুলিশ ভাইরা একসাথে কাজ করার জন্য খুব ভালভাবেই জানেন যে, তাদের মধ্যে কারা দুষ্কৃতিকারী এবং কারা নিরব সহযোগী। এই পরিস্থিতিতে, পুলিশভাইদের পরিবারদেরকে আবেদন করছি যে, আপনাদের আত্মীয় পুলিশ ভাইরা যদি সরাসরি দুষ্কৃতকারী না হয়ে শুধু দুষ্কৃতকারী পুলিশদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিরব সহায়ক সাক্ষী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনারা তাদেরকে আবার ভেবে দেখতে বলেন যে, ওনারা জীবনকে বাজি রেখে সহযোগী নিরব দর্শক হয়ে থাকবেন, নাকি নিজেরাই দুষ্কৃতকারী হয়ে যাবেন। এই দুটি পথই ওনাদের দুনিয়া-আখেরাতের জন্য ক্ষতিকর। এই পরিস্থিতিতে ওনারা কি করবেন, সেটা ওনাদেরকেই বেঁছে ঠিক করে নিতে হবে। আল্লাহ আপনাদেরকে এবং ওনাদেরকে সঠিক পথে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার তৌফিক দান করুন।









বাংলাদেশ গত চার বছরে এই পর্যায়ে উপনীতই হয়েছে, সহিংস দলীয় মনোভাব এবং মিথ্যাচারকে অবলম্বন করে দেশ পরিচালনা করার জন্য। বঙ্গবন্ধু যেই ভুল করেছেন, আমরা সেই একই ভুল করতে চাই না। যুদ্ধের আগে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে, আমাদের পাট শিল্পই পূর্ব পাকিস্তানকে বাঁচাতে পারবে। কিন্তু স্বাধীনতার পর উনি বিশ্ব সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশের পাট এবং চা শিল্পের মালিকানা পরিবর্তন করে দলীয়করণ করলেন। ফলে পূর্বপুরুষ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উপযুক্ত শিল্পপতিরা পাট এবং চা ইন্ডাস্টিতে না থাকায় বাংলাদেশ এই শিল্পের উৎকর্ষতার মান হারালো। এবং বিশ্বে এই শিল্পগুলোর উৎপাদন এবং মূল্য বৃদ্ধি পেলেও বঙ্গবন্ধুর অনুপযুক্ত স্বার্থান্নেষী এবং অদূরদর্শী পদক্ষেপে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের পাট এবং চা শিল্পে নিম্মমানের উৎপাদনের জন্য বিশ্ব বাণিজ্য হারালো। একই ঘটনার পূণরাবৃত্তি চলেছে এবং চলছে গ্রামীন বাংক, ইসলামী ব্যাংক, পুলিশ বিভাগ এবং বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে। আমরা এর কুফল আগেও দেখেছি, এভাবে চলতে দিলে আবারো দেখবো। গার্মেন্টস শিল্পে সহিংস আগুণ ধরিয়ে already এর বিশ্ব বাণিজ্য বিলুপ্ত হয়েছে। বিশ্ব মার্কেটে বাংলাদেশ গার্মেন্টসের আগের যেই মাল পৌঁছে গিয়েছিল, সেই পণ্যের প্রতিটি পিস থেকেই এখন ‘Made in Bangladesh’ ট্যাগটা উঠিয়ে ফেলা হচ্ছে। এরজন্য একক ভাবে দায়ী হাসিনা প্রশাসন। এই প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রতিটি বাংলাদেশীর বৃহত্তর জাতীয় দায়িত্ব। এই দায়িত্বে পিছপা হওয়া দেশকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়া। আসুন আমরা সঠিক জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই।









আপনারা আরো পড়তে পারেন নিম্নে উল্লেখিত পোস্টগুলি,

১. আসুন এক নজরে দেখে নিই আওয়ামী হানাদারের কিছু বর্বরতা। http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/3896/Mission/8561

২. এত লাশ রাখবো কোথায়? সচেতন হোন জেগে উঠুন প্রতিবাদ করুন, বাঁচার মতো বাঁচুন http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/4916/suredakbar/8739

৩. দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কারন ধর্মীয় নয়, আ. লীগ: দেশে চলছে বাবুদের শাসন চললেও সাধারণেরা নির্যাতিত http://www.amarbornomala.com/details10277.html

৪. না.গঞ্জে ছাত্রীসংস্থার ১৬ কর্মীসহ আটক ১৮ http://www.rtnn.net//newsdetail/detail/1/4/60705#.UVAQwDCkqxt



























































বিষয়: বিবিধ

৭১৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File