‘পাকি-রাজাকার-ছাগু’ এই নামে কেন, বুকের পাটায় সত্য বলার সৎ সাহস থাকলে বলো যে, এরা ‘ভারত-বিরোধী’

লিখেছেন লিখেছেন বিজয়ী পতাকা ১০ মার্চ, ২০১৩, ১০:৪৩:৪০ রাত



মুক্তমণা প্রাণবন্ত নতুন প্রজন্ম, তোমরা ৪২ বছর আগে ছুটে যাওয়া এবং বিছিন্ন হয়ে যাওয়া দেশের নাম করে ‘পাকি-রাজাকার-ছাগু’ নাম ব্যবহার না করে, সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে তোমাদের বুকের পাটায় আরো সাহস থাকা দরকার যে, অভিযুক্তদের আসল পরিচয় হচ্ছে এরা সবাই ‘ভারত-বিরোধী’। তাহলেই দেখবে পিলখানার বিডিআরসহ সমস্ত হত্যাকান্ড, ধর-পাকড়, জেল-হাজত সবই ছকে ছকে কাঁটায় কাঁটায় মিলে যাবে। আমাদের বাপ-দাদারাই সবাই প্রথমে প্রধানতঃ বৌদ্ধ, তারপর প্রধানতঃ হিন্দু এবং পরে দলে দলে বিপুল সংখ্যায় সেচ্ছায় মুসলিম হয়েছিলেন এবং এখনও হয়ে চলেছেন। এবং আমরাও শত শত বছর ধরে ভারতের সাথেই ছিলাম, কিন্তু এক পর্যায়ে আমরা ভারত থেকে সেচ্ছায় বিচ্ছিন্ন হলাম। তারপর আমরা আবার পাকিস্তানের কাছ থেকেও নিজেদেরকে স্বাধীন করে নিয়ে স্বার্বভৌম রাষ্ট ‘বাংলাদেশ’-কে পৃথিবীর মানচিত্রের বুকে এঁকে নিয়েছি। সেচ্ছায় এই পদক্ষেপগুলো নিলেও আমাদের এই পথ অতিক্রম করাটা ছিল বন্ধুর এবং অনেক ত্যাগ এবং রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সাফল্য।

আমরা কেন মুসলিম হলাম, কেন ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হলাম, কেন পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠিকে হটিয়ে দিয়ে ‘বাংলাদেশ’ তৈরী করলাম -- এই গল্পগুলো কি তোমরা তোমাদের দাদা-দাদী, নানা-নানীর কাছ থেকে শুনে নাও নি? বয়োঃবৃদ্ধরা হচ্ছেন ইতিহাসের ধারক, ওঁনাদের দীর্ঘ জীবনের বিচিত্র সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার ইতিহাসের গল্প থেকেই তো নতুন প্রজন্ম নেতৃত্ব দিয়ে ভবিষ্যৎকে সমুজ্জ্জ্বল সূর্যালোকের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু বয়োঃবৃ্দ্ধদের কাছ থেকে ইতিহাসের শিক্ষা না নিয়ে দেশকে নতুন প্রজন্ম যদি নেতৃত্ব দিতে চায়, তখন অপরিপক্ক ইতিহাস এবং পারিপার্শ্বিকতা বিচ্যুত নাবিকের মতই তারা দেশকে অতল গহীণে ঠেলে দিয়ে ডুবিয়ে ফেলে। এবং বিভ্রান্ত এই তরুণ প্রজন্মের energy-কে তখন দেশের ভেতরের বিশ্বাসঘাতক এবং বাইরের শত্রুরা হাতিয়ার হিসেবে সহজেই কাজে লাগায়। এরজন্য তোমরা কোন কাজ করার আগে ভাল করে সে বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ইতিহাস শুনে নিবে। পাকিস্তানী এবং বাংলাদেশী প্রজন্মের বাচ্চারা একই ভুল করেছে যে, ওরা জনসাধারণ এবং আম পাবলিকের ঘরে ঘরে গিয়ে ইতিহাস সংগ্রহ করেনি। মানুষের মৌখিক ইতিহাসের গুরুত্ব তারা বুঝে নি। ফলে ইতিহাসের আঁধারে ঘেরা কালো সাপই তাদেরকে দংশিয়েছে, এবং আগামীর পথ চলাতে বাঁধার সৃষ্টি করেছে।

সরকারী মদদপ্রাপ্ত নব্য বাকশালী শাহবাগী নেতা এবং নেতৃত্বদানকারীদের কাজে কর্মে ছলে বলে কৌশলে আমরা একটা মাত্র উদ্দেশ্যই ধ্রুব সত্যের মত দিবালোকে দেখতে পারছি যে, তারা ভারতসেবী বর্তমান সরকারের সাথে এক হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে উঠে পরে লেগেছে। তবে কি ১৬ কোটি মা-বাবা-ভাই-বোনদের বাংলাদেশকে তারা কাশ্মীর বানানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে? এই সরকারের আমলের সাথে তো আমরা কাশ্মীরের গন্ধই পাচ্ছি? বিশ্বাস না হলে, নিজের চোখে ভিডিওর সাক্ষাৎকারটা দেখো? দেখবে যে, বাংলাদেশকে এই সরকার গত চার বছরে ফেরাউন বা ইজুজ মাজুজের খড়গহস্থ নিয়ে যা বানিয়েছে তার সাথে কাশ্মীরের মিল পাওয়া যাচ্ছে কিনা? এই অপকর্মের দিক্ষা বর্তমান সরকার নিয়েছে ভারত প্রভু এবং ইসরাইলের কাছ থেকেই, তাই তো তাদের কাজের সাথে ভারত এবং অভিশপ্ত ইসরাইলী তৎপরতার সাথে এত মিল। এই নেতারা কি তবে ভারতের জারজ প্রজন্ম হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে বসেছে? তা নাহলে কেন তাদের রক্তে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং স্বার্বভৌমত্ব সহ্য হচ্ছে না?

ভিডিও: Half widow Kashmir’s missing men http://www.channels.com/episodes/show/15526047/Half-Widow-Kashmir-s-Missing-Men

আমি বাংলাদেশে পড়াশুনা করার সুযোগ পেলেও আমার বড়ভাইর পড়ার জীবন বাংলাদেশের মাটিতে শুরু হয় নি। ফলে এযুগেও ও যখন ক্লাসে প্রতিবার প্রথম হত, তখন ভারতীয় নাগরিকরা প্রিন্সিপালকে শুধু অকথ্য ভাষায় গালাগালিই করতো না, বরং আমার ভাইর অবস্থানকে জোরপূর্বক নীচে নামিয়ে দেয়ার জন্য আন্দোলন করতো। He has to face these as a newcomer in this world. এটা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের আধুনিক শিক্ষিত liberal মুক্তমনের বন্ধুরা পুরো out of control হয়ে পড়তেন এবং সাম্প্রদায়িক নীতি অবলম্বন করতেন যদি এই সত্যটা তাদের সামনে আসতো যে, মুসলিমদের জন্য কোরআন শরীফ এবং আরবী ভাষা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আছে। আর মুখের সামনে দিয়ে তারা যত মধুর আচরণই করতেন না কেন, বন্ধ দর্জার আড়ালে তাদের মনোভাব থাকতো চরম সহিংস। ভারত সরকারের গোটা বাংলাদেশের প্রতি এবং এখনকার শাহবাগে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি এত আগ্রহ এবং আর্থিক সাহায্য সহযোগিতার প্রবণতা দেখে, ভারতের সরকারকে দুটি প্রশ্ন করতে চাই, যা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে সচিব মোহাম্মদ আসাফউদ্দোলা সরাসরি করেছিলেন,

প্রথম প্রশ্ন: Could you have operated this manner you are operating it now, if Bangladesh would have remained East Pakistan? (আপনারা যেই ভাবে আমাদের সাথে আচরণ করছেন, আমরা যদি এখনো পূর্ব পাকিস্তান থাকতাম, তাহলেও কি আপনারা আমাদের সাথে এই একই রকম ব্যবহারই করতেন?)

দ্বিতীয় প্রশ্ন: Could you have operated this manner you are doing it now, if I’m part of India? (আপনারা যেই ভাবে আমার সাথে ব্যবহার করছেন, আমি যদি এখন ভারতীয়দের অন্তর্ভুক্ত হতাম, তাহলেও কি আপনারা আমাদের সাথে এই একই রকম আচরণই করতেন?)

-- স্বভাবতঃই দুটি প্রশ্নের উত্তরই ‘না বাচক’ থাকায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ডাইনিং হলের দিকে এগিয়ে গেলেন।

এদিকে বাংলাদেশের মাটিতে যুদ্ধাপরাধী আট হাজার অভিযুক্ত রাজাকারদের বিচার না হওয়ায় এরাই পরে গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-নগরে, সংসদে-মন্ত্রী পরিষদে ছড়িয়ে পড়েছে। এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে ধৃত এই যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের লিস্টে জামায়াতী ইসলামীর একজন সদস্যও তালিকাভুক্ত ছিলেন না, ৭১ সনে বাংলাদেশের (তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানের) জামায়াতী ইসলামীর সর্বমোট কর্মী সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র ২০০ (দুই শত) জনের মত। স্বাধীন বাংলাদেশের জনসাধারণ এই আট হাজার (৩২,০০০-২৪,০০০=৮০০০) যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত কুখ্যাত রাজাকারদের নেতৃত্বে, আজ অবধি প্রতিনিয়ত অত্যাচার আর জুলুমের শিকার হচ্ছে। আমরা এই ৮ হাজার চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীরা সহ মুজিব সরকারের অধীনস্ত বাকি রাজাকারদেরও বিচার চাই। যুদ্ধের সময়ে এবং পরে এইসব চিহ্নিত রাজাকারদের তান্ডব বাংলাদেশের জনগণ কোনদিন ভুলতে পারে নি। এরজন্যই ইলেকশন আসলেই গ্রাম-গঞ্জ, শহর-নগর থেকে প্রতিবার আওয়াজ উঠেছে, ‘আওয়ামী লীগকে রুখতে হবে, ওরা সরকারী পদে গেলে দেশে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যেইভাবে বৃহত্তর আকারে চুরি-ডাকাতি, খুন-খারাবী এবং ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়, তা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এবং পরবর্তী বছরগুলোতে বাংলাদেশের জনগণ দেখেছে।’

অথচ অযৌক্তিক যুক্তিতে ভরা এবং সত্য থেকে বিচ্যুত বানোয়াট তথ্যকে ভর করে শেখ হাসিনাসহ শাগবাগী নেতারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণা করছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ওরা কাদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে? স্বাধীন বাংলাদেশের বিরূদ্ধে? ১৬ কোটি দেশপ্রেমিক জনতার বিরূদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে? নতুন প্রজন্মের এই শাহবাগী নেতাদের কথায় এবং কাজে তো আগাগোড়া মিল নেই, এর আগেই তো এরা সরকারের মদদেই অবস্থান করে আবার সরকারের বিরূদ্ধে আন্দোলনের নাম করে নাটকের মঞ্চযাত্রা শুরু করেছে।

বাংলাদেশের মা-বোনেরা এবং তৌহীদী জনতা এইবার এক হয়েছেন, জীবনের সমস্ত শক্তি দিয়ে সবাই গর্জে উঠেছেন। সত্যকে জানার এবং চেনার সুযোগের দ্বার আবারো উন্মুক্ত হয়েছে, আমাদের আর দেরী করার সময় নেই। হাসিনা সরকার এবং উচ্চ পর্যায়ের শাহবাগী বাকশালী নেতারা আবারো সোচ্চার হয়েছে বাংলাদেশের জনতার উপর অত্যাচারের স্ট্রিম রোলার চালিয়ে বাংলাদেশকে ভারতীয়করণ প্রকল্পে অঙ্গরাজ্যে পরিণত করতে। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আমরা আজো ঈমানী শক্তি এবং সংখ্যায় অনেক বলিয়ান। আমাদেরকে শেষ করা অত সহজ হবে না, আর আমরা শেষ না হওয়া পর্যন্ত গত চার বছর থেকে শুরু হওয়া এই ধ্বংসযজ্ঞ ওরা চালাতেই থাকবে যুগ যুগ ধরে। এইবার আমরা শুধু কারাগারে বন্দী যুদ্ধাপরাধের দোষে অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত বজ্রকন্ঠ বীর মুজাহীদ নেতাদের মুক্তই করবো না। বরং এই ভারতপ্রেমিকদেরকে চিরতরে ভারতেই পাঠিয়ে দিবো। ওদের যখন এতই সখ্যতা করার ইচ্ছে, জায়গা মত গিয়েই সখ্যতা করুক। স্বাধীন বাংলাদেশকে বিকিয়ে দিয়ে সখ্যতা করতে দিবো না।

আমরা সবাইকে শক্তভাবে আবারো এক জোটে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি। ভারতের রাষ্টপ্রতি প্রণব মুখার্জীর সাথে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে বসতে অস্বীকার করে বেগম খাদেলা জিয়া যেভাবে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, সেভাবে আমরা সবাই আওয়ামী লীগের সাথে আর কোন বৈঠকে বসবো না, ওদেরকে আমাদের এখনকার মূল্যবান সময় বিকিয়ে দিবো না। দেখেছেনই তো ট্যাইবুনাল নামের ক্যাঙ্গারু ট্রায়ালের নাটক -- যতই সত্য সাক্ষী দেন না কেন, তা তারা গ্রহণই করবে না, বরং পূর্ব নির্ধারিত বানোয়াট রায়ই তারা দিবে, ফলে এই ট্রায়ালের জন্য সময় নষ্ট করার মানে হচ্ছে, ন্যাড়ার দুইবার বেল তলায় যাবার মত নির্বুদ্ধিতা। আমরা সবাই কাশ্মীরের ভিডিও দেখলে দেখবো যে আজ পর্যন্তও ওদের অবস্থার আজো কোন সুরাহা হয়নি, আর এই আওয়ামী সরকারের তৈরী করা বর্তমান ‘ডাকাতদের গ্রাম বাংলাদেশ’-এর সাথে ওদের হুবুহু মিল, আমরা কি আরো ৭০ বছর ধরে বাংলাদেশে ২০১৩ সনের জানুয়ারী ফেব্রুয়ারী এবং মার্চ মাসেরই পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই? পূর্বের দিনগুলো ছাড়াই শুধু এই মাসগুলোর ধংসযজ্ঞই কি আমাদের জন্যে যথেষ্ট হয়নি? আমরা নামাজ পড়ে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিরোধী দলের নেতাদের জানিয়ে দিচ্ছি যে, পরবর্তী ৭০ বছর ধরে না, বরং এখনই সরকারের চাপিয়ে দেয়া স্বঘোষিত এই যুদ্ধের ময়দানে আমরা এক জোগে নামতে প্রস্তুত। হাসিনা সরকার গলিতে গলিতে সমরাস্ত্র নিয়ে ঘাঁটি বেঁধে বাংলাদেশের বিরূদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, এখন আমাদের আর পিছ পা হওয়ার সুযোগ নেই। হাসিনা সরকার এই নাটক-সিনেমা বন্ধ করে অবিলম্বে পদত্যাগ না করলে এবং শাহবাগী নেতাদেরকে দেশদ্রোহী কালো শক্তিকে সহযোগিতা করার দায়ে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা না করলে, সরকারের চাপিয়ে দেয়া স্বঘোষিত এই যুদ্ধের বিরূদ্ধে রাজপথে নেমে অস্ত্রবিহীন গণসংগ্রামের ঘোষণা আমরাও করলাম, স্বাধীনতা বিরোধী জালেম দেশদ্রোহী ষড়যন্ত্রকারী বামপন্থী ভারতের দালাল বিশ্বাসঘাতক মিরজাফর আওয়ামী লীগ সরকার এবং ভারতীয় আগ্রাসনের বিরূদ্ধে... ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম ভারতীয় শাহবাগের সহযোগীদের বিরূদ্ধে সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীন বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক ১৬ কোটি জনতার সপক্ষে সংগ্রাম।’

মুসলিম মা ও বোনেরা, ঘরে আপনাদের পুরুষরা আছে বলেই আপনাদের বুকের পাটাতে এত জোর যে, ঝাড়ু দেখিয়ে ঘরের বাইরে মিছিল করতে বের হচ্ছেন। কিন্ত সাবধান, বামপন্থীদের স্বঘোষিত এই যুদ্ধের বিরূদ্ধে আমরা এখনই দেশকে স্বাধীন মুক্ত করে বিজয়ী করবোই ইমশাআল্লাহ, তা নাহলে বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্যে একবার পরিণত হয়েই গেলে আগামী ৭০ বছরও লাগবে না, কাশ্মীরের মত আগামী ১০ (দশ) বছরের মধ্যেই আপনাদের ঘরে একজন কর্মক্ষম পুরুষও বেঁচে থাকবে না, চোখের সামনে ঘর থেকে বিনা কারণে তাদের বের করে নিয়ে গুম করে মুখের উপর এমনভাবে সেকথা অস্বীকার করবে যে আপনারা থানায় জিডিও করতে পারবেন না। তারপর পুরুষবিহীন আপনাদের খালি ঘরে বাংলাদেশের রাস্তায় রাস্তায় অবস্থানরত ইন্ডিয়ান সৈন্যরা আপনাদেরকে বিনা পরিশ্রমেই প্রতিনিয়ত চরিত্র হরণ করবে, প্রতিবাদ করলে আপনাদেরকেও গুম করবে। আপনারা কি এধরনের জীবনই চান? ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ার সময় কি এখনো আসেনি আমাদের?

এই যুদ্ধে গাজী হয়ে সিংহের মত স্বাধীন বাংলাদেশে বাঁচতে পারলেই আমাদের জয়। তা নাহলে বৃটিশচালিত ভারতীয় প্রসাশনে থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশের মাটিতে এই যে সুপ্রতিষ্ঠিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, এই ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ গঠন করার সময়ও যখন সাম্প্রদায়িক ভারতীয়রা, মহাকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ প্রচন্ড স্বক্রীয়ভাবে তুমুল আন্দোলন করে বিরোধিতা করেছিল, সেখানে এখন বিড়ালের মত ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়ে আপনারা বাঁচার ইচ্ছে পোষণ করলেও পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যেই কাশ্মীরের মত আমাদের দেশে একটা কার্যকরী উপযুক্ত স্কুল কলেজ বিল্ডিংসহ আর অবশিস্ট থাকবে না। পুরো বাংলাদেশই বস্তিতে রুপান্তরিত হবে। ফলে দীর্ঘ genocide (গণহত্যা) এবং ethnic cleansing-এর ফলে by product হিসেবে পাওয়া ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অধিকাংশের মানসিক রোগজনিত ব্যাধি এবং আত্মহত্যাপ্রবণ ভঙ্গুর বিদ্ধস্ত অকেজো জাতিতে বাংলাদেশ পরিণত হবে। আর এই ভয়াবহ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে, আজকের রাজপথে নামা এই বিপুল সংখ্যক অস্ত্রবিহীন দলে দলে যোগদানকারী শহীদই বাঁচাতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ। মনে দৃঢ় বিশ্বাস রাখবেন দেশের স্বার্থে সত্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার সপক্ষে আমাদের এই প্রতিবাদী আন্দোলনের সাথে আল্লাহর সাহায্য আছে, এজন্য অদূর ভবিষ্যতেই খুব শিগগিরিই আমরা ভারতীয় আগ্রাসনের হুমকির মুখে নিপতিত আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আবারো সুনিশ্চিত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

আমরা চাইনা দ্বিতীয় কাশ্মীর, এই পরিণতির হাত থেকে বাঁচার জন্যই আমাদের বয়োঃবৃদ্ধরা ১৯৪৬ সনে ভারতবিহীন পূর্ব-পাকিস্তান গঠন করেছিলেন। তাই আসুন, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানমাল রক্ষা করতে, মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ে গগণ ফাঁটানো বজ্রধ্বনিতে গর্জে উঠি, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম ভারতীয় শাহবাগের সহযোগীদের বিরূদ্ধে সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীন বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক ১৬ কোটি জনতার সপক্ষে সংগ্রাম।’

নতুন প্রজন্ম, তোমরা তোমাদের নিজেদের দাদাদের গল্প শোনা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকলে, এবার একজন দাদার কাছ থেকে গল্প শুনে নাও। আমাদের প্রকৃত বন্ধু কে তা তো চিনে নেয়ার এখনই সময়, আর যারা প্রকৃত বন্ধুত্ব করতে না জানায় প্রতিহিংসা পরায়ণ, তাদেরকে নিজের ঘরের ভেতর না ঢুকিয়ে প্রতিবেশীর সন্মানেই রাখা উত্তম বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নয় কি?

করিডোর বিষয়ে গোল টেবিল১ http://www.facebook.com/photo.php?v=10150211792668636

করিডোর বিষয়ে গোল টেবিল২ http://www.facebook.com/photo.php?v=10150211780988636

করিডোর বিষয়ে গোল টেবিল৩ http://www.facebook.com/photo.php?v=10150211769938636



বিষয়: বিবিধ

২১৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File