সাবধান!!! কাদেরকে মারা হবে এই বিপুল অস্ত্র দিয়ে??? (২য় পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন বিজয়ী পতাকা ০৪ মার্চ, ২০১৩, ০৫:৫৫:৩০ বিকাল
১ম পর্ব: http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/4144/bijoyipotaka/6025#.UTRt-6LqmOE
দেশপ্রেমিক বাংলাদেশের জনসাধারণকে sabotage করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকারী দল আওয়ামী লীগ। ২৮শে ফেব্রুয়ারীর গণহত্যার চাইতেও ভয়াবহ হত্যাকান্ডের প্রস্তুতি নিয়েছে ছাত্রলীগ!
কিভাবে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে বিরোধী দলকে আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ে ফাঁসায় এবং কেন?
১. আপনারা সবাই জানেন যে, চার বছর আগে ইলেকশনের সময়ে শেখ হাসিনা তার নিরাপত্তা বর্ধনের জন্য অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিয়েছিল। তাকে বুলেট প্রুফ কাঁচের ভেতর থেকে বক্তৃতা দিতে দেখা যেত। শেখ হাসিনাকে মনে করবেন না যে, ডিজিটাল যুগের আধুনিকা হওয়ার জন্য উনি এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বরং পরবর্তী ধ্বংসাত্মক ঘটনাগুলোই বলে দেয় যে শেখ হাসনা কেন নিজের জীবন নিয়ে এত ভীত ছিলেন! এটা ছাড়াও আর একটি আলামত আগেও ঘটেছে। তা হল, প্রণব মুখার্জী বাবুর আগমণ। ইলেকশনে আওয়ামী লীগের কাকতালীয়ভাবে জেতা, তার পরপরই ভারতীয় রাষ্ট্রপতির প্রতি হৃদ্যতা, এরপরই ঘটে গেল ভারতীয় বন্দুকবাহিনী দিয়ে বিডিআরের হত্যাযজ্ঞ। ফলে শেখ হাসিনা যখনই তার নিরাপত্তা বর্ধন করবে এবং ভারতের প্রধানদেরকে বাংলাদেশের মাটিতে সাদর আমন্ত্রণ করবেন, বুঝে নিবেন যে, বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে।
২. নিজের নাক কেঁটে হলেও পরের যাত্রা ভঙ্গ করতেও আওয়ামী লীগ সব সময়ে ওস্তাদ। সেই হিসেবে নিজেদের ভোটার সংখ্যালঘুদের উপর সুপরিকল্পিতভাবে নির্যাতন চালিয়ে হলেও তারা ভারত বিরোধী জনতার উপর দোষ চাপিয়ে আসছে। যখন তারা একটার পর একটা করে নিরিহ গরীব বস্তিতে আগুণ ধরিয়ে চলেছে, তখন সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালানো কি কোন ব্যাপার আওয়ামী লীগের পক্ষে? যেটার রেশ already শুরু হয়ে গিয়েছে।
এখন হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান সম্প্রদায়ও বুঝতে শুরু করেছেন যে, আওয়ামী লীগ সরকারই প্রতিবার প্রতিপক্ষের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ঘায়েল করার জন্য ওনাদেরকে ব্যবহার করে ওনাদের উপর নজিরবিহীন অসহণীয় নির্যাতন শুরু করে দেয়।
৩. আওয়ামী লীগের আর একটি ঘৃণ্য কাবু করার উপায়টাও হচ্ছে নিজেরাই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে অন্যকে ঘায়েল করা। তবে এই তৃতীয় পদ্ধতিটি পরিলক্ষিত হয়েছে পপুলার ‘সোনার বাংলাদেশ ব্লগ’ বন্ধ করার সময়। নিজেরাই পরিকল্পনা করল যে, সোনার বাংলাদেশকে বন্ধ করতে একটা নাটক সাজাতে হবে, এতে থাবা বাবার খুনীদেরই একজন একটি পোস্ট প্রকাশ করলো ১১ তারিখে, সরকারী পক্ষ বলে নিজের নামও সে ‘স্পর্শের বাইরে’ দিতে ভুললো না। তারপর খুন কার্য সমাপ্তির পরই কাক্ষিত ধরপাকর করলো এবং সোনার বাংলাদেশ ব্লগসহ পুরো সাইটই বন্ধ করে দিলো। এর জন্য নিশ্চয়ই সরকারী কর্মকর্তারা ৯ই ফেব্রুয়ারী থেকে কাজটি শুরু করেন নি, কাজটিতে হাত দিয়েছেন তারও আগে। এবং এই উদ্দেশ্য সাধনে শাহবাগেরই একজনের প্রাণ ছিনিয়ে নিতে তাদের হাত একটুও কাঁপে নি।
৪. যেই ধ্বংস যজ্ঞের প্রস্তুতি আওয়ামী লীগ নিজেরা করে, সেটা ঘটানোর আগ দিক দিয়ে ঐ কাজটাই প্রতিপক্ষ করবে সেটার সুর তলা শুরু করে দেয়। এইজন্য নিজেরা ট্রাক ভর্তি অস্ত্র হাতে জোগাড় করে already আওয়ামী লীগ খবর ছড়াতে শুরু করেছে যে, জামাত-শিবির পাহাড় থেকে ট্রাক বোঝাই অস্ত্র আনছে। এই খবরটা শুনলে প্রথমে জামাত-শিবিরের কর্মীদের কাছে অত্যন্ত হাস্যকর মনে হলেও (কারণ ওরা কি পাহাড় থেকে কাঠের গুড়ি আর পাথর আনতে ট্রাকের সহায়তা নিবে?), এই খবরটা সুধীজনদের কাছে অত্যন্ত disturbing খবর, কারণ এতে যে আওয়ামী লীগই অফিসিয়ালি ট্রাক বোঝাই করা অস্ত্র জোগাড় করে নিজেদের পজিশন রেডি করে ফেলেছে বোঝা যাচ্ছে, এবং next step হিসেবে আওয়ামী লীগই জামাত-শিবিরের নাম করে গুজব ছড়াচ্ছে এবং তাদের এই প্রকাশ যে বরং সেটাকেই আরো confirm করলো এবং তারা এগুলো প্রকাশ করার সময় ‘সুপরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের’ কথাটিও উল্লেখ করতে ভুলছে না। কারণ তারা যে, নিজেরাই এই ‘সুপরিকল্পনার’ অন্তর্ভূক্ত।
৫. আগেই উল্লেখ করেছি যে, স্বাধীনতা ঘোষনার দেড়দিন আগে যখন পাকবাহিনী এবং সহায়ক গোষ্ঠী পালিয়ে মাঠ খালি করে ফেলেছে, তখন ফাঁকা মাঠে লিস্ট তৈরী করে ৭১ সনের ১৪ই ডিসেম্বর রাশান বামপন্থী আওয়ামী লীগ সংগঠিতভাবে ভারত বিরোধী চীনাপন্থী বুদ্ধিজীবীদের মেরে নিজেদের রাস্তা খালি করেছিল। এবং তা থেকে সুদে আসলে আরো ফায়েদা বাড়ানোর জন্য, ঘাতকদের নাম দিয়েছে already পলাতক রাজাকার এবং পাকবাহিনীর উপর। আওয়ামী লীগ কি নিজেরাই বোকা, নাকি ওরা ভাবে যে বাংলাদেশী জনসাধারণরা forensic evidence read করতে পারে না।
৬. আপনারা সেদিন দেখেছেন যে, উত্তর গেটে তালাবদ্ধ বায়েতুল মুকাররাম মসজিদের মধ্যে কত পুলিশ এবং ছাত্রলীগের কর্মী জুম্মার নামাজ আদায় করেছিল। এই সংখ্যাটা সব সময় মনে রাখবেন। সাদা পোশাক পরে ওরা এভাবেই তৌহীদী জনতার মধ্যে ঢুকে অবস্থান নিয়ে আগুণ লাগিয়ে দেয়, বাস পুড়ায়, গাড়ি ভাঙ্গচুর করে, মানুষকে আগ বাড়িয়ে গিয়ে মরণাস্ত্র দিয়ে খুন করে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নষ্ট করতে অগ্রগামী হয়। তবে এখন তারা এই গর্হিত অপরাধগুলো খুব সুপরিকল্পিত এবং সুনিপুণভাবেই করছে। টায়ার পুড়ানো, গাছের গুড়ি এবং ইট পাটকেল ছাড়া রাস্তায় অন্য কিছু নষ্ট করা কি হিসেবে বাহ বাহ পেতে পারে?
৭. বিডিআর হত্যার পরও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন যে, যেখানে সেনাবাহিনী এবং র্যাব-এর মতায়নবাহিনী বিডিআর পিলখানার গেটের কাছে পর্যন্ত যেতে পারেনি, সেখানে খুনীদের পারাপার করানোর জন্য অযথা ঐ এলাকা দিয়ে হঠাৎ ‘নারায়ে তাকবির’ দেয়া স্লোগান দেয়া ঝটিকা মিছিল গিয়েছিল বাঁধার সম্মুখিন না হয়ে, খুনীদের সাদা পোষাকে গা ঢাকা দেয়ানোর জন্য। তাই খুন করে ভারতীয়দের সেবা করতে আল্লাহর নাম নিতেও আওয়ামী লীগের বুক কাঁপে না।
মোদ্দা কথা হল, মিরজাফর আওয়ামী লীগের মস্তিষ্ক এভাবে programmed হয়ে আছে যে, ভারত বিরোধী হলে তার বাংলাদেশে ঠাই নেই, তা সে আস্তিক হোক, নাস্তিক হোক, মুসলিম সম্প্রদায়ের হোক, কি সংখালঘু সম্প্রদায়ের হোক, ভারত বিরোধী হলে তাকে জানে মরতেই হবে, এই ছুঁতা সেই ছুঁতা ধরে। কারণ ভারত তো আগেই তার-কাঁটার বেড়া দিয়ে রেখেছে, তাই দৌঁড়ে পালানোরও তো পথ নেই। ফলে আওয়ামী লীগের কাছে এই বাংলাদেশের মাটিই হচ্ছে দেশপ্রেমিকদের বধ্যভূমি।
এমতাবস্থায় আপনি যদি ভারত বিরোধী হন, আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতেই হবে এবং সাহসিকতার সাথে সার্বজনিন ডাকাত এবং সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগের উপর ছাঁপিয়ে পড়তেই হবে প্রতিবাদের সর্বোচ্চ বুদ্ধিমত্তা নিয়ে। এটি all time খোদাদ্রোহী আওয়ামী লীগের তৎপরতা অবলোকন করার মাধ্যমেই এই প্রতিবেদনটা আমি লিখলাম।
আপনারা যদি আমার observation-এর সাথে আপনাদের নিজেদের দেখা অভিজ্ঞতার সাথে মিল পান, তবে আলহামদুলিল্লাহ। আর যদি মনে করেন যে এই সাজানো নাটকগুলোতে আসলেও জামাত শিবির দোষী, তবে আমার অনুরোধ একটাই থাকবে যে, প্রচার মাধ্যম এবং শোনা কথার উপর ভিত্তি করে না এবং দূর থেকেও নয়, বরং ব্যক্তিগত জীবনের গহীণ পর্যন্ত আপনারা কি কোন জামাত-শিবিরের কর্মীদের সাথে মিশেছেন? মিশে থাকলে তাদের দৈনন্দিন চলাফেরার মধ্যে simplicity ছাড়া অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা দেখেছেন (এমন কি তারা সংসদ সদস্য হওয়ার পরও, তাদের বাড়িতে আপনারা কি visit করেছেন, এবং এতে কি তাদের মধ্যবিত্ত জীবনযাপনে কোন পরিবর্তন দেখেছেন)? তাদেরকে কি কোনদিন মদ-জুয়া-গাঁজার আসরে সময় অতিবাহিত করতে দেখেছেন? না দেখে থাকলে এটা জানবেন, চাল ফুটেছে কিনা তা পরখ করতে পুরো হাঁড়ির ভাতকে টিপে টিপে দেখতে হয়না, দু’তিনটা ভাত টিপাই যথেষ্ট, ফলে আপনার দেখা পরোপকারী প্রাণপ্রিয় বন্ধুর মতই বাকি জামাত-শিবিরের দোসররাও হয়ে থাকে। আর গাঁজা-মদখোরদের দোসর বন্ধু মদখোর হওয়াই স্বাভাবিক, তাই নয় কি? ধন্যবাদ।
লেখাটা ছাপাতে দেরী হয়ে গেলেও, আমার এই লেখার মাধ্যমে যদি একজন দেশের মানুষও উপকৃত হন, আমি নিজেকে সার্থক মনে করবো। ফি আমানিল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১৫৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন