সাবধান!!! কাদেরকে মারা হবে এই বিপুল অস্ত্র দিয়ে??? (১ম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন বিজয়ী পতাকা ০৪ মার্চ, ২০১৩, ০৩:৪২:০১ দুপুর
দেশপ্রেমিক বাংলাদেশের জনসাধারণকে sabotage করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকারী দল আওয়ামী লীগ। ২৮শে ফেব্রুয়ারীর গণহত্যার চাইতেও ভয়াবহ হত্যাকান্ডের প্রস্তুতি নিয়েছে ছাত্রলীগ! আপনারা নিজেরাই জানেন যে, নিজেদের মিছিলে নিজেরাই বোমা ফুটিয়ে বিরোধী দলকে ফাঁসানোর অভ্যাস আওয়ামী লীগের চিরাচরিত মজ্জাগত নীতি। এখন তারা মাইক্রোবাস ভরে ভরে মরোণাস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র গ্রামে গঞ্জে শহরে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছাত্রলীগের হাতে পৌঁছে দিয়েছে already ২/৩ দিন আগে।
এই প্রস্তুতি নেয়াতে দেশবাসীকে বিভিন্নভাবে সাবধান হতে হবে, কারণ কাদেরকে মারা হবে এই বিপুল অস্ত্র দিয়ে?
১. হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান সংখ্যালঘু জনসাধারণ, আপনারা জানেন ডানপন্থীরা আপনাদের জানমালের ক্ষতি করেনি এবং করবে না ইনশাআল্লাহ। তৌহীদী জনতা আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে তাদের শরীরের রক্তের বিনিময়ে। কিন্তু এখন এটাই যথেষ্ট নয়, আপনারা যারা ভারতের প্রভুত্বকে স্বাগত জানাচ্ছেন না, বরং বাংলাদেশের মাটিকে নিজেদের আত্মীয়স্বজন, পরিবার বাড়িঘর ব্যবসা বাণিজ্যকে ভালবাসেন, তারা রুখে দাঁড়ান, নিজেদের পরিবার, ব্যবসা এবং ধর্মমন্দিরকে প্রতিরক্ষার জন্য নিজেরা সংগঠিতভাবে এগিয়ে আসেন। কি করবেন, বলেন? সরকার যখন নিজেই রক্ষক না হয়ে মা কালীর রূপ ধারণ করেছে, তখন তো তৌহীদী জনতার সাথে আপনারাও অসহায় না হয়ে সাহসী পদক্ষেপ নেন।
২. ছাত্রলীগ-যুবলীগ, আমরা জানি তোমরা যতই দুনিয়া লুটপাটের ধান্দায় মত্ত থাকো না কেন, তোমরা কিন্তু প্রতিহিংসা পরায়ণ এবং নিজেরাই নিজেদের শত্রু, এবং সুযোগের সন্ধানে থাকো যে, কখন তোমরা নিজেদের দলেরই অপছন্দণীয় প্রতিপক্ষকে নিধন করবে। ফলে তোমরা যদি সরকারের পক্ষ থেকে এখনও মরোণাস্ত্র পেয়ে না থাকো, মনে রেখো তোমরাই সরকারের টার্গেট হয়ে বসে আছো, এই বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তোমাদেরকেই মারা হবে।
৩. আপনি যদি ভারত প্রেমিক হোন, তবে শাহবাগের চত্বরের মত আপনার হাতে আপাততঃ দৃষ্টিতে বিরিয়ানী-পানি এবং প্রয়োজনীয় সব কিছু এসে গেলেও জানের কোন নিঃশ্চয়তা নেই, কারণ মনে রাখবেন যে, নেতাদের কাছে আপনারা শুধু একটি number. আওয়ামী লীগের দেখানো ভালবাসা সব সময়েই খুব অস্থায়ী হয়। ফলে নিজেদের স্বার্থে দরকার হলে আপনার জনে-জনরাণ্য সমাবেশে বোমা ফুটে অগণিত মানুষ মেরেও নেতারা তাদের স্বার্থ উদ্ধারে দৃঢ়হস্ত। কারণ আপনাদের কি এখনও মনে আছে, বিডিআর হত্যাযজ্ঞের সময়ে, অনুষ্ঠান থেকে শেখ হাসিনা কেমন absent ছিলেন। এই ক্ষেত্রে chosen নেতারাই শুধু আগে থেকে জানতে পারবেন এই ধ্বংস যজ্ঞের সময়-তারিখের কথা, কিন্তু কে যে উর্ধ্বতনদের দ্বারা নির্বাচিত হবেন তা ঘটনা ঘটার পর জীবিত নেতাদের জবানবন্দী থেকেই শুধু জানা সম্ভব।
৪. আলেম-ওলামা এবং বাংলাদেশের বিপুল জনসাধারণ, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, হাসিনা সরকার পাগল হয়ে গিয়েছে, এবং বাংলাদেশকে বিনে পয়সায় ভারতের অঙ্গরাজ্য করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের একটাই হিসেব সবসময়ের মত যেটা হচ্ছে যে, ভারত বিরোধী কোন জনতার বাংলাদেশের মাটিতে ঠাঁই নেই। কিন্তু তৌহীদী দেশপ্রেমিক জনতা হিসেবে আমাদের সংখ্যাও তো বিপুল, তাই তো সরকার দিন দিন পুলিশ বাহিনীকে বাড়াচ্ছে এবং বাংলাদেশী সৈন্য নামাচ্ছে রাস্তায় রাস্তায় মোড়ে মোড়ে। তাছাড়া ছাত্রলীগেরকে দিয়ে এই বিপুল অস্ত্র প্রয়োগ করে একটা মহা প্রলয়ের নাটক তৈরী করবে গণহত্যার মাধ্যমে যেন, ইরাক এবং আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্য মতায়ন করার মত করে বাংলাদেশের মাটিতেও ভারতীয় সৈন্যদেরকে permanent ঘাঁটির ব্যবস্থা করে দিতে পারে। ৭১-এর ভারত বিরোধী চীনপন্থী বুদ্ধিজীবীদেরকে যেভাবে রাশান বামপন্থী আওয়ামী লীগ ১৪ই ডিসেম্বরে একবার মেরেছিল, ঠিক একই কায়েদায় আবারো তারা লিস্ট তৈরী করে ঘর এবং মসজিদ থেকে দেশপ্রেমিকদের ধরে নিয়ে গিয়ে গুম করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এজন্যই আমাদের শহীদ এবং আহতের সংখ্যা এত দ্রুত গতিতে অগণিত ভাবে বেড়েই চলেছে।
৫. ব্লগ-ফেসবুক-টুইটার-সংবাদপত্র এবং ইন্টারনেট কমিউনিটি, আপনারাও জালেম সরকারের রোষানলের বহিরাগত নন। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীন করে আলাদা করা সহজ হয়েছিল বিভ্রান্তি ছড়িয়ে, এবং যোগাযোগের মাধ্যমের অভাবে জনসাধারণ তা প্রতিহত করতে পারেনি বলে। ডিজিটাল যুগে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আবার ৭১-এ মত সঠিক সংবাদ বিহীন গণমাধ্যমে ফিরিয়ে নিচ্ছে, যেন ৭১-এর মত মানুষ নির্ভুল তথ্য না পায় এবং ওদের ছড়ানো মিথ্যা বানোয়াট কথাই প্রচারিত হয়ে বাংলাদেশ বিভক্ত থাকে এবং দিক বিদিক শূণ্য থাকে।
এরজন্য ইন্টারনেট কমিউনিটির প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা লিখিত পোস্টগুলো সম্প্রচারে মনোযোগী হন। এই কঠিন সময়ে আপনারা ইন্টারনেট সৈনিক হয়ে পড়েন, যে যে পারেন একাধিক ব্লগ, ফেসবুক পেইজ, টুইটার, সংবাদপত্র, টেলিভিশন স্টেশনের সংখ্যা বর্ধন করার ব্যবস্থা নিন। এবং সেই বর্ধিত যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর খবর সবাইকে পৌঁছে দিন এবং সবগুলোতে দরকার হলে নিজের একই পোস্ট এবং প্রিয় পোস্টগুলো ছড়িয়ে দেন।
সরকার already ১২টি ব্লগসহ ইন্টারনেট সাইট বন্ধ করেছে, এবং করতেই থাকবে, আমাদের খবর বিতরণ করা যেন ব্যাহত না হয় তাই মাশরুমের মত আমাদের ইন্টারনেট কমিউনিটি বাড়িয়েই যেতে হবে।
৬. জামাত এবং শিবিরের ভাই-মা-বোনেরা, সরকার এপর্যন্ত মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার করেই শাহবাগ চত্বর চালাচ্ছে, এবং এর মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলিম এবং ভদ্র সুশীল জনতাকে সারশূণ্য নাস্তিকতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে -- অথচ এনাদের বেশীর ভাগই সঠিক তথ্য পেলে নিজেরা ধর্মপরায়ণ না হতে পারলেও at least ধর্ম পরায়ণদেরকে শ্রদ্ধা করতে শিখতেন। এবং বিশ্বের কাছে আমাদেরকে জঙ্গী দল হিসেবে উপস্থাপন করছে শব্দ চয়নের মাধ্যমে। কিন্তু তা প্রমাণ করতে এখনো কোন ছবি বা লাইভ ভিডিও তারা দাঁড় করাতে পারে নি।
এইবার ছাত্রলীগকেই এখন টুপি পরিয়ে, নারায়ে তাকবির শ্লোগান দিয়ে ওরা সংখ্যালঘুদের এবং বাংলাদেশের আম পাবলিকের উপর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে হলেও লাইভ ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি তৈরী করে পৃথিবীকে প্রমাণ করবার ষড়যন্ত্র করেছে জামাত-শিবিরকে অফিসিয়ালি জঙ্গী দল হিসেবে তুলে ধরার জন্য। কারণ local জনসাধারণ না হলে বিদেশী মিডিয়ার পক্ষেও জানা সম্ভব না যে কে সত্যিকারী জামাত-শিবির এবং কে ছদ্মবেশে জামাত-শিবির হয়ে সেজেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আপনারা কোথাও নিজের ব্যবহার উপযোগী এমন কোন রকম অস্ত্রের ছবি বা কথাও ছাপাবেন না কাউকে ভয় দেখানোর জন্য হলেও না। যেই পথ আমরা ধরি না, সেই হুমকি দেয়ার কোন দরকার আছে, বলেন? মনে রাখবেন যে, ৭১ সনে বাংলাদেশের মাটিতে জামাতের মাত্র ২০০ (দুই শত) কর্মী ছিল, এবং সেই সংখ্যা এখন কোটিতে পৌঁছাতে পেরেছেন নিজেরা সত্য কায়েমে শহীদ হয়েছেন বলেই। যদি এরমধ্যে জামাত-শিবির অস্ত্র হাতে নিতো তখন আর অপবাদ অপপ্রচারের দরকার হত না, এগুলো ছাড়াই অনেক আগেই ইতিহাস থেকে জামাত-শিবির চিরতরে বিলিন হয়ে যেত। এদিকে আপনারা বিশেষভাবে গুরুত্বের সাথে মনোযোগী হবেন ইনশাল্লাহ।
আপনারা জানেন যে, প্রতিবাদে জামাত এবং শিবির হকস্টিক এবং লাঠি ছাড়া কোন প্রকার মরোণাস্ত্র কখনো তুলে নেয় নি। ফলে কেন্দ্রীয়ভাবে আপনারা আবারো সবাইকে হুকুম দিয়ে দিবেন যেন কোন অবস্থাতেই মরোণাস্ত্র স্পর্শ না করে। তীব্র প্রতিবাদের অনেক উপায় আছে এবং সেটাতেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। তারমধ্যে উদাহরণ হিসেবে তাহাজ্জুদ নামাজ, নফল রোজা, খবর বিতরণ, এমন কি দরকার হলে রাস্তায় শ্রেফ লাইন ধরে শুয়ে পড়েও প্রতিবাদী কন্ঠকে জোড়দার করা যায়। তৌহীদী আপনজনেরা, মনে দৃঢ় বিশ্বাস রাখবেন যে, আল্লাহ আমাদের সাথেই আছেন, তাই আমাদের বিজয় অতি নিকটে। এরজন্য আজরাইলকে (আঃ) কখনো স্বাগত জানাতে কুন্ঠাবোধ করবেন না। আল্লাহ মহাবিজয়ের স্বাগত মাল্য আমাদের গলায় পড়ানোর জন্য অধীর আগ্রহে এগিয়ে এসেছেন, সুবহানাল্লাহ :’)
৭. (মন্তব্যের সংশোধনী হিসেবে আমি এই পয়েন্টাও যোগ করলাম, জার্নালিস্ট ভাইবোনদের জন্যে) এটা শুধু ভাবনারই ব্যাপার নয়, আতংকেরও ব্যাপার। প্রয়োজনীয় পূর্ব প্রস্তুতি যেন আমরা নিতে পারি, এর জন্যই এই পোস্ট দুটি আমি আগে লিখলাম। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে আসলে সাংবাদিক মহলও নিরাপদ নন। কারণ সংবাদ প্রচার হোক এটা তো বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার চায় না।
লেখাটি চলবে.... এই পর্বে আমি করণীয় পদক্ষেপের উপর পরামর্শ দিলাম। পরবর্তী পর্বে আমি কারণগুলো দর্শাবো ইনশাল্লাহ লেখাটা ছাপাতে দেরী হয়ে গেলেও, আমার এই লেখার মাধ্যমে যদি একজন দেশের মানুষও উপকৃত হন, আমি নিজেকে সার্থক মনে করবো। ফি আমানিল্লাহ।
২য় পর্ব:
http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/4144/bijoyipotaka/604
ছবি: উপরের ছবিটি গুগুল থেকে সংগ্রহিত
নীচের ছবিটি ফেসবুক থেকে সংগ্রহিত
লিংক: http://www.facebook.com/photo.php?fbid=136096079900358&set=a.127317417444891.25639.127302910779675&type=1&relevant_count=1&ref=nf
বিষয়: বিবিধ
২০৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন