লংমার্চে বাংলাদেশী জনতার দো’আ Praying

লিখেছেন লিখেছেন বিজয়ী পতাকা ০৫ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:১৭:৩৪ রাত



আল্লাহ, তোমাকে ভালবেসে, তোমার রাসুলকে (সাঃ) ভালবেসে বাংলাদেশের আম জনতা হেফাজতে ইসলামের ডাকে শান্তিপূর্ণ লংমার্চে অংশ গ্রহণ করতে এসেছে প্রচন্ড বাঁধা পেরিয়ে। আল্লাহ, তুমি তো চেনো দজ্জালের চ্যালা হায়েনা পার্টি আওয়ামী লীগ এবং তার দোসরদের, যারা তাদের জন্মলগ্নেই দিবালোকে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শহীদ আলীকে চেয়ারের হাতল ভেঙ্গে তা দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছিল। এরা ২১-২৫-২৮শে ফেব্রুয়ারী, ২৬শে মার্চ, ১৪ই ডিসেম্বর এবং ৭১-এর মত ৯ মাস ধরে মারা নরপিশাচের মত আবারো বাংলাদেশের মাটিকে রক্তের বন্যা বানানোর পরিকল্পনা করেছে। দয়াময়, তুমি বলেছো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে, তাই বাংলাদেশী জনতা আজ রাজপথে। সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী মাবুদ, তুমি বলেছো যখন মা-শিশু-ভাইরা নিপীড়িত আহাজারী করে, তাদের ডাকে যেন আমরা সোচ্চার হই। আল্লাহ, তুমি বলেছো, তোমার পথের সৈনিকদের বিজয় অতি সন্নিকটে। আল্লাহ দেখো, বাংলাদেশের প্রান্তর থেকে তোমার অনুগত বান্দারা বলছে, আমরা উপস্থিত, তোমার ডাকে আমরা উপস্থিত। আল্লাহ, তুমি গণী, তুমি খালি হাতে তোমার বান্দাকে ফিরিয়ে দিতে লজ্জা পাও। আজকে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক সরকার এবং তার প্রভু ভারতের পক্ষ থেকে হুমকির মুখে পড়া স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং সংহতি রক্ষার্থে আমরা বাংলাদেশী জনতা শান্তিপূর্ণভাবে একত্রিত হয়েছি। তুমি আমাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দিও না। আমাদের তুমি বিজয়ী করে তোমার প্রতি, তোমার রাসুলের (সাঃ) প্রতি আমাদের ভালবাসা এবং সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করে দাও, যেন দেশ গড়ার কাজেও আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি।

আর যদি আজকে তুমি কাউকে শহীদ হিসেবে কবুল করো, তুমি তাকে হাসি মুখে জান্নাতুল ফেরদৌসে আলিঙ্গণ করো। আর যদি নাৎসী racist হায়েনাদের সমন্নয় তৈরী বাকশালী আওয়ামী লীগ সরকার এবং তাদের দোসরদের অত্যাচারে কেউ পঙ্গুত্বের শিকার হন, তুমি তোমার বিশেষ রহমত দিয়ে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের দুনিয়ার জীবনটা সহজ করে দিও। যারা অজ্ঞাত আসামীর মত কারণে বিনা দোষে জেল-হাজত খাঁটছেন তাদের কক্ষগুলোকে ইব্রাহীমের (আঃ) আগুণে পড়ার মত করে শান্তির বাগানে রূপান্তরিত করে দাও। যারা রোজা রেখে, নফল নামাজ পড়ে, সদকা করে, তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে তোমার কাছে বছরের পর বছর ধরে কাঁদছেন, তুমি তোমার ভালবাসা দিয়ে তাদেরকে আবৃত করে রাখো।

আল্লাহ, যারা তোমাকে নিয়ে হাসি তামাশা করছে, তোমার সব চাইতে প্রিয় এবং মর্যাদা প্রাপ্ত রাসুলকে (সাঃ) নিয়ে অযথা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে, এবং তাদের যারা সহযোগিতা এবং পৃষ্ঠপোষকতা করছে, যারা মুনাফিকগিরি করছে, যারা জনতার আমানত অর্থনীতিকে নিয়ে খেয়ানত করছে, যারা প্রতিদিন সাহায্যের কথা বলে সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে, আর ২৪ ঘন্টা ধরে অনবরত মিথ্যা বলে যাচ্ছে, আর মিথ্যা রচনা করছে, প্রচার করছে, এবং মিথ্যা বলে বলে মানুষের কাছে তা প্রতিষ্ঠিত করছে, এবং যারা ইভটিজিং, অপহরণ, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জঙ্গীবাদ, নেশাদ্রব্য এবং বিজাতীয় অশ্লীলতা বাংলাদেশের মাটিতে আমদানী ও প্রতিষ্ঠিত করতে স্বক্রীয়ভাবে অংশ নিচ্ছে, যারা আইনের নাম করে প্রতি দিন রাত ধরে নিরিহ জনসাধারণকে কিডন্যাপ, হাইজ্যাকিং করে অমানসিক নির্যাতন চালিয়ে নিপীড়ণ, গুম, হত্যা করে মুক্তি-বাণিজ্যে মেতে উঠেছে, যারা ভারতের আগ্রাসী বিএসএফের ১০-টা লাশ না ফেলে স্বদেশীদের ১টা লাশের বদলায় ১০টা লাশ ফেলতে উৎসাহিত করছে, যারা লুট-পাট, ভাংচুর, অগ্ণী-সংযোগ এবং রগ কেটে জনতা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বৈরাচারী জঙ্গীতে পরিণত হয়ে দেশকে পরাধীন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে -- তাদের তুমি তওবা করার শক্তি দাও। এবং তওবা না করলে এই দেশদ্রোহী মিরজাফরদের বাংলাদেশের মাটিতে নাক থুবড়ে লাঞ্চিত করে ওদের চিরতরে মূলোৎপাটন করো। আল্লাহ, আমরা বাংলাদেশীরা কোনদিন স্বৈরাচারের অত্যাচারকে ভয় পাইনি, এবং অবরোধ তৈরী করে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে বিজয়ী হয়েছি তোমার সাহায্যে। আজো আমরা চতুর্মুখী বাঁধা পেরিয়ে বিজয়ী পতাকা উড়াতে বদ্ধ পরিকর।

আল্লাহ, আর যারা জুলুমের শিকার হয়ে বাংলাদেশের প্রায় ৫৭ হাজার বর্গ মাইলের জেলখানায় অপবাদের মাধ্যমে বন্দী হয়ে আবদ্ধ এবং দূর্বিসহ অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের তুমি ইউসূফের (আঃ) মত স্বসন্মানে মুক্ত করে দাও, যেন আমরা সবাই বাংলাদেশকে আবার আগের চাইতেও বেশী অগ্রগতির দিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আল্লাহ, আমরা এখন global বিশ্বে এসে পৌঁছেছি। সামান্য কম্পিটর থেকেই আমরা পৃথিবীর দূর প্রান্ত থেকে পাওয়া সভ্যতার সব রকম তথ্য হাতের মুঠোতে পাই। তোমার ক্ষমতার মর্ম এবং তোমার নবীর (সাঃ) দেখানো পথ আমরা একটু অধ্যাবসায় করলেই শিখে নিতে পারছি। আগে কৃষি প্রধান বাংলাদেশ যতটা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন এবং দূর্বল ছিল, আজকের বাংলাদেশ আর তত দূর্বল নেই, আল্লাহ। দেখো আল্লাহ, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা ইউনিভার্সিটিটাও তৈরীতে নির্দয় নিদারুণ বিরোধিতা করেছিলেন। তারপর ভারত আমাদের প্রাপ্য ভাগের অংশ সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করায় আমরা অনেক দৈন্যতার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও মুসলিম ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টদের সহায়তা নিয়ে অনেক অল্প সময় পেলেও পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের সংসদ ভবনসহ তখনই ৭টা সরকারী মেডিক্যাল কলেজ তৈরী করে দিয়েছিল, তারপর ঢাকার অদূরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়াগুলো (সার কারখানা, জুট মিল, কটোন মিল ইত্যাদী) তৈরী করেছিল। আর এখন সরকারী বেসরকারী মিলে ১০০টার কাছাকছি শুধু মেডিক্যাল কলেজই আমাদের আছে। এছাড়াও ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা, নন-প্রফিট প্রতিষ্ঠান এবং কোচিং-ট্রেনিং সেন্টারসহ যেগুলোতেই আমরা হাত দিয়েছি, দূর্নীতি না থাকায় সেই প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশের সব চাইতে গর্বিত এবং শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এবং আমাদের গণমাধ্যমগুলোও সবচাইতে গৃহিত এবং নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমে পরিণত হয়েছে Happy দেখো আল্লাহ, তোমার দেয়া হাত পা দিয়ে আমরা ভাল কাজ, জনতার কাজ, স্বদেশের উন্নতি সাধন করতে পারি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, বাংলাদেশের সম্পদ খনিজ তেল এবং গ্যাস ইসলামের বিদ্বেষী বাকশালী সরকার যেভাবে বিনে পয়সায় বিলিয়ে দিচ্ছে -- সেভাবে না, বরং বাংলাদেশে তোমার দেয়া বিপুল নেয়ামতকে যেন আমরা নির্ভেজাল ভাবে, পরিপূর্ণ ভাবে জনকল্যাণে কাজে লাগাতে পারি, সেই তৌফিক, শক্তি, সামর্থ, বিচক্ষণতা, পারদর্শিতা তুমি আমাদেরকে দাও। আল্লাহ আমাদেরকে বিজয়ী স্বাধীন বাংলাদেশ দেয়ার জন্য Thank You, আমরা যেন এর মান রাখতে পারি। এবং তুমি আমাদেরকে তোমার সন্তুষ্ট এবং অনুগত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে দাও। আমীন Praying Rose





বিষয়: বিবিধ

২৫৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File