পরীক্ষা পিছিয়ে গেলো... পিছাক - তবুও হরতাল সমর্থন করি

লিখেছেন লিখেছেন FM97 ২৭ মার্চ, ২০১৩, ১১:৪৫:২৭ সকাল

২৮ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে হরতালের জন্য এ যেন শুরু হওয়ার আগেই স্টপ হয়ে গেলো। হলে হোক, পরীক্ষা পিছিয়ে যাক- দুঃখ নেই। তবুও হরতাল সমর্থন করি। কারণ আমার কানে ভেসে আসে......... ৫৭ সেনা অফিসারের পরিবারের কান্না, সাংবাদিক সাগরের মায়ের আর্তনাদ, ঘন ঘন সড়ক দূর্ঘটনার শোক-স্মৃতি, শেয়ার বাজারে সর্বস্ব হারিয়ে দেনার দায়ে আত্মহত্যার ঘটনা, সপ্তম বারের মত বিদ্যুতের বিলের বর্ধিত বোঝা, ব্যাংক লুটের জঘন্য উৎসব, আরো বলতে গেলে-

রেল ও পদ্মা সেতুর দূর্নীতি + চোরের আবার বড় গলা ও বহাল তবিয়তে থাকা।

ভারতের চলচ্চিত্র আমদানী

ভারতের সাথে গোপন চুক্তি

বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়

এক ঘন্টা পিছিয়ে দেয়ার দূর্ভোগ

টাকার চেহারা বার বার পরিবর্তন করে টাকার অপচয়,

ঢালাও ভাবে বিরোধী নেতাদের গ্রেফতার

আর শুরু থেকেই পবিত্র এই দেশকে রক্তাক্ত করার প্ল্যানিং করে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও বিপক্ষের শক্তি বলে দেশকে দুই ভাগে ভাগ করে দেয়া। প্রধানমন্ত্রী এখন উন্নয়নের কথা বলেন, বিশ্বের মাঝে মাথা তুলে দাড়ানোর কথা বলেন। কিন্তু উনার কথাগুলো এক্কেবারে ভুয়া। দেশের জনগণকে বিভক্ত রেখে কখনো উন্নয়নের স্বপ্ন দেখা যায়। উনার বিভক্তিকরণ আজ দেশের সকল সেক্টরকে খেয়ে ফেলেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সকল জায়গায় আজ বিভক্তিকরণ ও কালিমালেপন চলছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, নিরপেক্ষভাবে বিদ্যমান ট্রাইব্যুনালের দূর্নীতির কথা বললেই শুনতে হয়- তুই রাজাকার! তুই রাজাকার! তাই এমন জঘণ্য খেলার রচয়িতা প্রধানমন্ত্রীকে ঘৃণা করি।

পুলিশ গুলি চালালে, শাহবাগিরা আদালতের, সংসদের উপর হস্তক্ষেপ করলে তাদের দেশদ্রোহী বলে হয় না, বরং তাদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়, দামী হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। আর আজ দূষিত টাইব্যুনালের বিরোধীতা করার কারণে, নিজের নেতাদের মুক্তির দাবি জানালে জামাত-শিবিরকে সন্ত্রাসী বলা হয়?! আর বিএনপি তাদের সমর্থন করলে সেও যুদ্ধাপরাধীর দোসর হয়ে যায়? সত্যি বড় বিচিত্র!

এই আমাদের বাংলাদেশ, আমাদেরই বাংলা রে...

দেশের সাথে প্রকৃত শত্রুতা করেছে বা করছে কারা? এটা সবাই জানে যে ’৭১ এর জামাত পাকিস্তানের বিভক্তিকরণ সমর্থন করে নি, কিন্তু তাই বলে তারা তো স্বাধীনতার পর কোনো দেশদ্রোহীতার পরিচয় দেয় নি। বরং স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগারদের লুটপাটের কথা কে না জানে? এদিকে তখনকার জামাত আর এখনকার জামাত-শিবিরের মধ্যে বিস্তর ফারাক। আজকে ক্যাম্পাসে শিবিরের ছেলেদের উপর হামলা হয়, ছাত্রীসংস্থার মেয়েদের হয়রানি করা হয়, শিবির র্যা লি বের করলে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। কেনো, তাদের দোষ কি? অপরাধ কি? এখন অনেকেই বলবে- তারা ’৭১ সালের স্বাধীনতাবিরোধী নেতাদের সমর্থন করে তাই পরোক্ষভাবে তারাও দোষী। প্রথমত বলতে ১/ বর্তমানের জামাতের নেতাদের সাথে ’৭১ সালের বিরোধের সম্পর্ক নেই, তাই এদের যুদ্ধাপরাধী বলার কোনো যুক্তি নেই, ২/ তারা যখন, শুধু তারা নয় বরং আমরা সবাই যখন দেখতে পাচ্ছি সরকার বিচারের নামে রাজনৈতিক নোংরা খেলা খেলছে, বন্দি নেতারা যাতে বিচার না পায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাই এখন বিদ্যমান জামাত-শিবিরের আন্দোলনের বিরোধীতা আমরা কি করে করতে পারি? (কট্টরপন্থি না হয়ে ঠান্ডা মাথায় বিষয়গুলো বিবেচনার অনুরোধ রইল) আর আজ শুধু যে, স্বাধীনতার বিরোধী বলে জামাত- শিবিরের ইমেজ নষ্ট করা হচ্ছে, তা নয় বরং এর জের ধরে ইসলামের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। আর হয়ত এই নষ্ট খেলার এটাই আরেকটা কৌশল!

এই সরকারের পতন সফল হোক।

বিষয়: বিবিধ

১১৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File