প্রতিদিন পানির ঘাটতি ৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি) লিটার!!!

লিখেছেন লিখেছেন FM97 ২৩ মার্চ, ২০১৫, ০৭:৩৫:৩৬ সন্ধ্যা

দেশটা কিভাবে টিকে আছে ভাবলে অবাক লাগে। রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক পরিস্থিতি তো ভেস্তে গেলো ভাবছিলাম প্রাকৃতিক সম্পদ পানি নিয়ে। গরম না আসতেই পানি সঙ্কট। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক পর্যায়ে নেমেছে। স্বাভাবিক সংযোগ লাইনে পানি নেই, যেকারনে অধিকাংশ বাসাতেই মোটরপাম্প দিয়ে নিচতলার রিজার্ভ ট্যাংকে পানি ভরতে হয়। তাছাড়া, সবচেয়ে মারাত্মক অবস্থা ঢাকার। Bangladesh Agricultural Development Corporation (BADC) ও Institute of Water Modeling (IWM) এর মতে প্রতিবছর ঢাকার আন্ডারগ্রাউন্ড পানির স্তর তিন মিটার করে নিচে নামছে। যার ফলে, প্রতিদিন চাহিদা অনুযায়ী পানির ঘাটতি হচ্ছে ৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি)।

এদিকে, প্রতিনিয়ত কর্মসংস্থান কিংবা শিক্ষার্জনের জন্য ঢাকায় ভিড় বাড়ছে। তাই আবাসন সঙ্কট মেটাতে হাই রাইজ বিল্ডিং হচ্ছে বটে, তবে সুপেয় পানির নিশ্চয়তা কোথায়? তাছাড়া অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে যখন বিল্ডিগুলো হেলে-দুলে উঠে, তখন আমাদের হুঁশ হয়, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জাইকা-মাইকা(!) দের ডেকে সভা-সেমিনার করে চা-নাস্তা খেয়ে ‘করতে হবে’, করতে হবে’ বলতে বলতে শেষ! কারো বিল্ডিং ধসে পরে, কেউ আহত-নিহত হলেও সমস্যা নেই প্রশাসনের টাকার চেক রেডিই থাকে! অথচ কয়েক বছরের সুষ্ঠ পরিকল্পনা নেই। সুতরাং-

# সব সুবিধা ঢাকাকেন্দ্রিক না করে বিকেন্দ্রিকরণ করা উচিত। এতে রাজধানীতে চাপ কমবে।

# প্রশাসন থেকে শুধু পানি অপচয় রোধের বিজ্ঞাপন দিলে হবে না। অপচয় রোধ এবং প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পুরাতন সংযোগ লাইনগুলোর সংস্কার প্রয়োজন।

# অবৈধ পন্থায় যেখানে প্রতিনিয়ত পানি দূষিত হচ্ছে সেখানে কল-কারখানাগুলোকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়ে বিশুদ্ধ পানির নিশ্চিতকরণ।

# আর পানি সঙ্কট প্রসঙ্গে যে কথা না বললেই নয়, তাহলো- ভারতের সাথে অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি চুক্তি সময়ের দাবি। হ্যা, আমরা জানি, গত মাসে মমতা ব্যানার্জি ঢাকায় এসেছিলেন। তিস্তা চুক্তিতে আশাব্যাঞ্জক সাড়া আসবে- এমনটা ধারণা থাকলেও সব গুড়ে বালি। উনার সফরটা যেনো ছিলো শ্রেফ একটা ‘সাংস্কৃতিক সফর’। উনি ওপার বাংলার সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে ঢাকায় আসলেন। আলোচনাও করলেন এদেশের কিছু সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গদের সাথে। ঐ বাংলার সংস্কৃতি এদেশে কিভাবে লালিত-পালিত হচ্ছে এটা দেখাই কি ছিলো উনার আসার উদ্দেশ্য? আর সেই উদ্দেশ্য পূর্ণরূপে সাধন করতে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক কর্মী, অভিনেতা দেব- দুই বাংলাকে এক করার কথা বললেন। এ যেনো এমন- “চেয়েছি নায্য পানি, চেয়ে বসলে ভূমি”! সুতরাং, যাই হোক- পানি সঙ্কট মেটাতে ভারতের সাথে সুষ্ঠ পানি চুক্তি করা ছাড়া বিকল্প নেই।

বিষয়: বিবিধ

১৪০৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

310695
২৩ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:২১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বাংলাদেশ এর উন্নয়ন এর নামে শুধু ঢাকার উন্নয়ন হচ্ছে। এমনকি মন্ত্রিরাও নির্লজ্জ হয়ে বলছেন ঢাকাই সব। চট্টগ্রাম এর মত শহর এর মেয়র এর মনোনয়ন দিচ্ছে ঢাকায় বসে। ঢাকা শ্রিঘ্রই বাংলাদেশের জন ক্যানসার হয়ে যাবে। তখন বাকি দেশ বাচাতে ঢাকা কে কেটে ফেলা ছাড়া উপায় থাকবেনা।
310701
২৩ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৩০
আকবার১ লিখেছেন : চমৎকার লেখা।
উন্নত বিশ্বে একুফেয়ার(/aquifer)আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে পানি উত্তলন করা নিষেধ। সবাই সারফেজ ওয়াটার ব্যবহার করে। এর জন্য দরকার বড় সাইজের রিজার্ভর। বাংলাদেশের এ ধরনের ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নেই। যার ফলে একুফেয়ার রিচার্জ হতে পারছে না।
পানির স্তর(Water table) নীচে নেমে যাচ্ছে। এই সেক্টরে সরকারের কোন ইনভেষ্ট নেই। মান্দাতার আমলের মত এই সেক্টর চলছে।
২৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:৫৬
251924
FM97 লিখেছেন : বিষয়টা জানা হলো...
310710
২৩ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৫৬
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : Institute of Water Modeling.
কি ধরনের software use করে?


মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File