আবেগ-ভালোবাসা সব কিছু বোধ হয় এতই সস্তা!
লিখেছেন লিখেছেন FM97 ২৮ অক্টোবর, ২০১৪, ০৩:৫৯:২৮ দুপুর
সেদিন এক ক্লাসমেটের বিয়ের ছবি দেখে খুশি হলাম যাক, অবশেষে পাপ থেকে বাঁচলো। একটা ছেলেকে পছন্দ করতো আর তাদের মধ্যে ভালোই ঘুরাফিরা চলছিলো। বিষয়টা খুব সহজেই ধরা পড়ে যখন দেখতাম- মেয়েটা বাসা থেকে সেজে আসতো না বরং ক্যাম্পাসে এসে সেজেগুজে তারপর বের হতো। যাই হোক…
যেহেতু বিয়ের আগে ভালোবাসা নিয়ে কথা উঠেছে, তাই বলি- বিয়ের আগে যদি কাউকে ভালো লেগে যায়- তবে অহেতুক ঘুরাঘুরি না করে সরাসরি হোক বা কারো মাধ্যমে হোক প্রস্তাব দেয়া উচিত, মা-বাবাকে বলা উচিত। সেই সাথে বিশ্বাস রাখতে হবে- ‘সে যদি আমার ভাগ্যে থাকে তাহলে আসবেই আর না হলে না’। অতঃপর মা-বাবা রাজি হলে তো হলো আর না হলে ধরে নিতে হবে- “হয়ত সে আমার ভাগ্যে নেই, অন্য কারোর জন্য। আর অন্য কারোর অধিকারকে আমি হরণ করতে পারি না”। তাই কষ্ট যতই হোক সেই মানুষ থেকে নির্দিষ্ট দুরুত্ব বজায় রেখে চলা উত্তম। আর এই উত্তম কাজটা মূলত নিজের ভালোর স্বার্থে। কেননা মা-বাবার বারণ করার পরও যদি আমরা অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখি- তবে আমরাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হবো এবং পরোক্ষভাবে যে আমাদের ভাগ্যে আছে তার সাথেই যেনো বেঈমানি হলো। শুধু তাই নয়- অনৈতিক সম্পর্কের রেশ থাকলে এক জনের সাথে বিয়ে হওয়ার পরও দেখা যায় ছেলে-মেয়েরা পরকিয়ায় জড়ায়। যেটা খুবই জঘণ্য পাপ।
যাই হোক- এত কথা বললাম কারণ- আমি জানি না মেয়েটা যাকে পছন্দ করতো তার সাথেই বিয়ে হয়েছে নাকি এটা পরিবারের পছন্দে! কারণ- এমনও এক মেয়েকে দেখেছি একটা ছেলের সাথে ভালোই ঘুরাঘুরি করতো, নিদর্শনমূলক জায়গায় গিয়ে ছবি তুলে ফ্রেন্ডদের দেখাতো। অথচ অনেকদিন পর শুনি তার বিয়ে হয়েছে। সরাসরিই জিজ্ঞাস করি- ‘এটা কি সেই ছেলেটা’? বললো- ‘না, এটা ওটা না। ওটা পরিবার থেকে রাজি হয় নি’।
মনে মনে বলি- পরিবারের রাজি হওয়া না হওয়াটা কি ঘুরাফিরার আগে জানলে ভালো হতো না? নিজের আবেগের সাথে প্রতারণা করার কি দরকার? শুধু মাত্র একটা অপ্রিয় অতীত হয়ে থাকা আর বর্তমানে অন্য কারো হাত ধরা! আবেগ-ভালোবাসা সব কিছু বোধ হয় এতই সস্তা! নাকি আমরা এটাকে সস্তা করে ফেলেছি…!
বিষয়: বিবিধ
১০৫৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন