কু-প্রবৃত্তির কুরবানি-প্রস্তুত আছি তো?
লিখেছেন লিখেছেন FM97 ০৫ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:১১:৩০ সকাল
আমরা যারা দিবা-রাত্রি সুন্দর জীবন, সেই সাথে সুন্দর সমাজের স্বপ্ন দেখি-সেই আমরাই যদি মনের কু-প্রবৃত্তি, দূর্বলতাগুলোকে কুরবানি না দিতে পারি তাহলে হয়ত পরিবর্তন একটা অলীক স্বপ্ন হয়ে থাকবে। এই কু-প্রবৃত্তি, দূর্বলতা তথা মানসিক রোগ বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে-যেমনঃ
# দূর্নীতিকেই নিয়ম মনে করা।
# অন্যের ভালো দেখতে না পারা।
# দুনিয়ায় সব কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। (পরোক্ষভাবে পরকালের প্রতি আস্থাহীনতা)
# একটুতেই হতাশ হয়ে যাওয়া। (যদিও এই কাজটি পরোক্ষভাবে ভাগ্যের প্রতি অবিশ্বাস ও মনে অশান্তির জন্ম দেয়)
# সবকিছুতে নিজের স্বার্থ দেখা।
# কোনো ব্যক্তির প্রতি অতিরিক্ত দূর্বলতা।
# অনলাইন/অফলাইনে ব্যক্তিকে বিকৃত নামে ডাকা, ব্যঙ্গ করা কিংবা অশ্লীল কথা ছড়ানো।
# সবসময় নেতিবাচক চিন্তা করা।
এরকম অঢেল মানসিক রোগ আমাদের মধ্যে কাজ করে। মাথা ঝাঁকিয়ে চিন্তা করলেই হবে- ‘আমি কোন দূর্বলতায় আচ্ছন্ন? কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়’? তাই বলতে- আধ্যাত্মিকভাবে আমরা ব্যর্থ হলে বাস্তবিক জীবনে সফল হওয়ার গ্যারান্টি কোথায়?
লেখাটা শেষ করবো D. Tariq Ramadan এর কিছু কথা দিয়ে যেটা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন-“আমরা বিশ্বাস করি, আল্লাহ এক এবং এক আল্লাহ আমাদেরকে অহং থেকে মুক্তি আর মানবতার সেবার মাধ্যমে সার্বজনীন মূল্যবোধের দিকে আমাদের ধাবিত করছেন। আমাদেরকে অহিংস পন্থায় কাজ করতে হবে, আইনগত, মিডিয়া, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থাসহ সব উপায়ে এই কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। সাহস না থাকলে কিংবা কুরবানি করতে প্রস্তুত না থাকলে আমরা এটা অর্জন করতে পারবো না। আমরা সব ধর্ম থেকে, বিশেষ করে মহানবী সাঃ এর জীবন থেকে এই শিক্ষা পাই যে, যদি আমরা কুরবানি করতে প্রস্তুত না থাকি, ক্ষমতাসীন এবং মানবতা বা মানুষের জীবনের প্রতি যত্নশীল নয় এমন স্বৈরাচার বা ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের মোকাবেলা করার মতো সাহস না থাকে তবে শান্তিতে পৌঁছা কখনোই সম্ভব নয়। এই উপলব্ধি স্পষ্টভাবে থাকতে হবে যে, আপনি যদি সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত না থাকেন, তবে আপনি শান্তির জন্য কাজ করতে পারবেন না”।
সুতরাং, আমরা কুরবানি দিতে প্রস্তুত আছি তো?
সবাইকে ঈদ মুবারাক।
বিষয়: বিবিধ
১০৫১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকেও ঈদ মুবারাক।
সুন্দর সিরিজটির জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন