ইনোন পরিকল্পনা কি বাস্তবায়নের পথে?

লিখেছেন লিখেছেন FM97 ২৫ জুন, ২০১৪, ১০:৪৩:৩১ রাত

“যখন আপনার শত্রুরা একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন কোনো এক পক্ষকে শক্তিশালী করতে হস্তক্ষেপ করবেন না, উভয়কে দূর্বল হতে দিন”- ওবামা’র প্রতি ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু’র এই পরামর্শ পড়ে ইনোন পরিকল্পনার কথা মনে পড়লো। কয়েকমাস আগে এই প্লানিং এর কথা পত্রিকায় পড়ি। ইনোন পরিকল্পনা হলো- আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখার জন্য ১৯৮২ সালে নেয়া ইসরাইলের কৌশলগত পরিকল্পনা। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ওদেদ ইনোন (Oded Yinon) এই পরিকল্পনা তৈরি করেন। পরিকল্পনায় বলা হয়- আরবদেশগুলোকে উত্তপ্ত করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও দূর্বল রাষ্ট্রে পরিণত করা, দেশগুলোর মধ্যে এমনভাবে বিরোধ সংঘাত লাগিয়ে রাখা যাতে একপর্যায়ে এসব দেশের সরকার তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে কার্যত ইসরাঈলের আশ্রিত রাষ্ট্রে পরিণত হয়। মূলত বৃহত্তর ইসরাঈল প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষিত তৈরির জন্য এটি করা হচ্ছে।

এদিকে বর্তমানে ইরাকে যে আইএসআইএস {ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড দি আল শাম(সিরিয়া)}গ্রুপটি যেটা আইএসআইএল (ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড লিভান্ড বা পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল বা বৃহত্তর সিরিয়া) নামেও পরিচিত এই সশস্ত্র সুন্নী মিলিশিয়া গ্রুপটি যখন ইরাক ও সিরিয়ায় সুন্নী বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে তখন বলা হয়ে থাকে একমাত্র কুর্দিস্তান(ইরাকের সায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল) ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে’র সশস্ত্র শাখা “গণনিরাপত্তা বাহিনী” যা ‘ওয়াইপিজি’ নামে সুপরিচিত –এরাই পারবে আইএসআইএস কে ভালোভাবে মোকাবেলা করতে।

সুতরাং প্রশ্ন হলো- US পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরী কুর্দিস্তানে গিয়েছেন ইরাকে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে নাকি ইসরাইলের মতে দুই শত্রুকে-অর্থাৎ ISIS (সুন্নী) এর বিপরীতে কুর্দিদের (শিয়া) উসকে দিতে? আমরা কি তাহলে আরো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ দেখার অপেক্ষায়। নৃতাত্ত্বিক, সম্প্রদায়গত কিংবা সৈরাচারের বিরুদ্ধে- যাই বলি না কেনো প্রত্যেক মুসলমান দেশে যেনো এক একটা কারবালা রচিত হচ্ছে। সুতরাং রক্তস্নাত এই মুসলিম জাতি অচিরেই জাগবে নাকি বাস্তবায়নের পথে ইনোন পরিকল্পনা?

বিষয়: বিবিধ

১২৫০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

238953
২৫ জুন ২০১৪ রাত ১১:০৪
হতভাগা লিখেছেন : মুসলমানদের মধ্যে বিভাজনই মুসলমানদেরকে অনেক পিছিয়ে রেখেছে ।
২৬ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০১
185598
FM97 লিখেছেন : সত্য কথা...
238961
২৫ জুন ২০১৪ রাত ১১:৩৫
সজল আহমেদ লিখেছেন : "হতভাগা বলেছেন:মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন মুসলমানদের অনেক পিছিয়ে রেখেছে।"
কথাটা খাঁটি কথা ।বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে মূলত ধর্মীয় রীতিনীতির কারনে।শিয়া আর সুন্নিহ্দের ধর্মীয় নিয়ম কানুন এক নয়।
শিয়াদের ধর্মীয় রীতিনীতি পড়ুন এই নোটটিতেঃ-
শিয়া মাযহাব(Shia Mazhaab)
শিয়াদের ধর্মীয় রীতিনীতি ঠিক নও যেটা সুন্নিহ্-রা মানছেনা।যার কারনে সৃষ্টি হচ্ছে বিভেদ।আর এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গুটি নাড়ছেন ইসরাইল আর আমেরিকার মত বিধর্মী দেশগুলো।
২৬ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৫
185599
FM97 লিখেছেন : লিঙ্কটার জন্য ধন্যবাদ, আমি মনে করি- রীতি-নীতির এই বিভেদ থাকবেই, তবে তাই বলে মুসলমানদের উচিত সহনশীল হওয়া। যাতে শত্রুরা দুইয়ের মাঝখানে না আসে। আসলে উভয়কেই ধ্বংস করে ছাড়বে।
238984
২৬ জুন ২০১৪ রাত ০২:৪৪
দ্য স্লেভ লিখেছেন : উচিৎ হবে এই মুহুর্তে শিয়া-সুন্নি ইস্যু তৈরী না করে, মালিকি আর আসাদ মিয়াকে হটানো। তবে হাদীস ানুযায়ী বিজয় হবে মুসলিমদের। সেটার ক্ষেত্র তৈরী হচ্ছে। আল্লাহই ভাল জানেন
২৬ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৬
185600
FM97 লিখেছেন : সহমত

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File