বদদোয়া লাগবে কিন্তু!
লিখেছেন লিখেছেন FM97 ০৭ মে, ২০১৪, ০৪:২২:৩০ বিকাল
‘বদদোয়া’ জিনিসটা বরাবরই ভয় পাই। ছোটবেলায় শিখেছি- প্লেটের বাইরে ভাতের একটা দানা পড়লে কিংবা খাবার ঝুটা করলে-সেই খাবার বদদোয়া দিবে। তাই, আজও সেই ভয়ে কখনো কোথাও খাবার মজা না লাগলে গিলে ফেলি।
কষ্ট লাগে যখন কাউকে খাবার ঝুটা করতে দেখি। আজকাল পার্টিতে- ছোটদের কথা আর কি বলবো বড়দেরই দেখি প্লেটের এদিক থেকে এক লোকমা ওদিক থেকে এক লোকমা- এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে খেয়ে প্লেটে খাবার রেখে উঠে যেতে। ওদের প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে- যখন খাবেন না, তাহলে এতো খাবার নিলেন কেনো?
এদিকে রেস্টুরেন্টে ব্যুফে সিস্টেমে লোকদের দেখা যায়- এক একটা আইটেম দ্বিগুণ পরিমাণ করে নিয়ে প্লেটে খাবারের স্তুপ করে টেবিলে গিয়ে বসতে। সবশেষে যা হয়- খেতে পারছে না, ব্যস ঝুটা করে উঠে যায়। হ্যা, অনেক সময় আমরা নিজেদের খাবারের আন্দাজ করতে পারি না, তো সেক্ষেত্রে এতো করে নেয়ার কি দরকার? অল্প করে নিয়ে খেয়ে যদি আরো খেতে ইচ্ছে হয়- তখন না হয় আরো নিলাম। সমস্যা কোথায়? তাই বলে, “একবারে টেবিলে বসবো, আর যাতে উঠতে না হয়- খেলে খেলাম, না পারলে রেখে উঠে যাবো”- এমন নীতি রেখে খাবার অপচয় করা ঠিক নয়। আজ আমরা অপচয় করছি সেটা কি একারণেই যে- ক্ষুধার জ্বালা কি জিনিস সেটা আমাদের অনুভব করতে হচ্ছে না? অথচ, যে যন্ত্রণা নিবারণের জন্য একজন দিনমজুর কিংবা শ্রমিক দিন-রাত খেটেই যাচ্ছে।
জাতিসঙ্ঘের রিপোর্ট মোতাবেক প্রতিদিন প্রায় ২১০০০ মানুষ ক্ষুধা ও ক্ষুধা জনিত কারণে মারা যাচ্ছে। তাছাড়া গ্লোবাল প্রোভার্টি’র রিপোর্ট মতে- প্রতিদিন প্রায় ৮৪ কোটি লোক ক্ষুধা যন্ত্রণায় ভুগে। তাই বিবেকের কাছে প্রশ্ন- আমরা কি তৃপ্তির ঢেকুর তুলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি নাকি খাবারের অপচয় করছি?
বিষয়: বিবিধ
১১২৩ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কভু আশী বিষে দংশেনি যারে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন