অল্প বয়সে বিয়েঃ সমস্যা কোথায়?
লিখেছেন লিখেছেন FM97 ৩০ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:২০:৩৫ দুপুর
আচ্ছা, বিয়েতে অল্প বয়স বলতে আমাদের সমাজে কি বুঝানো হয়? একটা ছেলের ২৩ বছর হলেও মা-বাবারা বলে ‘বাচ্চা ছেলে’ আবার ২৭-২৮ হয়ে গেলেও ঐ একই কথা। হ্যা, মা-বাবাদের নজরে তার সন্তানরা সবসময়ই ছোট, আবার সরকারের নজরে তো ১৮ বছরেও একটা মানুষ শিশু (২০১৩ সালের শিশু আইনের আলোকে)!!! এদিকে ১৫-১৬ বছরের ছেলে-মেয়েদের প্রেমের সম্পর্কের খবর আমরা প্রায়ই পত্রিকায় দেখি-অথচ ঐ একই বয়সে বিয়ে হয়ে গেলেই যেনো তোলপাড়। এই তোলপাড়টা যেমন রাষ্ট্রীয়ভাবে তেমনি সামাজিকভাবেও। আসলে, বিয়ের ক্ষেত্রে এই অল্প বয়সের মানদন্ড কি? আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি কি সুস্থ নাকি অসুস্থ-আজকের আলোচ্য বিষয় মূলত সেটা।
প্রথম কিংবা ২য় বর্ষে (ধরে নেই ছেলেটার বয়স ২২, যদিও সেশনজটের খপ্পরে পড়ে বয়স বাড়তেই থাকে) পড়ুয়া একটা ছেলের বিয়ের ক্ষেত্রে মা-বাবারা বলেন-“এখন বিয়ে হয়ে গেলে ছেলেটা পড়াশুনা করতে পারবে না”। কারণ হিসাবে বিয়েকে ঝামেলাস্বরূপ মেয়েকেই দায়ী করা হয়। তাই প্রশ্ন হলো- সেই পড়ুয়া ছেলেটাই যখন অরেক পড়ুয়া মেয়ের সাথে ক্যাম্পাসে ঘুরে তখন কি তাদের পড়াশুনার ক্ষতি হয় না? বিয়ের আগে যে কাজটি করা হয় সেটা বিয়ের পরে হলে সমস্যা কোথায়? বরং সমাজের চাপিয়ে দেয়া রীতি-রেওয়াজ ও প্রচলিত বিভিন্ন কুপ্রথা যেনো বিয়েটাকে ঝামেলা ও উটকো দায়িত্বের মোড়কে আবদ্ধ করে কঠিন করে ফেলেছে। তাই, আমি যদি বাড়িয়ে না বলি- তাহলে বস্তবতা হলো বিয়ে হওয়ার আগেই অনেক ছেলে-মেয়েদের মন কলুষিত হয়ে যাচ্ছে-যার জন্য ছেলেমেয়েদের দায়ী করা হলেও মা-বাবারাও তাদের দায়বদ্ধতা এড়াতে পারেন না। মেনে নিলাম প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার জন্য শেষ পর্যন্ত ছেলেকে আটকিয়ে রাখা হলো, তারপর বলা হবে- একটা চাকরি পেয়ে নিক, তারপর না হয় বিয়ে হবে। এরপর বলা হবে- বিয়ের পরে প্রচুত খরচ, টাকা জমুক, তারপর দেখছি….। এভাবে পরিবারের অহেতুক দেরী করার পিছনে যুক্তির শেষ নেই। ওনারা শুধু মানুষের মুখ আর পেটের চিন্তায় মগ্ন, যদিও একটা মানুষের কয়টা মুখ? মানুষ কতো খায়? এদিকে, অনেক পরিবারেই দেখি অবস্থা সচ্ছ্বল। বাবার খরচেই ছেলে-মেয়েরা পড়াশুনা করছে, সেই পরিবারে আরেকটি মানুষ আসলে যে তাদের আর্থিকভাবে কষ্ট হবে এমনও না-তবুও (ছেলের কোনো সমস্যা না থাকলেও ) তারা ছেলেটার বিয়ে দিতে চান না। বিপরীতভাবে মেয়েপক্ষও ‘ছেলের নিজস্ব কিছু হতে হবে, বাপের থাকলে চলবে না’- সেই শর্ত দিয়ে রাখেন। যদিও একটা ছেলের নিজের কিছু হতে অনেক সময় লাগে, সেই সাথে বয়সও বাড়তে থাকে। তাই বলতে- বয়সের ক্ষেত্রে অল্প বয়সী ছেলে চাওয়া হবে, আবার নিজস্ব কিছু থাকাও লাগবে- দুটা শর্ত তো একসাথে হয় না। সুতরাং বলাই যায়, মা-বাবাদের এসব মানসিক সমস্যার কারণে সমাজে বিশৃঙ্খলতা ছড়াচ্ছে। বাস্তবেই দেখেছি- সারাদিন মোটর সাইকেল নিয়ে বসে থাকা ২৩ বছরের বেকার ছেলেটাকে যখন তার বাবা নিজ উদ্দ্যোগে বিয়ে দিয়ে দিলো , তখন আপনা থেকেই তার রাস্তায় অহেতুক বসে থাকার বদঅভ্যাস তো গেলোই বরং বিয়ের পর নিজ থেকেই দায়িত্বশীল হওয়ার মানসিকতায় বাবার সাথেই ব্যবসায় নেমে পড়লো। তাই মনে করি-ছেলেদের বিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের পরিবারের ওসব অহেতুক ধ্যান-ধারণা পরিহারযোগ্য।
এদিকে অল্প বয়সের মামলায় মেয়েদের বিচারকাজটা জটিল বিধায় চলমান পরিস্থিতিকে তিনটি স্তরে ভাগ করতে হয়েছে-
১/ অনেক পরিবার তাদের ছেলের জন্য কম বয়সী পাত্রী খুঁজেন। ঠিক আছে, ভালো কথা। খুঁজতেই পারেন। তবে, এমন নয় যে, ছেলের বয়স কম। আর আপত্তিটা সেখানেই। আমি বাস্তবে দেখেছি- প্রায় ১৬ বছরের ব্যবধানে (মেয়েটার ১৬, ছেলেটার ৩২) বিয়ে হয়ে স্বামী ও তার পরিবারের মানসিকতা এমন যে-“ এখন কি তুমি ছোট নাকি? এখন এই বাড়ির বড় বৌ”। তাই দেখা যায়- বড় বৌ হিসাবে তার দায়িত্বও সেই রকম ছিলো। এদিকে স্বামীর তাড়াতাড়ি বৃদ্ধ বয়সে পদার্পণ, সারাদিন হাত-পা টিপে দেয়া, খেদমত করা, স্ত্রীর ধ্যান-ধারণার সাথে বৈষম্য। আর এই ধ্যান-ধারণার ঘাটতিটাই ছেলেপক্ষ কি মেয়েপক্ষ বিয়ের আগে বুঝতে চান না। আমি এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাঃ ও উম্মুল মু’মিনিন আয়িশা রাযিয়াল্লাহু ‘আনহা’র উদাহরণ তুলতে চাই না, এ কারণে যে সেটা আল্লাহ’র ইচ্ছায় হয়েছিলো। আর বয়সের ব্যবধান থাকায় তিনি বিবি আয়িশা রাঃ এর সাথে তার বয়সী আচরণ করেছিলেন- যেটা আমাদের কয়জন ভাইরা করে? তাই প্রশ্ন- আপনারা যখন আপনাদের চেয়ে অধিক কম বয়সী মেয়েদের প্রতি তাদের মাপের আচরণ করতে পারবেন না, তাহলে কেনো মা-বাবার কথায় ‘কবুল’ বলেন? আরেকটা বিষয় লক্ষ্যণীয়- ছেলে-মেয়েদের বয়সের কম ব্যবধানে আনন্দময় দাম্পত্য জীবনের প্রয়োজনীয়তা বুঝাতে এক যুবক যখন বিধবা মেয়েকে বিয়ে করে তখন খোদ রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছিলেন-“তুমি এক কুমারী মেয়ে বিয়ে করলে না কেনো? তাহলে তুমি তাকে নিয়ে আনন্দ করতে, হাসি-খুশিতে তোমার মন ভরে যেতো। আর সেও আনন্দ ও সুখ লাভ করতো?” তাছাড়া নবী সাঃ এর মেয়ে হযরত ফাতিমা রাঃ কে হযরত আবু বাকর ও হযরত ‘উমর (রাযিয়াল্লাহু আ’নহুম) বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে নবীজী উভয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন। বললেনঃ তোমাদের দুজনের বয়সের তুলনায় সে অতি অল্প বয়সী মেয়ে। অথচ যুবক আলী রাঃ এর সাথে তিনি নিজে উদ্যোগী হয়েই হযরত ফাতিমা রাঃ এর বিয়ে দিলেন। সুতরাং অনেক পরিবার-যারা বয়সের ব্যবধান না দেখে নিজ স্বার্থে কম বয়সী মেয়ে খুঁজেন তারা বিষয়টি নিয়ে একটু ভাববেন কি?
২/ অনেকে চমৎকার একটা কথা বলে থাকেন-কথাটা হচ্ছে- ‘অল্প বয়সে বিয়ে হলে সমাজে বিশৃঙ্খলতা ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে যাবে’- যদিও এটা সমাজে প্রতিষ্ঠীত না হওয়ার পিছনে বিদ্যমান সমাজব্যবস্থা দায়ী। সচরাচর দেখা যায়- বিয়ের পরে অধিকাংশ মেয়ের পড়াশুনা হয় না। কারণ, বউ আসলেই পরিবার তার ঊপর কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব , বলতে গেলে অন্যের কাজের ভারটাও সেই বউ এর ওপর দিয়ে দেয়- যে কারণে কাজের চাপে স্বাভাবিকভাবেই পড়াশুনার প্রতি মেয়েটার অনাগ্রহ জন্মায়। এখন অনেকে বলতে পারেন- বউয়ের এতো পড়াশুনা করার কি দরকার? (তাদের মতে মেয়ে পড়াশুনা করতে পারবে বউ নয়)- যেমনটি এক পরিবারকে বলতে শুনেছি- তার মাস্টার্স পড়ুয়া ছেলের জন্য কম বয়সী ইন্টার পড়ুয়া মেয়ে বউ হিসাবে দেখবে- বিয়ের পরে আর পড়াশুনাও করাবে না। মূলত তারা একটা শিক্ষিত বউয়ের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছে না। বয়সের সাথে সাথে শিক্ষাযোগ্যতা মানুষের অভিজ্ঞতা বাঁড়ায়। যেই অভিজ্ঞতা সমাজে একক কর্তৃত্ব স্থাপনের জন্য নয়- বরং সহায়তার জন্য । হ্যা, আমি জানি কিছু শিক্ষিত মেয়ের অহংকারী মনোভাবের কারণে পরিবারগুলোর ধারণা এমন হয়ে গিয়েছে যে, “দরকার নাই, শিক্ষিত মেয়ে বিয়ে করার, অহেতুক অহংকার আর পড়াশুনার গরম দেখাবে, তারা মুরুব্বিদের সম্মান করবে না, ঘরে থাকতেই চাইবে না”। এসবের কারণে শুরুতেই বলতে- আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের যন্ত্র হতে শিখায়, আমাদের মনে বস্তুবাদী চিন্তা ঢুকিয়ে দিচ্ছে, ‘মানুষ’ হতে বলছে না। এরা বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা দেখায় তবে বিজ্ঞানের সৃষ্টিকর্তার কাছে মাথা নত করতে শিখায় না। এরা সুদের অংক শিখায় তবে সেটা কিভাবে একটা পুঁজিবাদী সমাজ গঠন করে পুরো দেশকে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিয়ে যাচ্ছে সেটা শিখায় না। নৈতিকতার যেখানে শিক্ষা যেই, সেখানে একটা মানুষ অহংকারী হবে। তাছাড়া কিছু সংগঠন রয়েছে যারা মেয়েদের এই বলে উসকানী দেয় যে, “এখন তুমি শিক্ষিত, তুমি কারো ওপর নির্ভরশীল নও, তাই, তুমি কারো ধার ধারতে যাবা কেনো?”- আসলে এসব টাইপের কথাগুলো মূলত মানব মনে উঁচু-নিচুর ভেদাভেদ সৃষ্টি ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। বাস্তবতা হলো, মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ একা বাস করতে পারে না। আমরা মূলত একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, যে নির্ভরশীলতা টাকা কিংবা পড়াশুনার ওপর ভিত্তি করে নয়, এর পিছনে কাজ করে মন-মানসিকতা। এদিকে যারা বলেন- নারী শিক্ষার দরকার কি? তাদের উদ্দ্যেশে বলতে- একটা নারীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার যেমন প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তেমনি রয়েছে ধর্মীয় শিক্ষার। কারণ, ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া সেই মেয়েটার মানসিকতায় পূর্ণতা আসবে না। মুরুব্বিদের সম্মান করবে না। তাছাড়া, স্ত্রী যদি জ্ঞানের বিচারে অজ্ঞ হয় তাহলে স্বামীও যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তাকে সাথে রাখবে না। এদিকে স্বামীর মধ্যে একটা ধারণা কাজ করবে- “দূর! সে কি বুঝে”! অন্যদিকে মা তার সন্তানেরও উত্তম শিক্ষক হতে পারবে না। সুতরাং পরিস্থিতি যাতে সেই রকম না হয় বরং স্বামী-স্ত্রী যাতে পরষ্পরের সহযোগি হয় সেই দিকে খেয়াল রেখে ছেলে-মেয়ের কম বয়সে বিয়ে হলেও ছেলের যেমন পড়াশুনা করা উচিত তেমনি মেয়েটিকেও পড়াশুনার পরিবেশ দেয়া উচিত।
৩/ এদিকে আমরা যেখানে পবিত্র কর্ম বিয়ের রাস্তা সহজ করতে চাচ্ছি, কম বয়সী হলেও কি সমাধান হতে পারে সেটা বলতে চাচ্ছি সেখানে -কম বয়সে বিয়ে না করানোর জন্য মূলত যুদ্ধ শুরু করেছে, কিছু বস্তুবাদী সংগঠন –যারা বিয়েটাকে শুধু বংশবিস্তার এর পর্যায়ে রেখে বাল্যবিবাহের ইস্যুকে পুঁজি করে অল্প বয়সে বিয়ে হলে তোলপাড় শুরু করে দেন, যে কারণে অনেক ছেলেপক্ষ-মেয়েপক্ষ রাজি থাকলেও যেখা যায়- বিদ্যমান সরকারী রেজিস্ট্রেশনের বৈধতার চাপে পড়ে বিয়ে হতে পারে না। শুধু তাই নয়- গ্রামে এমনো হয়েছে মেয়ের বয়স ১৮ এর নিচে আর এই খবর পাওয়া মাত্রই এক সংগঠন এসে বিবাহ ভন্ডুল করে দেয়। এসব সংগঠনরা বিয়ের উদ্দেশ্যটাকে শুধু বংশ বিস্তার হিসাবে দেখেন, আর সেটার ওপর ভিত্তি করে বাল্যবিবাহ নিয়ে নিত্যনতুন স্লোগান প্রচার করেন। এদের চোখে ১৫-১৬ বছরের মেয়ে-ছেলের প্রেম নজরে পড়ে না, ডাস্টবিনে পড়ে থাকা নবজাতকের লাশ চোখে পড়ে না, তাদের কাছে ১৮ বছরের ছেলে-মেয়ে হলো শিশু! জানি, সেই সব সংগঠন কম বয়সী মেয়েদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বুঝাচ্ছে-সেটারও একটা সুষ্ঠ সমাধান আছে- তবে তার জন্য বিয়ে আটকে থাকবে কেনো? যদি স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা আমরা মেনেও নেই- তাহলেও বলবো বিয়ে আটকিয়ে রাখা উচিত নয়। বরং তার চেয়ে ভালো, কাবিন তথা বিয়ে পড়িয়ে দেয়া। এবার ছেলে-মেয়ে যত ইচ্ছা কথা বলুক, অন্তত তারা স্বামী-স্ত্রীর বন্ধনে থাকবে, গুনাহগারও হবো না”।পরে না হয় মেয়ের ১৮ বয়স হলে রেজিস্ট্রেশন অফিস থেকে কাবিন নামা তুলে ছেলের বাড়ীতে উঠিয়ে দেয়া হবে। তবে এই সমাজের সমস্যার যেনো শেষ নেই। তাদের কাছে মেয়েকে দেরী করে ছেলের বাসায় দিলে বউ আর নতুন থাকে না, পুরাতন হয়ে যায়।
যাই হোক, অহেতুক, অমূলক ধ্যান-ধারণা, কুসংস্কারের কারণে দিন দিন সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, বিশৃঙ্খলতা ছড়াচ্ছে- যার জন্য আমাদের অনৈতিকতাকে দায়ী করা হলেও পরিবার তথা সমাজের দায়বদ্ধতাও কম নয়।
বিষয়: বিবিধ
১৯১৭ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চমৎকার লেখেছেন সমাজের চিত্রটাও মোটামুটি উঠে এসছে। অতীতে অনেক জাতি শুধু এজন্যই ধ্বংস হয়েছে যে-ধর্মের নিয়মনীতীর চাইতে সামাজীক প্রথা, পূর্বপুরুষের নিয়মের কথা বলে মৈালিক জায়গায় গ্যাপ করাতে। আজকেও আমাদের এই আধুনিক সমাজেও অনেকক্ষেত্রেই সেরকমই করছি। বিয়ের বয়স, একাধিক বিবাহ ইত্যাদি।
আর কত্তোদিন, কেউ বুঝে না
মন্তব্য করতে লগইন করুন