আসেন, দুই বাংলা এক হই!

লিখেছেন লিখেছেন FM97 ১৩ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:১১:৪২ সন্ধ্যা

বাঙ্গালি নাম দিয়ে যদি সার্বজনীনতাই বুঝাতো তাহলে তো দুই বাংলা একই হয়ে যেতো। তা…… সমস্যা নাই। আমরা চোখ রাখি টিভি’র পর্দায়, ওদের কায়দায় এক হওয়ার প্রসেসিং চলছে। তাই, কখনো আমরা বাঙ্গালি, কখনো বলিউডি!

বরাবরের মতো এবারও নববর্ষ উপলক্ষ্যে ছেলেদের সাদা ফতুয়া আর লাল ধুতি বিক্রি হচ্ছে। যদিও প্রশ্ন হলো-এদেশের কয়টা পুরুষ ধুতি পরে? তার চেয়ে বরং গেঞ্জি আর লুঙ্গি’র ফ্যাশন হলে তো এদেশের সংস্কৃতির সাথে মানানসই হতো। তবে না, এ সংস্কৃতির ফোকাস হচ্ছে না, হচ্ছে ধুতি উৎসবের প্রচার। এসব কিসের ইশারায়? আহা! এতো ইশারা বুঝার জ্ঞান কি আমাদের আছে? আমরা তো উদার জাতি! তাতে নিজের জাত ভুলে গেলেই বা কি?

ক্যামেরা যখন আমাদের খুঁজবে, আমরাও নিজেদের দেখানোর জন্য যা যা করা লাগে করবো, তাই না? কে কার কি পুজি করে ব্যবসায় করছে তা ভাবার সময় কই? নিজের ঝুলিতে ‘সেরা বৈশাখী সাজের খেতাব’ আর পুরুষ্কার আসলেই হলো। কার সামনে সাজবো, কাকে দেখাবো, কে দেখতে পারবে, কে অধিকার রাখে, কোথায় দেখালে বিপদ হবে—এত কিছু ভাবে কয় জন? ওমুক চ্যানেলের ক্যামেরা আসছে একটু চেহারা দেখায়া আসি…। আমরা প্রচারমুখী, নীতিবিমুখ!

এদিকে সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক একটা উৎসব যাকে সার্বজনীন নাম দিয়ে নববর্ষের মূল আকর্ষণ হিসাবে প্রচার করা হয় তাহলো ‘মঙ্গলযাত্রা’। আচ্ছা, এটা সার্বজনীন কিভাবে হয়? যেখানে কিছু প্রাণীর মূর্তি, মুখোশকে সমৃদ্ধি ও মঙ্গলের প্রতীক বলা হয়? একটা মুসলমান কখনো কোনো প্রাণী কিংবা ঋতুকে মঙ্গলের বার্তা বাহক হিসাবে ভাবতে পারে না। তাহলে তো সে শিরকই করে বসলো! আমরা আমাদের সমৃদ্ধি, মঙ্গলের জন্য আল্লাহ’র কাছে দোয়া করতে পারি আর এর জন্য কোনো ঋতুর অপেক্ষা কিংবা শুভ-অশুভ ক্ষণ বলে কিছু নেই, বরং বান্দা যখন ডাকে আল্লাহ তার ডাক শুনেন। অথচ আজ আমাদের মুসলমান ভাই-বোনেরা সংস্কৃতি ও প্রচারণার ফাঁদে পড়ে ধর্মীয় বিশ্বাসের মূলে আঘাত হানছেন। এখন কেউ যদি বলে- ‘আমি তো সেই নিয়তে যাই না’- তাহলে বলবো-যেখানে ইসলাম বিরোধী কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি করা হয়েছে, মুসলমানদের হাত দিয়ে সেই কাজটি করানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে আর আপনি কিনা সেই কাজে সহায়তা করবেন? যেটা আল্লাহ অপছন্দ করেন সেই কাজটিতে উৎসাহ দিবেন? আজ আমাদের নীতিহীন প্রচারমুখীতা আর তা পুঁজি করে মিডিয়ার ষড়যন্ত্র আমাদের বিশ্বাসকে দূর্বল করে দিচ্ছে।

সুতরাং সার্বজনীন উৎসব সার্বজনীন কায়দায় হওয়া উচিত। যাতে কারো ধর্মে আঘাত না লাগে। বিদ্যমান মিডিয়ার কথা বাদ, তারা সবাই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন আমরাই এক একটি মিডিয়া। তাই আমার মতে-এ দিনকে ঘিরে নৌকাবাইচ, রিক্সা রেসিং, গ্রামীণ জীবনের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী, হস্ত শিল্প, বই মেলা, গৃহসজ্জা, মাটির তৈজসপত্রের মেলা-ইত্যাদি যেগুলোতে সবাই অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে সেভাবে উদযাপন করলে ভালো হয়।

বিষয়: বিবিধ

১০৩৭ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

207188
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৪
আঁধার কালো লিখেছেন : ভালো লাগলো ।
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৩
155784
FM97 লিখেছেন : ধন্যবাদ...
207207
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩০
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : দুই বাংলা এক হলে আমাদের দুই পাইয়েরও উপকার হবেনা। পশ্চিম বাংলার কৃপণ, হিংসুটে, ইতর মানুষের চেয়ে পূর্ব বাংলার উদার মস্তিস্ক ঝগড়াটে মানুষ হাজার হাজার গুনে ভাল।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:২৮
156274
FM97 লিখেছেন : তা, এদেশের মানুষের আপত্তি না থাকিলে, পার্থক্য না বুঝিলে আমাদের কি করার...
207213
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
মাটিরলাঠি লিখেছেন :
"দুই বাংলা এক হই" না বলে, বলেন, "আসেন আরো বৃহত্তর গণতন্ত্রে যোগদান করি।" -যেমনটা সিকিমের পার্লামেন্টে বলা হয়েছিল ২৯ বছর আগে।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:২৯
156275
FM97 লিখেছেন : Waiting
207221
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
ভিশু লিখেছেন : ভালো বলেছেন...Happy Good Luck
207223
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৭
বেদনা মধুর লিখেছেন : মুসলমানী সংস্কৃতিতে যাদের আপত্তি সেই সব মুসলমানের বাচ্চারাই কিন্তু হিন্দু সংস্কৃতিতে নাচবে।
এই সব যারা করে তাদের যদি কুকুর বলি তাহলে কুকুর রাগ করবে। তাই তাদেরকে আমি লীগ বল্লাম।
207239
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৫
শেখের পোলা লিখেছেন : ছোট বেলায় কোলকাতার যাদুঘরে সব জাতির পোষাকের মাছে বাঙ্গালীর জাতীয় পোষাক ধূতি পাঞ্জাবী দেখেছিলাম, অবশ্য তখনও এপার বাংলার জনগন বাঙ্গালী নয় মুসলীম ছিল৷ এখন তারা যখন বাঙ্গালিত্ব গ্রহন করেছে অতএব ধূতি পাঞ্জাবীতে আপত্তি করে লাভ কি? আর কদিন পরে হয়তো পৈতাও সাথে থাকবে৷
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:২৪
156273
FM97 লিখেছেন : ধুতি-পৈতা পড়িতে সমস্যা হবে তাদের যারা জানে- বাঙ্গালি মুসলমান আর বাঙ্গালি হিন্দুর মধ্যে পার্থক্য কোথায়...
207249
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই তথাকথিত সংস্কৃতিবাজ রা যে টা জানেনা যে ভারতেও এখন খুব কম লোকই ধুতি পড়ে।
আর দুই বাংলা শব্দটা আসে কিকরে? একটি স্বাধিন দেশ আর একটি প্রদেশ।
207307
১৩ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:০১
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশের বাঙ্গালীদের সাথে মিশে যাবার মত যোগ্যতা পশ্চিমের দাদাবাবুদের নেই ।

তাদেরকে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের সাথে মিশে যাবার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে ।

তারা কি পারবে এখানকার মুসলমানদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ?
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:১৪
156269
FM97 লিখেছেন : আমাদের সাথে তাল মিলানোর দরকারটা কি, তার চেয়ে বরং তারাই আমাদের কে গড়ে দিক, তাহলেই তো হয়....Straight Face
207451
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৭:৩২
কেলিফোরনিয়া লিখেছেন : লাল সবুজের দেশ টা নিয়ে, স্বপ্ন বুনা বুকের মাঝে

আর কত টা রক্ত দিলে, ভাইয়ের হাতে ভাই হারালে

আর কবে মা? বুজব মোরা

সবি ছিল বর্গি দেশের চাল।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:১৬
156270
FM97 লিখেছেন : এ জাতিকে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাইতে দেন আর অন্ধ-অনুকরণ করতে দেন- টেরই পাবে না- কখন যে বর্গি চলে আসিবে...
১০
207682
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:১১
মুিজব িবন আদম লিখেছেন : বাংলাদেশের মানুষের সাথে পশ্চিমবাংলার মানুষের মিল হওয়া সম্ভব না। সারা ভারতে কেউ বিনা টিকেটে ট্রেনে উঠলে তাকে প্রথমেই বাঙ্গাল দাদা ধরে নেয়া হয়। কোন কিছু চুরি গেলে পাশে কোন দাদা আছে কিনা খোঁজ নেয়া হয়। কেননা তাদের চরিত্র বড়ই পবিত্র।
আর দিল্লীওয়ালাদের চিন্তা ভিন্ন। বাংলাদেশকে পকেটে রাখতে সবকিছুই তারা করতে পারে। তাতে তাদের আছে বহুবিধ উপাদান। বাংলাদেশ তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত নাই। আল্লাহই শেষ ভরসা।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:১৮
156271
FM97 লিখেছেন : বিশ্লেষণ ভালো, বুঝে কয় জন?
১১
207723
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৫
১২
208593
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:৪১
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আল্লাহর নিয়মের বাইরে চলার জন্য আমাদের সবরকম এক্সকিউজ রেডি। দুঃখজনক ব্যাপার হোল প্রয়োজনের সময় এসব এক্সকিউজ কোন কাজেই লাগবেনা Yawn

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File