টার্গেট যখন নগর পরিষ্কার রাখা
লিখেছেন লিখেছেন FM97 ১৭ অক্টোবর, ২০১৩, ০৫:১০:১৬ বিকাল
কুরবানি আসলেই যত্রতত্র পশু কুরবানির মাধ্যমে শহরগুলো এক অপরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত হয়। সরকারি পরিচ্ছন্নকর্মী থাকলেও- হয় তাদের কাজে অবহেলা, না হয় এলাকাবাসীর যেখানে সেখানে পশুর রক্ত, গোবর, নাড়িভুঁড়ি ফেলে রাখার কারণে রাস্তাগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। তাই আমার মতে- সরকারি তরফ থেকে পশু জবাইয়ের জন্য সারা দেশের প্রত্যেকটি এলাকায় একটি নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ করা উচিত। এতে পরিচ্ছন্নকর্মীদেরও পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে, জায়গা জায়গা ঘুরতে হবে না আর কুরবানিদাতার বাড়ির সামনের আঙ্গিনা বা রাস্তাও পরিষ্কার থাকবে। আর অবশ্যই কোনো বাড়ির কর্তা যাতে রাস্তা নোংরা করতে না পারে, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তবে এটা করতে গিয়ে- কোনো কোনো নগরবাসী বলতে পারেন- “দূর! এতো ঝামেলার কি হলো? নিজের বাড়ির নিচে জবাই দিলে, গোশত আনা-নেয়ায় সুবিধা হয়। বাড়ি থেকে একটু দূরে হলেই তো সমস্যা, আনা-নেয়া করবে কে? আমাদের মানুষ নাই”। আসলে বলতে হবে বলে- এমন কথা বলা। ‘কাজের মানুষ নাই’-এটা খোড়া যুক্তি। পরিবারে অনেক আত্মীয়-স্বজন থাকে। আর ধরে নেই- যদি পরিবার ছোটও হয়, আর কোনো মানুষ না থাকে তাহলে কাউকে যদি কিছু টাকা দিয়ে বলেন- ভাই, আমার গোশতগুলো একটু বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিন, তাহলে কিন্তু কেউ না করবে না। এদিকে কিছু আরামপ্রিয় মানুষ আছেন- যারা কয়েক কদম হাঁটতেও চান না। যেমন- কিছু কিছু পরিবারে দেখি মেইন গেট দিয়ে আবর্জনা সামনে ডাস্টবিনে না ফেলে ড্রেনে ফেলে দেন। যেটা খুবই খারাপ অভ্যাস। দুই কদম হেঁটে নির্দিষ্ট স্থানে ফেললেই তো হয়! আমরা জানি, আবু মালিক আল আশ’য়ারী রাঃ হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন-“পবিত্রতা বিশ্বাস তথা ঈমানের অঙ্গ” (মুসলিম) ।
সুতরাং, টার্গেট একটাই নগর পরিষ্কার রাখা। আর কিছু পেতে হলে কিছু তো করতে হয়।
বিষয়: বিবিধ
১২৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন