ঈদের নামাজটি কিন্তু নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই

লিখেছেন লিখেছেন FM97 ০৭ আগস্ট, ২০১৩, ১০:৪৫:৪৩ রাত

আমাদের সমাজে ঈদের দিন সকালে ঘরের পুরুষদেরই শুধু ঈদের নামাজ পড়ার জন্য বের হতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা খুবই কম। অধিকাংশ নারীরা থাকেন, ঘর গোছগাছ আর রান্না-বান্না নিয়ে। যদিও ঈদের নামাজ পড়ার উদ্দ্যেশে ঘর থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে আমাদের প্রিয় নবী সাঃ মেয়েদেরকে অনেক তাগিদ দিয়েছেন। কেননা, এই নামাজের গুরুত্ব নর-নারী উভয়ের জন্য।

জাবির ইবন আবদুল্লাহ রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- নবী সাঃ ঈদুল ফিতরের দিন বের হন। অতঃপর সালাতের পর খুতবা দিলেন। খুতবা শেষ করে, তিনি মিম্বার হতে নেমে মহিলাদের কাতারের নিকট আসলেন এবং তাদের উপদেশ করলেন। ….আমি ‘আতা রাঃ কে জিজ্ঞাস করলাম, আপনি কি এখনো জরুরী মনে করেন যে, ইমাম খুতবাহ শেষ করে নারীদের নিকট এসে তাদের উপদেশ করবেন? তিনি বললেন- নিশ্চয়ই তা তাদের জন্য জরুরী। তাদের কি হয়েছে যে, তাঁরা তা করবে না? (বুখারি, ১ম খন্ড, ৯৫৮, ৯৬১)

উম্মু আতিয়্যাহ রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেন- ঈদের সালাতের উদ্দ্যেশে নারীদের নিয়ে যাবার জন্য নবী সাঃ এর নির্দেশ ছিলো, তাই আমরা যুবতী এবং তাঁবুতে অবস্থানকারিণী নারীদের নিয়ে বের হতাম। (বুখারি, ১ম খন্ড, ৯৮১)

এদিকে বুখারি হাদিসেরই ৯৮০ নং এ বর্ণিত, কোনো মহিলার যদি ওড়না না থাকে, তবে সে যেনো তার বান্ধবীর কাছ থেকে হলেও ওড়না নিয়ে ঈদের সালাতের জন্য বের হয়।

উপরের হাদিসগুলো খেয়াল করলে দেখা যায়-মেয়েদের ঈদের নামাজের প্রতি কতটাই না গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

তবে দুঃখজনক যে, অনেক নর-নারীই এই হাদিসটি জানেন না। আর কিছু নারী থাকেন যারা রান্না-বান্না নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে, এই নামাজের প্রতি তত আগ্রহ দেখান না, যদিও ইচ্ছা থাকিলে উপায় হয়। এদিকে কিছু নারী আছেন যারা মনে করেন তাদের জন্য ঈদের নামাজের যে কথা বলা হয়েছে তা ঘরে বসে পড়লেই হবে। কিন্তু না, হাসিদে স্পষ্ট উল্লেখ আছে- তারা যাতে নামাজ, খুতবা, দোয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে আসে। হাদিসে ওড়না না থাকলে অন্যের কাছ থেকে চেয়ে নেয়ার কথা বলে মেয়েদের ঈদগাহের উদ্দ্যেশে বের হওয়াকে আরো গুরুত্ব দেয়া হয়েছে-কারণ তারাও যাতে পুরুষদের পাশাপাশি খুতবা শুনে লাভবান হয়। কারণ, এটাও তাদের অধিকার, তারা কেনো ভালো কাজে পিছিয়ে থাকবে? এখানেই ইসলামের মহত্ত্ব।

এদিকে এসব বিষয়ে অজ্ঞতা, আগ্রহ ও উপলব্ধির অভাবে ঈদের সকালে জায়নামাজ হাতে ঈদগাহের উদ্দ্যশে নারীদের তত দেখা যায় না। তাই প্রিয় বোনেরা, তোমরা ঈদের নামাজ মিস কোরো না। অন্তত খুতবাহ ও দোয়ায় সামীল হলেও বের হয়ে আসো। আর শ্রদ্ধেয় ভাইরা, বাড়ির মা, বোন, স্ত্রীদের এ ব্যাপারে তাগিদ দিন, তাদের ঘরের কাজ থেকে অব্যহতি দিয়ে নিজের সাথে করে নিয়ে বের হন। যাতে তারাও জামাতে সামীল হয়্‌ উপদেশ গ্রহণ করে, সমাজ গঠনে অবদান রাখতে পারে।

বিষয়: বিবিধ

১৫৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File