নববর্ষ উদযাপন-সার্বজনীনতার নামে সাম্প্রদায়িকতা কেনো? Thinking

লিখেছেন লিখেছেন FM97 ১৪ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:৩২:৫৭ দুপুর

এসেছে পহেলা বৈশাখ, ১৪২০ বঙ্গাব্দ। বাঙ্গালির জন্য এক উৎসবমুখর দিন। যদিও এই দিনটি অনেকের কাছেই রমনার বটমূলে গিয়ে পান্তা-ভাত খাওয়া, প্রদ্বীপ জালিয়ে অনুষ্ঠান আরম্ভ করা, বাধ্য হয়ে বা মনের আনন্দে নিত্য-নতুন ফ্যাশনের ড্রেস পড়া, জীব-জন্তুর মুখোশ নিয়ে মঙ্গল যাত্রায় যাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। প্রচলিত প্রথা নিয়ে অনেকের পক্ষে-বিপক্ষে মত থাকলেও বিবেচনার বিষয় হলো, এসব প্রথাকে আকড়ে ধরে আমরা কতজনই বা এর প্রকৃত অর্থ উপলব্ধি করছি? মিডিয়া এগুলোকে ফোকাস করলেও, আমাদের গ্রাম, আমাদের মাটি- যেখান থেকে শুরু হয়েছিলো এই বাংলা সনের উৎপত্তি, যে মাটির গভীরে গেঁথে আছে এর ইতিহাস, সেই ইতিহাসকে আমরা কতজনই বা স্মরণ করে এই দিনটি উদযাপন করছি? যুগ যুগ ধরে চলে আসা প্রথাগুলোর প্রতি আমরা এতটাই আসক্ত, এতটাই উদার যে, না আমরা ইতিহাস জেনে সেই দিকে পা বাড়াচ্ছি, আর না প্রচলিত সংস্কৃতির উন্নতি সাধন ও উন্নয়নের চিন্তা মাথায় রাখছি। প্রশ্ন হলো- ইতিহাস জানার, সংস্কৃতির উন্নয়ন ও পরিবর্তনের প্রয়োজনই বা কি? যেমন চলছে চলুক, অসুবিধা কোথায়? তাহলে, বিস্তারিত আলোচনাই করা যাক।

বাংলা নববর্ষের সূচনা হয় ভারত বর্ষে, মুঘল সম্রাট আকবরের নির্দেশে। তখন উন্নত প্রযুক্তি না থাকায় ঋতুর উপরই কৃষিকাজ নির্ভর করতো। আর হিজরি ক্যালেন্ডার অনুসারে খাজনা আদায় করা হত। তবে, চাঁদের সাথে কৃষি ফলনের নিয়ম না মিলায় অসময়ে অতিরিক্ত খাজনার কবল থেকে কৃষকদের রক্ষা করতে সম্রাটের আদেশে তৎকালীন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবীদ ফাতেহ উল্লাহ সিরাজী সৌর সন বা নতুন বাংলা সনের প্রচলন করেন। পরে এটি বঙ্গাব্দ হিসাবে পরিচিতি পায়। কৃষিকাজের সেই রেশ ধরেই ভূমি-মালিকরা খাজনা পেয়ে খুশি হয়ে তাদের প্রজাদের মিষ্টি মুখ করান। আর এভাবেই বিভিন্ন পাইকারী, খুচরা ব্যবসায়ী, বিশেষ করে জুয়েলার্সের দোকানগুলো নতুন খাতা(হালখাতা) খুলেন আর ক্রেতাদের মিষ্টি খাওয়ান। যার সুন্দর প্রচলন আমাদের পাইকারী ব্যবসায়ীদের মধ্যে আজও লক্ষ্য করা যায়।

তবে ব্যবসায়ীদের মধ্যাকার প্রথা বজায় থাকলেও যুগ যুগ ধরে আমরা লক্ষ্য করে আসছি, পহেলা বৈশাখ আসলেই, বাঙ্গালির সার্বজনীন অনুষ্ঠানের নামে রমনার বটমূলে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো...............’ বলে গান গাওয়া, প্রদ্বীপ জ্বালানো, মঙ্গল যাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে। প্রশ্ন হলো- এসবের সাথে বাংলা নববর্ষের সম্পর্ক কোথায়? এসব অনুষ্ঠানের আমদানী কোথা থেকে? কিছু অবুঝ মুসলমান এসব পালন করলেও, যে প্রথা দেশের অধিকাংশ মুসলমানদের মনে কষ্ট দেয়, যার কারণে অনেকেই সেখানে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন, এমন সাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠানকে জিইয়ে রাখার উদ্দেশ্য কি?



শুরুতেই বলবো, আজকে বাঙ্গালি বলে, যে সব রীতিকে সার্বজনীনভাবে দেখা হচ্ছে, যেসব বুদ্ধিজীবীরা পশ্চিমবঙ্গ (কলকাতা) ও পূর্ববঙ্গের (বাংলাদেশ) রীতিকে এক করতে চাচ্ছেন ও দেখতে চাচ্ছেন, তাদের জানা উচিত, পশ্চিমবঙ্গের কারা এই উৎসব করে এবং কি উদ্দেশ্যে করে। তারা যদিও বাঙ্গালি তবে, তারাও কি নিজেদের ধর্মকে অগ্রাহ্য করে এটাকে সার্বজনীনভাবে দেখছে, নাকি এসব অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে- নির্দিষ্ট কিছু সম্প্রদায়ে? আমাদের দেশের মত সেখানেও অনেক বাঙ্গালি মুসলমান আছেন- তারা কি সার্বজনীন অনুষ্ঠান মনে করে এতে অংশ নিচ্ছেন?

প্রকৃতপক্ষে, কলকাতায় এই দিনটা হিন্দু ধর্মাবলম্বিরা পালন করে থাকেন। পুজা করে হালখাতা খুলেন। পুজারীগুলো জোরে জোরে মন্ত্র পড়ে ও হিন্দু স্বস্তিকাচিহ্ন অংকন করেন। ধর্মীয় পন্ডিতদের ভোররাত থেকেই মন্দিরে দেখা যায়। সেখানে থাকে লম্বা লাইন। সকালে তারা বড় এক গাছের নিচে বা নদীর কিনারে বসে সূর্যের আগমন তথা (নতুন বছরের নব সূর্যকে) বরণ করেন। গান পরিবেশন করে নতুন দিনকে স্বাগত জানান। প্রভাত ফেরীর আয়োজন করেন। এমনকি অনেক হিন্দুরা এই দিনকে বৈবাহিক সম্পর্কের শূভ মুহুর্ত(মুহুরাত) হিসাবেও দেখে থাকেন। তাছাড়া ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ইংরেজী পুঞ্জিকার মধ্য এপ্রিলের অনুষ্ঠান, স্থান ভেদে বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমনঃ আসামে ‘রাংগুলী বিহু’, তামিল নাড়ুতে ‘পুথান্ডু’, কেরালায় ‘ভিষু’ , উড়িষ্যায় ‘মহা ভিষুবা সাংক্রান্তি’- এভাবে পাঞ্জাব, মনিপুর, বার্মা, নেপাল, শ্রীলাংকা-ইত্যাদি অঞ্চলে বিভিন্ন নামে উৎসব পালিত হয়। তবে এসব উৎসবের পিছনে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস জড়িত। আর সেভাবেই তারা দিনটি উদযাপন করেন। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু বুদ্ধিজীবীরা তাদের অনুষ্ঠানকে আমাদের দেশের সংস্কৃতির সাথে এক করে দেখতে গিয়ে ভুলে গেছেন এদেশের ধর্ম, মূল্যবোধ ও সভ্যতাকে। তারা মুসলমান হয়েও এটা দেখতে ভুলে গেছেন যে- এসব আমাদের ৯০% ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক কি না। আমরা বাঙ্গালি নাম দিয়ে কলকাতার বাঙ্গালিদের মত আচরণ করতে চাই- অথচ সত্য হলো কলকাতার বাঙ্গালি মুসলমান নিজেরাই এসব অনুষ্ঠান সমর্থন করেন না। আর করবেনই বা কি করে? এটা তো তাদের অস্তিত্ত্ব, তাদের ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক! অথচ আজ আমরা তথাকথিত উদারতা, অসাম্প্রদায়িকতার নাম করে সার্বজনীনতার দোহাই দিয়ে নিজেরাই নিজেদের সাথে ধোকাবাজি করছি। মুসলমানদের এমন অবস্থা দেখে খোদ হিন্দুরাই মুচকি হাসেন। আর এসব কথা তুলে ধরলে আমাদের হিন্দুরা নয় বরং অবুঝ মুসলমানেরাই চেঁচিয়ে উঠে বলেন- ‘ধর্মকে সব জায়গায় আনবেন না। এসব বাঙ্গালি রীতি। বৈশাখকে বরণ করার সাথে ধর্মের সাংঘর্ষিকতা কোথায়? সবাই করে তাই করি। এতে আমার কোন ধর্মীয় যোগসূত্র নেই’। সত্য হলো, আমাদের দেশের অধিকাংশ মুসলমানদের কাছে ধর্মটা শুধুমাত্র নামাজ আর দোয়া-দুরূদ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। তাই ইসলামের পূর্ণাঙ্গ রূপ আজও বাংলাদেশের মাটিকে স্পর্শ করে নি। আর তাই, কোন ঋতুকে মঙ্গল মনে করে তাকে ডাকতেও আমাদের সমস্যা হয় না। যদিও আমাদের মুসলমানদের নূন্যতম এই জ্ঞান থাকা উচিৎ যে, কোন ঋতু কখনো মঙ্গল হতে পারে না। বরং সেই ঋতু বা সময় আমাদের জন্য যাতে মঙ্গল হয় তার জন্য শুধুমাত্র আল্লাহকেই স্মরণ করা যায়। আর তার মঙ্গল হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট গাছের নিচে নয় বরং ঘরের কোণে বসলেও সমস্যা নেই। অনেকে হয়ত বলতে পারেন- ‘ইসলামও তো পহেলা মোহরম পালন করে’। আসলে বিষয়টি তেমন নয়। পালন করাটা বাধ্যতামূলক নয়, তবে যারা পালন করেন তারা ‘পহেলা মহরম’কে নয় বরং ইসলামের ইতিহাসে পহেলা মহরমে ঘটে যাওয়া অতীতকে স্মরণ করেন, রোজা রেখে আল্লাহ’র ইবাদত করেন।

বৈশাখ নিয়ে যারা -‘সবাই করে তাই করি’- এমন নীতিতে বাছ-বিচার করা ছেড়ে দেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে হয়- যেহেতু ধর্মই হচ্ছে মানুষের অস্তিত্ত্ব, তার জীবন ব্যবস্থা- তাই একজনের রীতি পালনের ধরণ দেখেই বুঝা যায়, তার মানসিকতা কেমন। একজন মুসলমানের সামনে সবাই যদি আনন্দে পূজা করে, তাহলে সে কি পূজা করে বলবেন যে, আমার সেরকম নিয়্যত নেই, সবাই করছে তাই করছি? নাহ, সে এমনটি করবে না। তেমনি, একজন হিন্দু যদি নামাজ পড়া শুরু করে, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই তাকে মুসলিম বলে ডাকবো। তাই বৈশাখকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের তাদের ধর্মীয় কাজ করতে দেয়া, আর মুসলমানদের নিজেদের মূল্যবোধ বজায় রেখে চলাই প্রকৃত অসাম্প্রদায়িকতা।

এবার, বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাবো- ১৯৭২ সালের পর থেকে বৈশাখ উদযাপন শুরু হলেও, বর্তমানের মত ছিল না। তাছাড়া শেখ মুজিবুর রহমান জীবিত থাকাকালীনও অবস্থা এমন ছিল না, যা ওনার কন্যার যুগে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাছাড়া মরহুম জাতীয় অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান তার ‘বঙ্গবন্ধুঃ যেরকম দেখেছি’ গ্রন্থে উল্লেখ্য করেন-“..................তৎকালীন টেলিভিশনের মহাপরিচালক জামিল চৌধুরী আমাকে দিয়ে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কথা রেকর্ড করিয়ে নিলো। এগুলো ছিলো জীবনযাপনের ন্যায়-নীতি সংক্রান্ত কথা। সে আমাকে জানালো- যেহেতু বাংলাদেশ এখন ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, সুতরাং রেডিও-টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের শুরুতে, কোনো ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হবে না, তার পরিবর্তে কিছু আদর্শ বাণী পাঠ করা হবে। এ বাণী বোধ হয় এক দিন কী দুই দিন টেলিভিশন থেকে পাঠ করা হয়েছিলো। শেখ মুজিবুর রাহমান এ বাণী শুনে ভয়ানক রুষ্ট হয়ে জামিল চৌধুরীকে ডেকে পাঠান। তিনি জামিল চৌধুরীকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন করলেন- “একজন মুসলমানের বাড়িতে সকাল বেলা কিসের শব্দ শুনা যায়? গানের না হরিবলের”? সবাই তখন তটস্থ হয়ে গেছে। তিনি তখন নিজেই উত্তর দিলেন- “মুসলমানের ঘরে কুরআন শরিফের আওয়াজ শোনা যায়। আজ থেকেই রেডিও-টেলিভিশনে অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমি কুরআন শরিফের আওয়াজ শুনতে চাই’। অথচ আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই বৈশাখকে কেন্দ্র করে সকাল সকাল গান গাওয়ার জন্য মুসলমানরা বটতলায় ছুটছে। উল্লেখ্য, আগে আমাদের দেশে মঙ্গল যাত্রা হত না। ১৯৮৯ সালের পর এর প্রচলন হয়।

পরিতাপের বিষয় হলো- আজ আমরা আমাদের ধর্ম, মূল্যবোধ, নিজস্ব পরিচয়ের জাত মেরে অনেক কর্মসুচি পালন করছি। অবুঝমনে শুধু বাঙ্গালিত্ত্বের নাড়া লাগাচ্ছি। এদেশের ৯০% মুসলমানরা এতটাই মহান(?) যে নিজের ধর্মের মূল ভিত্তিতে আঘাত লাগলেও অনুভূতিহীন হয়ে থাকছেন। আফসোস! আমরা ভূয়া অসাম্প্রদায়িকতার মোড়কে, ধর্মকে বেঁধে নিজের এক আলাদা পরিচয় খুজে বেড়াচ্ছি। আর আমাদের বোদ্ধাগোষ্ঠীরা (যারা আমাদের শিক্ষক) জোরালো কন্ঠে বলেন- “বৈশাখ এক অসাম্প্রদায়িক বাঙ্গালি রীতি”। অথচ পরিষ্কারভাবে বলতে বৈশাখ অসাম্প্রদায়িকতা বহন করলেও এই দিনকে ঘিরে যেসব রীতির প্রচলন করে রাখা হয়েছে- তা সাম্প্রদায়িক, বাঙ্গালি হিন্দু রীতি। তাই বলতেই হয়- “সবাই সবার জায়গায় ঠিক আছে, আমরা, মুসলমানরাই অজ্ঞতা দেখিয়ে মহান(?) সাজতে গিয়ে নিজেরাই নিজেদের ধর্মের গলা টিপে ধরেছি”। ঋতুকে নিজের জন্য কল্যাণকর মনে করে স্বাগত জানাচ্ছি মঙ্গল যাত্রা দিয়ে! এদিন অনেকে মুসলমান হয়েও (হিন্দু হলেও বুঝতাম) প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করছি। এতে মুসলমানদের নিজের ধর্মের ব্যাপারে অজ্ঞতাই বুঝায়। দুঃখের বিষয়, আজ এক অজানা স্বার্থে আমাদের তরূণ সমাজকে বাঙ্গালি হিন্দুদের বৈশাখ উদযাপনের পাঠ দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।

এতো হলো যুগ যুগ ধরে চলে আসা আমাদের বৈশাখ উদযাপনের রীতি, তাহলে এর সমাধান কি? যেহেতু এটা বাংলা সনের প্রথম দিন, আমাদের গ্রাম-বাংলার, আমাদের কৃষি সম্পদের, আমাদের সবুজের সাথে জড়িত তাই নববর্ষ উদযাপনের মূল ধারায় আমাদের ফিরে যেতে হবে। পালন করতে হবে এমন কিছু উৎসব যাতে গ্রামের মাটির গন্ধ ভেসে আসে, যাতে থাকবে না হিন্দু- মুসলিমদের ভেদাভেদ, থাকবে না কোনো সাম্প্রদায়িকতা, মনোমালিন্য। যে অনুষ্ঠানে কোনো মুসলমান ছেলে-মেয়েদের বাধ্য করা হবে না তিলক লাগাতে বা ধুতি পরতে। এদেশের সংস্কৃতি সম্মৃদ্ধ। তাই এই দিনকে, নিজ দেশের গ্রামীন ঐতিহ্য, লোকজ সংস্কৃতি, হস্তশিল্প, দেশীয় বুটিক, মাটির জিনিসপত্র, জারি,সারি, ভাটিয়ালী, যাত্রা ( যেগুলো আধুনিকতার ছোয়ায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে), নৌকাবাইচ - ইত্যাদি অনুষ্ঠান পালনের দিন হিসাবে ধার্য করা হোক। তাহলেই এটা প্রকৃত অসাম্প্রদায়িক বাঙ্গালী অনুষ্ঠান হবে, যেদিন আমরা নিজের দেশের সভ্যতা-সংস্কৃতির সাথে পরিচয় লাভ করবো। যেটাকে বলা হবে সব ধর্মের মানুষের মিলন-মেলা। আর এই দিনকে ঘিরে যেসব সম্প্রদায়ের পূজা-অর্চনা করার তাদেরকে তাদের ধর্ম পালনে বাধা দেয়া হবে না । কিন্তু তাই বলে সরকারিভাবে জাতীয় পর্যায়ে এমন প্লাটফর্ম তৈরি করে দেয়া উচিৎ নয়, যাতে মুসলমানরা নিজেদের ধর্মে আঘাত অনুভব করে।

সুতরাং, আশাকরি, ধর্মের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক এমন কোন রীতির প্রচলন করে সমাজে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করা হবে না।

বিষয়: বিবিধ

১৪৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File