ভোদাইনামা-৪
লিখেছেন লিখেছেন কে বা কারা ১৯ মার্চ, ২০১৩, ১০:৫০:৩৮ সকাল
এবারকার ভিটামিন খাওয়ার ধাক্কায় ভোদাইর ভাগ্নে অসুস্থ হয়ে পড়লো। ভাগ্নের বয়স সাত মাস। মন্ত্রী যতই দাবি করুন, ওকে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ায়নি স্বাস্থ্যকর্মীরা। আবার নাহোলের দাবি অনুযায়ী ওর আতঙ্কিত হওয়ারও কোনো কারণ ছিলো না; কারণ পুলিশ অন্তত ওকে গুলি করে কোনো ‘তাণ্ডব’ বা ‘সহিংসতা’র জন্ম দেয়নি। কিংবা যারা ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাইয়েছে, তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের কোনো নেতা ছিলো না, যারা রামদা বা চাপাতি নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। ক্যাপসুল যারা খাইয়েছে, তারা এলাকারই ছেলে; পড়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে; তারা বাচ্চাদেরকে ‘মামা’ আদরে ক্যাপসুল খাইয়েছে।
বিকেলে ভোদাইর বোন ফোন দিয়ে বললো, ‘তোরা ভাগ্নের বমি তো বন্ধ হচ্ছে না রে। দুপুর থেকে এ পর্যন্ত সাতবার বমি করেছে।’ ভোদাই ওর বোনকে রেডি হতে বলে সোজা একটা সিএনজি নিয়ে চলে গেলো বোনের বাসায়।
ভাগ্নেকে নিয়ে গেলো শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে। ডাক্তার জানালেন, তাদের সহকর্মীদের কেউই তাদের বাচ্চাদেরকে এই ক্যাপসুল খাওয়াননি।
ভোদাই জানতে চাইলো, কেন?
ডাক্তার জবাব দিলেন, আমাদের কাছে রিপোর্ট ছিলো যে, এবারের ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন আছে।
তাহলে বাইরের বাচ্চাদেরকে আপনারা খাওয়ালেন কেন?
আমরা সরকারী চাকরি করি; সরকারী কাজ করেছি মাত্র।
তখন ভোদাইর মনে যা চেয়েছিলো!
হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর ভোদাইর বোন বললো, ‘হাসিনা কি এই দেশের মানুষগুলোকে মেরে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে রে?’
‘নিতেই পারে। দেখো না পুলিশ কী চমৎকারভাবে মানুষ মারছে; সংসদে তাদেরকে বাহবা দেয়া হচ্ছে।’
বোন কেমন চোখে যেন ওর দিকে তাকালো।
ভোদাই বললো, ‘আপা, চিন্তা নেই। যাদেরকে মেরেছে, তাদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা সম্ভবত তিনজন। বাকিরা সবাই পুরুষ। আমাদের নারী প্রধানমন্ত্রী নারী অধিকারে বিশ্বাস করেন; তাই পুরুষদেরকে মারছেন।’
ওর বোন তখনো তাকিয়ে। ও বলে যেতে লাগলো, ‘এভাবে যদি পুলিশ মারতে থাকে, তাহলে দেশে পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে; বাধ্য হয়েই আমেরিকার মতো অন্য দেশ থেকে পুরুষ আনতে হবে। তবে বাংলাদেশের যেহেতু অত টাকা নেই, সেজন্য দাদাদের দেশ ছাড়া উপায় নেই। দাদারা এবার আমাদের দেশের মধ্য দিয়ে রাস্তা চেয়েছে; বিজেপির নেতৃত্বে তারা না কি ঢাকার দিকে মার্চ করে আসবে।’
আপা বললেন, ‘তুই সিএনজি দ্যাখ।’
‘সিএনজি গেলে চোখে পড়বে; চোখে পড়লে ডাক দেবো। তারপর আর আমাদের দেশের লোকদেরকে বিএসএফ মারবে না। কারণ তখন দাদারা হবে আমাদের দেশের জামাই; আমাদের দেশের মেয়েরা হবে দাদাদের দেশের বৌদি। বৌদিকে অন্তত ফেলানীর মতো মারবে না ওরা।’
ততক্ষণে সিএনজি চলে এসেছে। ভোদাইর বোন সেটা থামিয়ে উঠে পড়লো; ওকেও টেনে ভেতরে নিলো।
এইমাত্র ভোদাইর মনে হলো, এবারকার ভিটামিন এ ক্যাপসুলে এত বেশি পরিমাণ ভিটামিন এ ছিলো যে, তার ভাগ্নে সহ্য করতে পারেনি।
বিষয়: বিবিধ
১২৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন