ভোদাইনামা-৩
লিখেছেন লিখেছেন কে বা কারা ১২ মার্চ, ২০১৩, ০১:২৩:০৬ দুপুর
বিছানায় শুয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে আছে ভোদাই। একটা ইংরেজি চ্যানেলে ছবি চলছে। ছবির নাম এতদূর থেকে দেখা যাচ্ছে না। ও বাসায় ফেরার আগেই ছবি শুরু হয়েছে। ছবির অ্যাকশন পর্যায় চলছে। অপরাধী একটা বিল্ডিংয়ে ঢুকেছে। পুলিশ সেই বিল্ডিং ঘেরাও করে নিচ থেকে মাইকে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলছে।
অফিস থেকে ফেরার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে টেলিভিশনের দোকানে দেখা সন্ধ্যার খবরটা ঢুকে গেলো ভোদাইর মাথায়। ধন্য এদেশের পুলিশ। বাংলাদেশে এখন অপরাধী শুধু সরকারবিরোধীরা। খুন-ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের বক্তব্য থাকে, ‘আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি কিংবা মামলা দিতে আসেনি।’ আর এই ‘অপরাধী’দের বেলায় আগে প্যাকেট করো, পরে নিয়ে মামলা করো। পশ্চিমা পুলিশের উচিত বাংলাদেশ পুলিশের কাছে প্রশিক্ষণ নেয়া : কীভাবে গ্রেফতার করতে হয়; কীভাবে মামলা সাজাতে হয়; থানায় নিয়ে কীভাবে হাড্ডি গুঁড়ো করে দিতে হয়। তারপরও ভোদাইর কাছে মনে হলো গতকাল পুলিশ হাতুড়ি দিয়ে দরজা ভাংতে দিয়ে শক্তি অপচয় করেছে। এটা করা ঠিক হয়নি। তাদেরকে আরো ‘অপরাধী’ গ্রেফতার করতে হবে। এখনি শক্তি ক্ষয় করে ফেললে কি হবে? ব্যাটা, হাতে বন্দুক থাকতে আবার হাতুড়ি কেন? গুলি করলেই তো দরজা খুলে যায়।
এডিসি মেহেদী সবচেয়ে কৃতিত্বপূর্ণ কাজ করেছে। নিজে গ্রেফতার করেছে ফখরুলকে। এই কৃতিত্বের দরুন মেহেদীকে উচিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা আবেদন জানানো যেতে পারে। সাহারা ব্যর্থ হওয়ায় মখাকে দেয়া হলো দায়িত্ব; শতাধিক মানুষ খুনের কারণে সে হাফপ্যান্ট মিজানের কাছ থেকে পুরস্কারও পেলো। মেহেদীকে দায়িত্ব দেয়া হলে সারা দেশে সে তার কৃতিত্ব দেখাতে পারবে। তাছাড়া তখন পুলিশের সব বিভাগ, র্যাব, বিজিবি—সবাইকে সে দক্ষ করে তুলতে পারবে।
হাফপ্যান্ট মিজানকে বলা যেতে পারে এজন্য প্রতিমাসে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা কিংবা তার হাফপ্যান্টের পকেটে সবসময় পুরস্কার রাখা। যখনি এমন কৃতিত্বপূর্ণ কাজ ঘটবে, সাথে সাথে পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। তাকে একটা চিঠি লেখা যেতে পারে।
প্রিয় হাফপ্যান্ট মিজান,
আপনি পুরুষদের প্যান্ট পরার ধারণায় যে ধাক্কা দিয়েছেন, তা সত্যিই অতুলনীয়। মানুষ এতদিন ভাবতো, শুধু বাচ্চাদেরকেই বুঝি প্যান্ট খুলে পড়ার ভয়ে কাঁধের উপর দিয়ে বেল্ট পরিয়ে দিতে হয়। কিন্তু আপনি দেখিয়েছেন, বড়রাও যদি এভাবে প্যান্ট পরে, তাহলে অনেক সুবিধা। এখন যারা বিরোধী দলে আছে, পুলিশ তাদের বেল্ট খুলে তাদেরকে নাজেহাল-গ্রেফতার করে। আবার এখনকার সরকারী দল যদি বিরোধী দলে যায়, তাদের ক্ষেত্রেও এই ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দেশের পুরুষেরা সবাই যদি আপনার মতো কাঁধের ওপর দিয়ে দুই বেল্ট এনে প্যান্ট আটকে রাখে, তাহলে তারা আর নাজেহাল হবে না।
সে যা-ই হোক, আপনার এই মজবুত করে পরা প্যান্টের পকেটে যত কিছু রাখা হোক, পকেট ঝুলে পড়বে না। আপনাকে যেহেতু পুরস্কার বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়, তাই আপনার কাছে অনুরোধ, আপনি সারাক্ষণ আপনার পকেটে কিছু পুরস্কার রাখুন...।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন