একচোখা সুশীলদের বাক স্বাধীনতা বনাম ধর্ম অবমাননা
লিখেছেন লিখেছেন মিথ্যা জবানবন্দি ০৮ এপ্রিল, ২০১৩, ০৭:২০:১৯ সন্ধ্যা
তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের উৎসর্গিত…….
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের বাম সুশীল টেলিভিশন ও প্রিণ্ট মিডিয়াগুলোতে মূল এজেন্ডার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও হেফাজতে ইসলামের লংমার্চে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী নারীনীতির বাস্তবায়ন ও অবাধ মিলামেশা সম্পর্কে। যদিও হেফাজতে ইসলামের লংমার্চে উত্থাপিত ১৩ দাবির মধ্য থেকে একটি দাবিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এজেন্ডা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশের প্রায় সবগুলোকে নাস্তিক সুশীল মিডিয়া। একটু পরেই বিষয়গুলোর গলায় রশি দিব। তার আগে বলছি হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ নিয়ে কিছু কথা। বাংলাদেশের তথাকথিত কিছু কিছু নামধারী আলেম স্বয়ং এই লংমার্চ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লংমার্চ নামে কোনো কিছু কি কোরআন হাদিসে আছে? এমনকি লংমার্চ করা বেদায়াতের সামিল! রাসূল সো. জীবনে কোনোদিন লংমার্চ করেননি। আমি নিশ্চিত যেসব আলেম এমন প্রশ্ন তুলেছেন সে জীবনে একবারও কুরআন শরীফের পাতা উল্টিয়ে দেখেন নি কিংবা রাসূল সো. এর রাষ্ট্রীয় জীবন নিয়ে তার পড়ার আজো সৌভাগ্য হয়নি। প্রকৃত আলেমের বিন্দুমাত্র সুরত তার মাঝে না থাকা সত্ত্বেও জানিনা সে নিজকে কি হিসেবে আলেম দাবি করছে? আবার মাথামোটা এসব নামধারী আলেমদের কিছু কিছু মিডিয়া টেলিভিশনের পর্দায় হাজির করে মানুষকে জ্ঞান তালিম দিয়ে যাচ্ছেন! নাম বলছি না একজন আলেম কিছুদিন আগে গাজী টেলিভিশনের পর্দায় খুব জোর গলায় বলেছিলেন আপনারা যারা আজকে এখানে উপস্থিত হয়েছেন তারা সবাই সুন্নতি পোষাক আশাকে আদব লেহাজের সাথে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালক ছিলেন হাফপেন্টি পরা একজন নারী। আমি আমার টেলিভিশন সাংবাদিকতার গত তিন বছরে আজো কোনো সংবাদ উপস্থাপককে দেখি নাই অন্তত সংবাদ উপস্থাপনের সময় মাথায় কাপড় দিতে! বরং ঘন্টায় ঘন্টায় এমন সব পোষাক পরতে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় যা দেখে টেলিভিশনের পর্দার সামনের লোকের….মনে কামনা বাসনা জাগে। আমার মাথায় কিছুতেই ঠুকছেনা কি করে ঐ আলেম এদের পোষাক আশাককে সুন্নতি বলেছেন? রাসূল সো. এর সুন্নতকে এভাবে অপমান করার ক্ষমতা তাকে কে দিয়েছে? এসব নামধারী আলেমদের কাছে প্রশ্ন কুরআন সুন্নাহর সামান্য জ্ঞান যার কাছে আছে সে কি পারে আল্লাহ ও তার রাসূল সো. কে নিয়ে তামাশা করতে? যাক সে কথা। বলছিলাম লংমার্চের কথা মাওলানা আহমদ শফী’র ডাকে যখন সারা দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষের মুসলিম জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে তখন সরকারি মদদপুষ্ট কিছু কিছু নামধারী আলেম এটাকে বিদায়াত বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। যদিও তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আর ঠিক সে মুহুর্তে বাংলাদেশের তথাকথিত নাস্তিক মিডিয়াগুলোর ভূমিকা কি ছিল? রাজধানীর মতিঝিলে দেশের বৃহত্তম মুসলিম গণঅভ্থানের খবর প্রচার তারা না করে সেই নাস্তিক মিডিয়াগুলো হাতে গণা পাঁচজন আলেমদের নিয়ে টক’শো করে যাচ্ছে। পাঠক এখন তাহলে বুঝতেই পারছেন যারা দেশের ৪৫ শতাংশ আলেমের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে পয়েন্ট টু পার্সেন্ট আলেমের প্রতিনিধিত্ব করছে তারা কিসের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে এদেশে তাই পরিষ্কার বুঝাই যাচ্ছে। এর পরও যাদের বুঝতে কষ্ট হয় তারা মুসলমানদের মধ্যে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সেই সিফফিনের যুদ্ধের কথা স্বরণ করতে পারেন যদিও তাও কষ্ট হয় তবে স্বাধীন বাংলায় ১৮৫৭ সালে ঘটে যাওয়া নবাব সিরাজদ্দৌলা সাথে মীর জাফরদের চক্রান্তের কথা মনে করতে পারেন। এরপরও যদি না পারেন তবে অন্যদিন তার ব্যাখা দিব।
মূল কথায় আসি বলছিলাম হেফাজতে ইসলামের লংমার্চে ১৩ টি উত্থাপিত দাবির কথা। ১২ টি দাবিকে বাদ দিয়ে কেন একটি দাবি নিয়ে আজ মিডিয়াতে ঝড় ওঠল?
কি বলা হয়েছে ১৩ নম্বর দাবিটিতে?
বলা হয়েছে ‘রাষ্ট্রে নারীর অবাধ বিচরণ ও প্রকাশ্য মিলামেশা বন্ধ করতে হবে’ তাহলে কি দাঁড়ায় বিষয়টা। কুরআন ও হাদিসের আলোকে যদি বাক্যটি ব্যাখা করি তাহলে দাঁড়ায় রাষ্ট্রে নারীর উন্মুক্ত সীমাহীন বিচরণ। একজন নারীর স্কুলে কিংবা কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার অধিকার আছে তার মানে এই না যে সে স্কুল ফাঁকি দিয়ে ছেলে বন্ধুদের সাথে পার্টি ক্লাবে গিয়ে নগ্ন নাচে মেতে ওঠবে। কিংবা একজন নারীর অফিস কিংবা বাজারে যাওয়ার অধিকার আছে তার মানে এই না যে তাকে হাফ পেন্টি পরে যেতে হবে কিংবা ইউরোপীয় কালচারের নগ্ন পোষাক তাকে পরিধান করতে হবে। নারীর অবাধ বিচরণের মানে এই নয় যে তার রাস্তা দিয়ে মুক্তভাবে চলার অধিকার নেই। আর রাস্তায় মুক্তভাবে চলার অধিকার যদি হয় অন্যের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে নাচানাচি করা তাহলে কি তা অবাধ বিচরণের পরিপন্থি নয় কি?
বাইবেলের কথা অনুসারে যদি ব্যাখা দাঁড় করাই তাহলে বাক্যটির সরাসরি অর্থ দাঁড়ায় অবাধ বিচরণের মানে অবিরাম যৌনবিচরণ।
আর নিরপেক্ষ সুশীল ও শব্দকোষের ব্যাখ্যা যদি দাঁড় করাই তাহলে বাক্যটির অর্থ দাঁড়ায় নারীর দ্বিধাশূণ্য বিচরণ। কিংবা তাদের মতে সীমানা অতিক্রম করা। মূলত তারা বুঝাতে চাচ্ছে প্রতিটি রাষ্ট্রে একজন নারী কারো না কারো বোন কিংবা স্ত্রী কিংবা মা অথবা আন্টি, ফুফি, কাজিন ইত্যাদি সম্পর্কে সে কারো না কারো পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত। তাদের কাছে এই বাক্যটির উত্তর খুঁজতে গিয়ে উল্টো আমাকে হিমশিম খেতে হয়েছে। তারা আমার কাছে জানতে চেয়েছে আপনি কি আপনার বোনকে অবাধ বিচরণের নামে রাত দশটার পর বাসায় আসতে অনুমতি দিবেন? কিংবা আপনার স্ত্রী যদি এক রাত বাসায় না আসে আপনি কি তা মেনে নিবেন? অবাধ বিচরণের মানে কি নারী পুরুষ গায়ে গা মিলিয়ে রাস্তার পাশে নগ্ন নাচে মেতে ওঠা? এটা ইউরোপ কিংবা আমেরিকা হয়ে যায়নি যে দেশীয় পোষাক আশাক ও সংস্কৃতি ভূলে আপনাকে বেহায়াপনা পোষাক পরিধান করে অবাধ বিচরণ করতে হবে। (শিক্ষক ঢাবি অধ্যাপক)
দ্বিতীয়তে আসি প্রকাশ্যে মিলামেশার কথায়। যদি হুজুররা প্রকাশ্যে মিলামেশা দিয়ে প্রকাশ্য যৌনতা বুঝিয়ে থাকে তবে তাদের যুক্তিমতে পৃথিবীর মধ্যে যত ধর্ম গ্রন্থ আছে প্রায সবগুলো ধর্মগ্রন্থে প্রকাশ্য মিলামেশার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এতে মুসলিম কিংবা হিন্দু অথবা খ্রীস্টানদের মন খারাপের কিছু নেই। ধর্মগ্রন্থের বাহিরে গিয়ে তো আর কেউ যেতে পারবেনা (যদি মান্য করে) যেহেতু কুরআনে অবাধ মিলামেশার অর্থ আছে আকদ তথা বিবাহ পূর্ব নারী পুরুষের শারীরিক মিলামেশা হারাম। অপরপক্ষে বাইবেলে আছে প্রকাশ্য মিলামেশা মানে অবাধ যৌনাচার ধর্মীয় রীতি যা সমর্থন করেনা এটা ঘোরঅনাচার পাপ। এছাড়া কোরিন্থিয়ানস ৭:২ এর ব্যখ্যায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে বিয়ের আগে যৌনতা হল যৌন অবৈধতা, বাইবেলের সকল পদ্যে যৌনমূলক অবৈধতাকে ঘৃণ্যিত পাপ বলা হয়েছে। আর ক্যাথলিক ও হিন্দুদের গীতায় প্রকাশ্য মিলামেশা কোরিন্থিয়ানস ১৩:২ এ অবৈধ যৌন মিলামেশাকে প্রকাশ্য মিলামেশার ক্ষেত্রে পাপ বলে উল্লেখ করেছেণ।
এখন প্রশ্ন হলো তাহলে বাংলাদেশের তথাকথিত বাম সুশীলদের মতবিরোধ কোথায়? প্রশ্নটি জানতে চেয়েছি ঢাবি অধ্যাপক……র কাছে। তারা চমকপ্রদ উত্তর ছিল আলেমরা এত বোকা নয় যে তারা ‘প্রকাশ্য মিলামেশা বন্ধ’ বাক্যটি দিয়ে নারী পুরুষের পাশাপাশি অবস্থান মিলামেশাকে নিষিদ্ধ করতে বলেছেন। তার মানে এই নয় যে নারীরা প্রকাশ্য দিবালোকে তাদের অধিকার আদায়ে মাঠে নামতে পারবেনা। কিংবা রাষ্ট্রের সকল কাজে নারীর অংশগ্রহণ থাকবেনা। আলেমরা তো নিজ চোখেই বিশ্ব শাসন ব্যবস্থা ও নারীর প্রকাশ্য উপস্থিতি দেখতে পাচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশের এমপি মন্ত্রী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সংসদ উপনেতা পর্যন্ত নারী। যদি তারা সত্যিই এই বাক্যটি দিয়ে নারীর প্রকাশ্য মিলামেশার বিরোধীতা করত তাহলে তাদের সাথে এও উল্লেখ থাকত রাষ্ট্রের সকল কাজে প্রকাশ্য নারীর মিলামেশা নিষিদ্ধ কর এবং নারী প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা বাতিল কর। কই এমন কিছুই তো তারা উল্লেখ করেনি। বর্তমানে যারা টেলিভিশনের সামনে কিংবা প্রেস ক্লাবের সামনে আলেমদের বিরোধীতা করে এ ক্ষুদ্র বিষয়টিকে এজেন্ডা বানিয়ে বকবক করছে তারা কি নিজেদের মতো বাংলাদেশের অন্য সবমানুষ ও আলেমদেরকে দুই অক্ষরের বোকা মনে করে! নেকামিরও একটা সীমা থাকে। কাল দেখলাম কর্মচারীর টাকা মেরে খাওয়া একজন পত্রিকা সম্পাদক খুব জোর গলায় বক্তব্য দিচ্ছে এর বিরুদ্ধে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি ব্যাটা আলেমদের দাবিগুলোকে এখনো পড়ে দেখেনি। না বুঝেই গলা পাটাচ্ছে তিনি নাকি আবার দু’তিনটা পত্রিকা চালায়! কোন মাথামোটারা যে এদেরকে সম্পাদকের লাইসেন্স দিয়েছে এবং প্রেস ক্লাবে আসার সুযোগ দিয়েছে আল্লাই জানে। তাহলে স্যার সমস্যাটা ওদের কোথায়? সমস্যাটা হলো ওদের মাথায়। আলেমরা প্রকাশ্য মিলামেশা বলে নারীর নারী পুরুষের সহাবস্থানের বিষয়টাকে খর্ব করেনি। বরং খর্ব করেছে সে বিষয়গুলোকে।
(ক) প্রকাশ্য মিলামেশার নামে পার্কে রাত্রি যাপনকে তারা নিষিদ্ধ করতে বলেছে।
(খ) কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার নামে লেকে বসে যুবক-যুবতীর প্রকাশ্য ডলাঢলিকে নিষিদ্ধ করতে বলেছে।
(গ) মোমবাতি জ্বালিয়ে রাস্তার ওপর নগ্ন নাচানাচিকে নিষিদ্ধ করতে বলেছে।
(ঘ) অবৈধ শারীরিক মিলামেশাকে নিষিদ্ধ করতে বলেছে।
(ঙ) প্রকাশ্য দিবালোকে একজন আরেকজনকে চুমু খাওয়ার বিষয়টিকে নিষিদ্ধ করতে বলেছে।
(চ) প্রকাশ্য অবাধ যৌনতাকে নিষিদ্ধ করতে বলা হয়েছে।
(ছ) পার্কের দোলনায় বসে একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরার বিষয়টি নিষিদ্ধ করতে বলেছে। এছাড়া এই জাতীয় প্রকাশ্য যৌন কাজগুলোকে নিষিদ্ধ করার জন্য তারা সরকারের প্রতি আহব্বান জানিয়েছে।
আমি একটা বিষয় কিছুতেই বুঝতে পারছিনা যারা প্রকাশ্য মিলামেশার কথা বলে আজ এসব অশ্লীলতাকে বৈধতা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে আপনারা কি আপনাদের স্ত্রী কিংবা মেয়ে কিংবা মা-বোনকে অন্য পুরুষদের সাথে অবাধে প্রকাশ্য মিলামেশা করতে দিবেন? যদি দেন তাহলে শাহবাগের বস্তিতে আপনার মেয়ে কিংবা বোনকে পাঠালেন না কেন? আপনি তো রাত্রি যাপন ঠিকই করলেন কিন্তু আপনার মেয়েকে দিলেন না কেন অন্যান্য ছেলেদের সাথে রাত্রিযাপন করতে? আপনারা অবাধ মিলামেশার কথা বলতে বলতে গলা পাটিয়ে ফেলতেছেন? কিন্তু আপনার মেয়েটিকে কেন অবাধ মিলামেশা করতে দিচ্ছেন না? আপনার আদরের বোনটি কেন আপনি অবাধ মিলামেশার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন? আর দিবেন ও বা কি করে কারন আপনাদের মধ্যে এমন কিছু সুশীল আছে যাদের কোনো ঠিক ঠিকানা নাই, ধর্ম গোত্র কিংবা বংশ পরিচয়ও খুঁজে পাওয়া যাবেনা। পর স্ত্রী কিংবা অন্যের বোনকে প্রকাশ্য মিলামেশার কথা বলে আদরের কৌশলে চুমু খাওয়াই তো আপনাদের প্রকাশ্য অবাধ মিলামেশা তাই না? দয়া করে এরপর থেকে আমাদেরকে সুশীলতার সংজ্ঞা শিখাতে আসবেন না। আমিও আপনাকে সমর্থন করতাম যদি আপনি আপনার বোন কিংবা মেয়ে অথবা স্ত্রীকে অবাধ মিলামেশার করার সুযোগ দিতেন? এ কেমন অবাধ মিলামেশা? মুখে বলেন অবাধ মিলামেশা স্বাধীনতার কথা আর নিজের পরিবারকে রাখেন পরাধীনতায়। আগে নিজের নীতির রফাদফা করেন। যেটা করতে চান সেটা পরিবার কিংবা সমাজ অথবা রাষ্ট্রের সর্বাঙ্গে প্রতিষ্ঠা করে দেখান। তবে মাথায় রাখবেন আগে পরিবার। তারপর সমাজ এরপর রাষ্ট্র। (বিশেষ একশ্রেণীর মিডিয়াপতি ও এক অনুষ্ঠান সঞ্চালককে উদ্দেশ্য করে বলা)
আলেমরা বললেই দোষ তাই না? আপনি প্রকাশ্য অবাধ মিলামেশার কথা বলে অবাধ যৌনতার বিচরণ ঘটাবেন আর ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে আলেমরা প্রতিবাদ করলে আপনার চুলকানি বেড়ে যাবে এটা কেন স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না? অবাধে বিচরণ আর প্রকাশ্য মিলামেশার মানে এই নয় যে কোনো নারী রাস্তায় অবাধে প্রকাশ্য দিবালোকে চলতে পারবেনা কিংবা অফিস করতে বোরকা পরে যেতে হবে কিংবা সাধারন ড্রেস পরে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেনা। বিশ্ব রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নারীর বিচরণ আপনি যেমন দেখতেছেন আমি ও দেখতেছি আর আলেমরাও দেখতেছে। আসলে আপনারা কেন আজো এত বোকা থেকে গেলেন কিছুতেই বুঝতে পারছিনা।
শিক্ষক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় অধ্যাপক, সময় সুযোগে নাম প্রকাশ হবে…
বিষয়: বিবিধ
১৫৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন