গিরি নন্দিনীর বুকে

লিখেছেন লিখেছেন আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১১:০২:২৯ রাত



(গিরি নন্দিনীর নয়নাভিরাম দৃশ্য)

(একটি অসমাপ্ত ভ্রমন কাহিনী)

কিছু কথাঃ


জীবনের ডায়রীতে জীবনের প্রথম হিসেবে যা কিছু লেখা তার সারিতে যোগ হল আরেকটি দিন। ১৭ জানুয়ারি ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ। সোমবার। এ দিন আমি প্রথম নৌ ভ্রমণে গিয়েলাম। নৌকা কিংবা সাম্পানে কত বার চড়েছি, বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ আর সাঙ্গু নদীর এলোমেলো ঢেউয়ে কত যে দোল খেয়েছি তার কোন ইয়ত্তা নাই।

আনোয়ারা থানার গহিরা আমার গ্রাম। একেবারে বঙ্গোপসাগরের পাশে। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে একবার, ঘুমোতে যাওয়ার আগে আরেকবার বিশাল এই বঙ্গোপসাগর দেখতে দেখতে আমাদের গ্রামের মানুষগুলোর মনও নাকি সাগরের মতো বিশাল। আমাদের আনোয়ারার একজন এমপি প্রায় এই কথাটি বলতেন। ব্যাপারটা আসলেই ঠিক। শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় সব দিক দিয়েই আমাদের এই গ্রামটি সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত অনেক এলাকা থেকে বহুগুণে উন্নত। আমাদের গ্রামের মানুষগুলোও অনেক আধুনিক। রবীন্দ্রনাথের একটি উক্তিকে এখানে উল্লেখ করা যায়- ‘আধুনিকতা সময় নিয়ে নয়, মর্জি নিয়ে। যুগান্তরের কোন একটি সময় এটি স্পষ্ট হয়ে উঠে।’ সো শহরে থাকলেই শুধু মানুষ স্মার্ট আর আধুনিক হয় না, গ্রামেও এমন অনেকেই আছে যারা শহুদের তুলনায় অনেক আধুনিক এবং স্মার্ট। আমাদের গহিরায় গেলে সেটা দেখা যাবে।

সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ায় আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের জীবন জীবিকা সাগর কেন্দ্রিক। কারো জাল এবং মাছের ব্যবসা, কারো কারো ব্ল্যাক। এখন অবশ্যই ব্ল্যাক একেবারেই কমে গেছে। কারো কারো আবার দুটোই আছে। এক সময় আমাদেরও সাম্পান ছিল। বলা যায় একেবারে ছোট কাল থেকেই আমাদের সাম্পান-নৌকায় চড়ার অভিজ্ঞতা।

এখন শহরে থাকি, তাছাড়া আমাদের আর সমুদ্র কেন্দ্রিক ব্যবসাও নাই। এখন আর সাম্পানে তেমন একটা চড়াও হয় না। তবে শহর থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় প্রতিবারই কর্ণফুলি ফাড়ি দিয়ে যেতে হয়। সে হিসেবে ফানসিতে চড়তে হয় প্রতিবারই। তবে এসব চড়া নিতান্তই খেয়ালীপনায় মেতে কিংবা প্রয়োজনের তাগিদে। কিন্তু ভ্রমণ হিসেবে ১৭ জানুয়ারি ২০১১ খ্রিষ্টাব্দই আমি প্রথম নদী পথে বহুদূর গিয়েছিলাম।



(আমাদের জন্য আগে থেকেই রাখা তিনটি জাইল্লের নাও)

আমাদের এই ভ্রমণটি ছিল চট্টগ্রাম কলেজ, বাংলা বিভাগ থেকে কাপ্তাই গিরি নন্দিনী পিকনিক স্পটে। আমাদের এই ভ্রমণটা প্রধানত দুটি পর্যায়ে বিভক্ত ছিল। প্রথমত চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বাস যোগে সদরঘাট। দ্বিতীয়ত সদর ঘাট থেকে ‘কেয়ারী তরঙ্গ’ যোগে কোন এক নাম না জানা ঘাটে। এই নাম না জানা ঘাট থেকে আমাদের ভ্রমণের আরেকটি পর্যায় শুরু হয়। কারণ এই ঘাট বরাবর এসে কর্ণফুলী নদী আর নদী নাই। পাহাড়ী লেক হয়ে গেছে। গভীরতা হারিয়ে কর্ণফুলী এখানে এতটা সতর যে, স্বচ্ছ পানিতে লেকের তলা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আমাদের গ্রাম্য ভাষায় গভীরের বিপরিত সতর শব্দটা ইউস হয়। অগভীর এই লেকে এসে আমাদের কেয়ারী তরঙ্গ আর যায় না। এখান থেকে আমাদের জন্য তিনটা নাও’র ব্যবস্থা আগে থেকেই ছিল। আমাদের গ্রামের ভাষায় নাও গুলোকে আমরা বলি জাইল্লের নাও অর্থাৎ জেলেদের নাও। আর এই জেলেদের বেশির ভাগই হয় হিন্দু। সেই নাওগুলোতে চড়েই আমরা পৌঁছে গেলাম কাপ্তাই গিরি নন্দিনী পিকনিক স্পটে।

যাত্রাপথে যা ঘটলোঃ




(নদী থেকে দূরের দৃশ্য)

সকাল ৭.০০ টা থেকে আমাদের ভ্রমণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কলেজ থেকে আমাদের বাসা অনেক দূরে হওয়ায়, কলেজের অনতি দূরে মামার বাসায় আমি সেই রাত যাপন করি। খুব ভোরে কলেজে পৌঁছোয়। দেখি যে আমার আগে আরো অনেকেই হাজির। অনেকেই নাকি রাতে হোস্টেলে ছিল। হাসাহাসি-মাতামাতি, নতুন নতুন জামা গায়ে সবার মাঝে একটু উৎসব উৎসব ভাব। অনার্স ফাস্ট ইয়ার হওয়ায় আমাদের উচ্ছ্বাসটা একটু বেশিই ছিল।

সাতটা দশ পনের’র দিকে আমাদের ভ্রমণ শুরু হয়। কলেজ থেকে বাসে করে সদর ঘাট যাওয়ার পথে অনেক ঠেলাঠেলি করতে হয়েছে, অনেককে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। আমরা আগে আগে উঠে বাসে সিট ধরি কিন্তু একটু পরে স্যার এসে ঘোষণা দেয়- ছেলেরা দাঁড়িয়ে মেয়েদেরকে বসতে দাও। সবার হাসি হাসি মুখটা একটু মলিন তো হয়েছিল নিশ্চয়। তখন মেয়েগুলোর মুখ কেমন ফকফকা ছিল তা দেখার আর স্মরণ ছিল না। ঠেলাঠেলি এতটা চরম ছিল যে বাংলাদেশের নিত্য দিনের লোকাল বাসের চিত্র এখানে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। দু’টা বাসেই একই অবস্থা। আরেকটা বাস নিলে কি হত? আমাদের কলেজ থেকে সদর ঘাটের পথ বেশি দূরে না। কিছু না কিছু ভাবতে ভাবতেই সদর ঘাট পৌঁছে গেলাম। গাড়ি থেকে নিত্য দিনের শহরটাকে আরেকটু ভিন্নভাবে দেখতে চায়লেও দেখা হল না। আগের মতোই পুরাতন মনে হল।



(বিরবিজ্জে তক্তার পুলে আমরা)

যাই হোক, এবার শুরু হল কেয়ারীতে উঠার পালা। সদর ঘাটের তক্তার সাঁকো দিয়ে কেয়ারীতে উঠার সময় দারুন মজা হয়েছিল। জোয়ারের পানিতে তক্তার উপর পলি জমায় তক্তাটা ভীষণ বিরবিজ্জে মানে পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিল। ছেলেদের তেমন একটা সমস্যা না হলেও মেয়েদের ভীষণ সমস্যা হয়েছিল। বড় ভাইয়ারা ধরে ধরে মেয়েদেরকে যখন তক্তার সাঁকোটা পার করাচ্ছিল ছেলেদের তখন কি হাসি। হাহাহাহাহাহা। মেডামরা যখন পার হচ্ছিল সবাই তখন ভীষণ জোরে তালি দিয়েছিল। মেয়েদের হেডাম যে ছেলেদের ছেয়ে অনেকটা কম সেটা তখন অত্যন্ত সুন্দর ভাবে ফুঠে উঠেছিল। সবাই খেয়াল করেছিল কিনা কে জানে? কেয়ারীতে উঠে দেখি একই অবস্থা, মানুষ বেশি সিট কম। এখানেও মেয়েদেরকে সিট ছেড়ে দিতে হয়েছিল। তবে কেয়ারীতে সিট ছেড়ে দিলেও ঠেলাঠেলি হয়নি। বসে থাকার চেয়ে দাঁড়িয়ে থাকাতে আরো বেশি মজা হয়েছিল। ডেকের পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নদী দেখা, নদী পাড়ের দৃশ্য দেখা, ছবি তোলা সত্যি অবর্ণনীয়।

(বিদ্রঃ এই পর্বের বাকি অংশ কোথায় আমিও জানি না। তবে দুঃখের বিষয় যে ভ্রমণের মজার মজার বিষয়গুলোর বর্ণনা এই পর্বেই ছিল। পৃষ্টাগুলোতে কেউ ঝালমুড়ি খেয়ে ফুটপাতে ফেলে দিয়েছে কিনা কে জানে?)

কাপ্তাই গিরি নন্দিনীর বুকেঃ




(বিড়িআরদের পরিত্যক্ত গুদাম)

প্রায় আড়াইটার দিকে আমাদের নাও এসে ভিড়ল সেই কাক্সিক্ষত ‘গিরি নন্দিনী’র তীরে। আস্তে আস্তে সবাই নেমে দ্রুত লাইন লাগলো বাথ রুমের সামনে। অনেক লম্বা লাইন, কার আগে কে যাবে? এক পাশে ছেলেদের আরেক পাশে মেয়েদের। তবে স্যার মেডামদের আগে সুযোগ দিতে হয়েছিল। জরুরী মূহুর্তে আর লজ্জা পেলে চলে না। সবাই তা বুঝেছিল হয়তো। তবে হাসতে হাসতে সবাই একাকার। অনেক মজা হয়েছিল তখন।



বাথ রুম সেরে হাত মুখ ধুয়ে সবাই প্লেট হাতে আবার লাইন লাগিয়ে দিল। সেই কখন সকালে জেলী বন, কলা আর মুরগির আন্ডা খেয়েছিলাম এই পর্যন্ত আর কোন দানাপানি পেটে পড়েনি। নদীর মাঝখানে দোকান পাবো কই? লম্বা লাইন দেখে বুঝাই যাচ্ছে ক্ষুধায় সবার পেটে ‘কুলহুআল্লাহ’ পড়া শুরু হয়েছে। কথায় আছেনা ‘পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি’, একের পর এক দাঁড়াতে দাঁড়াতে লাইন এতো লম্বা হয়ে গেল যে, কেউ কেউ বলতে শুরু করেছে- এ যেন আফ্রিকার ক্ষুৎপীড়িত মানুষের সারি। আর যাদের জন্য কোন ত্রাণবাহী হেলিকাপ্টর এসেছে।

যাই হোক, আমরা আফ্রিকার ক্ষুধা তাড়িত মানুষ না হলেও কোন মতে খেয়ে পরে বেঁচে থাকা বাংলাদেশের নিরীহ জনগণ। মাঠে বসে অনেক মজা করে আমরা খাবার খেলাম। একজন থেকে আরেক জনের কাড়াকাড়ি, ওয়াও কত আনন্দ। খাওয়া সেরে আমরা পাঁচজন মিলে নামায পড়তে গেলাম। দায়িত্বরত গার্ডদের কাছ থেকে মসজিদের সন্ধান নিলাম। মসজিদের সামনে গিয়ে আমার মনে হল মসজিদটা উত্তর দিকে। মোশাররফ করিমের ‘ভূগোল’ নাটকের মতো, আমাদের কুষ্টিয়া শহরে পশ্চিম পশ্চিম দিকে আর আপনাদের ঢাকা শহরে পশ্চিম উত্তর দিকে। আমাদের চকবাজারে পশ্চিম পশ্চিম দিকে আর কাপ্তাই গিরি নন্দিনীতে পশ্চিম উত্তর দিকে। হাহাহাহা মনে মনে ভীষণ হাসি পেয়েছিল তখন।

যোহর আর আসর এক সাথে কসর করে, আমরা অনেক ক্ষণ ঘুরা ফেরা করলাম। ছবি তোললাম সবাই মিলে। পাহাড় নদী আর সবুজের সমারোহ মিলে দারুন একটা পরিবেশ বলা যায় গিরি নন্দিনী। কর্তব্যরত এক আনসার সদস্যের কাছ থেকে গিরি নন্দিনীর ব্যাপারে জানতে চাইলাম। ওনি আমাদেরকে তেমন কোন তথ্য দিতে পারেনি, তবে এতটুকু বলেছেন যে, একসময় গিরি নন্দিনী বিডিআর (বর্তমান বিজিবি)’র গাটি ছিল। এখন আনসাদের আণ্ডারে। আনসাররাই মূলত এখানে গিরি নন্দিনী পিকনিক স্পট গড়ে তোলে। প্রায় চার, পাঁচ বছর আগে। তারপর...



(কোন একটা জায়গায় ক্যামরা বন্দী সেই আমি)

তারপর কি হয়েছিল মনে থাকলেও আর লেখা হয়নি। ২০১১ সালের জানুয়ারির ২৫ তারিখ আমার এই ভ্রমণ কাহিনীটি লেখা শুরু করেছিলাম। পাঁচ পর্বে এই ভ্রমণ কাহিনীটি লেখার ইচ্ছে থাকলেও আর লেখা হয়নি। একটি মাত্র কারণ আলসেমী। ‘ফেরার পথে’ এবং ‘শেষ কথা’ শিরোনামে আরো দুটি পর্বের কিছু কিছু অংশ লিখেছিলাম কিন্তু খাতাটা আর নাই। হয়তো কোন এক ছেড়া ফাটার দোকানে এখন তার স্থান নয়তো কোথায় কে জানে?

গত ২৪ তারিখ দীর্ঘ দিনের ফ্যামিলি বাসা ছেড়ে ব্যাচেলর হওয়ার প্রস্তুতির সময় ভ্রমণের এই অংশটুকু পাই। বই খাতার পুরাতন বস্তাগুলো খোললে, অনেকগুলো বই খাতার ভিড়ে অসহায় ছেড়া তিনটি পাতায় দেখলাম এই সব লেখা। মনে মনে অনেক বার খুঁজলেও এদের পাইনি। সেদিন পেয়ে অত্যন্ত যত্ন সহকারে পকেটে ঢুকিয়ে রাখলাম। আর উপর্যোপুরি মশার ধর্ষণ উপভোগ করে আজকে টাইপিং করলাম। এত দিন করতে পারিনি তাও আলসেমীর কারণে।



এই ভ্রমণের অনেক ছবি আছে এখনো। মাঝে মাঝে ছবিগুলো দেখি আর হারিয়ে যায়, কেয়ারী সিন্দাবাদে কর্ণফুলীর বুকে ভাসতে ভাসতে কল্পনার গিরি নন্দিনীতে। গিরি নন্দিনী নিয়ে একটি ছোট্ট কবিতাও লিখেছিলাম তখন, সেটি অনেক সুন্দর হয়নি তাই আর দিলাম না। এই ভ্রমণ কাহিনীটাও হয়তো আর লেখা হবে না। তাই শিরোমানের পাশে লিখে দিবো অসমাপ্ত!

(আরো অনেক ছবি আছে কিন্তু দিবো না।)

২৭.১২.২০১৪

আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ

আনোয়ারা, চট্টগ্রাম।

বিষয়: বিবিধ

১৪১৭ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

297602
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:০৪
আফরা লিখেছেন : ছোটদা আপনি কি সব সময় পান্জাবী পড়েন ? সব কিছু ভাল লাগল পড়ে তবে পানি আর নৌকা দুটোকেই অনেক ভয় পাই ।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৩০
240974
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : আমি ক্লাশ টু থেকে আলিম পর্যন্ত মাদ্রাসায় পড়েছি! তারপর কলেজে...! সব সময়ই আমি পাঞ্জাবী পড়ি, পাঞ্জাবী আমার আব্বুর ভীষণ প্রিয়, এখন আমাদেরও প্রিয়।
মাঝে মাঝে শার্ট গায়ে দি, তবে একেবারেই কম। যেমন ক্লাশের ভাইভার সময়, শিবিরের মিছিলে গেলে, বর্ষাকালেও মাঝে মাঝে পরি। অনেক ধন্যবাদ বুবু তোমাকেGood Luck Good Luck Good Luck Good Luck
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৪৫
240975
আফরা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ছোটদা আমার কাছে ও ছেলেদের পান্জাবী পোশাকটা ভাল লাগে ।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৭
241024
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : আমার কাছে মেয়েদের শাড়িতে ভীষণ ভালো লাগে! অনেক ধন্যবাদ বুবুGood Luck Good Luck Good Luck Good Luck
297611
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৩৮
রফিক ফয়েজী লিখেছেন : ধন্যবাদ।সুন্দর হয়েছে।ভ্রমণ কাহিনী কয়েক পর্ব হলে আরও ভাল লাগতো।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৯
241025
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : ২০১১ সালের এই লেখাগুলো যে আমি খুঁজে পেয়েছি তাতে অনেক খুশি। লেখার ইচ্ছে ছিল কিন্তু লেখা হয়নি, তাছাড়া আরো অনেক কবিতা গল্প অসমাপ্ত পড়ে আছে, কখনো লেখা হবে কিনা কি জানি! অনেক ধন্যবাদ আপনাকেGood Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
297614
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:১০
মাটিরলাঠি লিখেছেন :
ভালো লাগলো। গিরি নন্দিনীর নাম প্রথম জানলাম। অনেক ধন্যবাদ। Good Luck Good Luck
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
241026
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : আমি ২০১১ সালে প্রথম শোনেছিলাম। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন গিরি নন্দিনী বলতে গেলে কিশোরী অবস্থায় ছিল, এত দিনে নিশ্চয় সেই কৈশোরের উচ্ছ্বলতা পেরিয়ে গাছ, ফুল, পাড়াহ, ঝর্ণা, নদী সব মিলিয়ে রূপে গুণে যুবতী সেজে আছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকেGood Luck Good Luck Good Luck Good Luck
297643
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:০৫
পুস্পগন্ধা লিখেছেন : গত ২৪ তারিখ দীর্ঘ দিনের ফ্যামিলি বাসা ছেড়ে ব্যাচেলর হওয়ার কারণটা তো লিখলেন না!!

আরো অনেক ছবি আছে কিন্তু দিবেন না কেন ???

পড়ে ভালো লাগলো, আমি আবশ্য পানসী তে কখনো উঠিনি কিন্তু নৌকায় কত শত বার যে উঠেছি তার কোন হিসাব নেই..।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪১
241027
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : ফ্যামিলি বাসা ছেড়ে আম্মুরা গ্রামে চলে গেছে, আর আমরা তিন ভাই মিলে ব্যাচেলর বাসায় চলে গেলাম। আমরা তিন ভাইই এখনো অবিবাহিত, এভাবে ব্যাচেলর হয়ে গেলাম। অবশ্যই শহুরে জীবনের প্রথম দিকেও ব্যাচলর বাসায় ছিলাম। পুরনো অভিজ্ঞতা আছে। তবে রান্নাবান্না, কাপড় ধোয়া অনেক কষ্ট! দোয়া রাখবেন বুবু।
এতগুলো ছবি দিলে লেখার চেয়ে ছবি বেশি হয়ে যাবে, তাছাড়া আপলোড করতেও ঝামেলা লাগে তাই দিবো না।
ফানসি চিনেন নিশ্চয়?? আমার বিয়েতে যখন দাওয়াত দিবো তখন আসার সময় চড়তে পারবেন। ২০২০ সালের পরে কিন্তু!
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
241042
পুস্পগন্ধা লিখেছেন : ওওও আচ্ছা।
২০২০ সালে একজন কে দাওয়াত দিলে চারজন আসব ইনশাআল্লাহ Happy Happy Happy
ধন্যবাদ, অগ্রীম দাওয়াতের জন্য
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
241052
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : হাহাহাহা ভালো তো। ‘আমি’ নয় ‘আমাদের’ হয়ে আসবেন নিশ্চয়! চারজন না পাঁচজনের দাওয়াত রইলো, পাঁচজন দেখলে খুশি হবো Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
297758
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৫৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মেয়েদের সিট ছাড়তে হলো কেন!!! সমান অধিকার এর দাবি করতে পারেননাই??
নাকি মেয়ে দেখে এমনিতেই মনটা নরম হয়ে গেসিল!!
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪১
241112
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : উল্লেখ্য অনার্স ফাস্ট ইয়ার সেকেন্ড ইয়ার দু বছর ক্লাশে মেয়েদের সাথে কথা বলতাম না, ভীষণ লজ্জা পেতাম, থার্ড ইয়ারে উঠে ভীষন ফাজিল হয়ে গেছিলাম, কেউ কথা না বললে নিজেই গুতা মেরে কথা বলতাম। কাজেই সেই তখন মেয়েদের প্রতি একটা নরম ভাব মনে মনে ছিল। মেয়েদেরকে সম্মান করতাম খুব। এখন খুব বুঝি যে মেয়ে মানে অনেক সময় জাল ফাটা।
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:১৭
241153
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : রিদওয়ান কবির সবুজ ভাই, একদম মনের কথাটা বলেছেন। ধন্যবাদ সবুজ ভাইয়া
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
241156
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : জাল ফাটা!!!Tongue
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
241166
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : লজিকেল ভাইছা মেয়ে দেখলে কি আপনার মনটা ধর মানে শক্ত হয়ে যায়? সবুজ ভাইয়েরটা কেমন হয় কে জানে?
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৬
241174
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ধ-র, নয় বায়বীয় হয়ে যায়।
297760
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৮
শেখের পোলা লিখেছেন : ভ্রমন ভাল লাগে৷ ভালো লাগলো৷ অনেক ধন্যবাদ
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪২
241113
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : লেখাগুলো পড়লেন তো! অনেক ধন্যবাদ আপনাকেওGood Luck Good Luck Good Luck
297779
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৫৬
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : নামটা আগে শুনিনি। ভাল লাগ্ল Good Luck Rose
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
241161
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : এখন তো শোনলেন। কাপ্তাই সীতা পাহাড়ের পাড় ঘেষে মনোরম পরিবেশ। ইচ্ছে হলে যায়তে পারেন, একা ভালো লাগবে না, সাথে কাউকে নিয়ে যাবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
297790
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:৫৬
বাজলবী লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ। Rose
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
241163
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : আনপাকও অনেক ধন্যবাদ Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
297846
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩১
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : "বিরবিজ্জে" একটা গলপ মনেপড়ে গেল।
এক: আপনার বাড়িতে একদিন আমাদের দাওয়াত দেন । ভাইরে আপনার আধুনিক গ্রামটা দেখার লোভ হচছে।
দুই: মাঝ খানে লেখার ধারাবাহিকতা একটু এলোমেল মনেহল।
তিন: ওভার আল চমৎকার একটি ভ্রমণ কাহিনী । শুরুতে মনে হয়েছিল comment এ দুই একটা খোছা দিব but পুরো Post পড়ার পর, এক রকম ভাললাগা সেটা করা থেকে বিরত রাখল। ধন্যবাদ একটি চমৎকার লেখার জন্য। Rose Rose Rose Rose
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
241164
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : পিচ্ছিল চট্টগ্রামের ভাষায় বিরবিজ্জে। গল্পটা লিখে ফেলেন। অবশ্যই দাওয়াত রইলো, ২০২০ সালের পরে আমার বিয়ের সময়।
সেই কখন ২০১১ সালে লিখেছি। এডিট করলে হয়তো আরো দারুন হতো। কিন্তু করিনি, যেমনটা লিখেছিলাম তেমনটাই রেখে দিলাম।
এখনতো আমার জানতে ইচ্ছে করছে কি কি খোছা আপনি দিতেন? দুয়েকটা বলেননা, না হয় মনে একটি খুতখুতানি রয়ে যাবে!
১০
297849
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
রুম্মাম সাকিব রুশো লিখেছেন : গিরি নন্দিনী ভ্রমন ভালোই লাগলো৷ ধন্যবাদ।
২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
241165
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকেGood Luck Good Luck Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File