অন্তর দহন
লিখেছেন লিখেছেন আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ ০৭ মে, ২০১৪, ০১:০৩:৫৮ দুপুর
বিশিষ্ট ব্লগার শ্রদ্ধেয় প্রবাসী মজুমদার আঙ্কেলের ‘এই কবি তুই চুপ কেন আজ?’ কবিতাটি পড়ে আমার হৃদয়ে না পারার একটা দহন-অনুশোচনার সৃষ্টি হয়েছিল, সেই অনুভূতি থেকে এই কবিতাটি। আশা করি আপনাদের খারাপ লাগবে!!!
প্রেমের রাজ্য জুড়ে
ছলনার বসবাস-
মানবতাবোধ কাজে আসে না।
চেতনার বাতায়নে
মন্দতা কুবাতাস
সুসূপ্ত সত্ত্বা তাই জাগে না।
অগ্নিবীণায় আজ উঠে
শুধু হাহাকার
বিদ্রোহী প্রলয় বংশী বাজে না।
শিরায় শিরায় আজ
শীতলতা বহমান
অন্তর-আত্মা তাই কাঁপে না।
রক্তে আগুন ধরা
বারুদ বহ্নিভরা
জ্বালাময়ী সেই লেখা আসে না।
উত্তপ্ত অগ্নিশ্বাস আর
মুষ্ঠিবদ্ধ হাত,
বুকে দুরন্ত সাহসেরা জাগে না।
অনুশোচনার অনলে
জ্বলে পুড়ে ছারকার,
অন্তর দহন কেউ বুঝে না।
বুকের মাঝে জ্বলে
দ্রোহের অগ্নিগিরি
তবু সংশয়-শঙ্কারা ছাড়ে না।
৭ মে, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ।
বিষয়: সাহিত্য
১৪০৩ বার পঠিত, ৪৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জ্বালিয়ে দিক জালিমের মসনদ
এটাই কামনা
জাগো বন্দরে কৈফিয়তের তীব্র ভ্রুকুটি হেরি
দেখ চেয়ে দেখ সূর্য ওঠার কত দেরী, কত দেরী?
এই লাইনগুলো আজ আমরা শুধু আবৃত্তি করি কিন্তু হৃদয়ে ধারন করি না। জালিম বাকশালী স্বৈরাচারীর গর্বমসনদ জ্বালিয়ে দিতে আমাদের মাঝ থেকেই কেউ হয়ে উঠুক প্রবল অগ্নি। জ্বালিয়ে দিক সব জুলুম, অবভ্যতা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
একানে গ্যাঞ্জাম খান আছে, কিন্তু গ্যাঞ্জাম লাগনো সেই চিঠি পাচ্ছি না আর...
আমি পিছনে!
অপরাধ বোধ আছে মোর মনে,
কেমনে গাহিব শিকল ছেঁড়ার গান?
অন্তর কাঁপে অপরাধে মোর,
কেমনে দিব লৌহ গরাদে টান?
যাদের জন্য কবি ছন্দে গাহে গান,
যাদের লাগিয়ে বাধে ছন্দ,
শেকল ছিড়ে জেগে উঠা মানুষের কবি
হয়ে যায় যুগের শ্রেষ্ঠ ভন্ড।
তবুও কবি ক্ষিপ্রতায় জেগে থাকে
শব্দাস্ত্রে করে প্রচন্ড আঘাত,
মুক্তিকামী মানূষদের মিছিলের কবি
মশাল জ্বালিয়ে প্রহর গুণে,
পাঞ্জেরী! আর কত দেরী পোহাতে রাত?
রাত পোহাবার কত দেরী
ফররুখ আর বলবে না।
সকাল বেলার পাখি হয়ে
নজরুল আর ডাকবে না।
তাই বলে কি ঘুমিয়ে রবে ভাই?
সামনে শত বাঁধার পাহাড়
ভাঙ্গার ইচ্ছা নাই? আমার চতুর্থ কবিতার কয়েকটি লাইন। ক্লাশ নাইনে লিখেছিলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
ধন্যবাদ।
তুমি গো ছোটদা অনেক ভালো লিখতে পার
আশা করি আপনাদের খারাপ লাগবে হাহাহা। এখানে কি হয়ছে তো???
মন্তব্য করতে লগইন করুন