জীবন প্রবাহে এক অদক্ষ মাঝি
লিখেছেন লিখেছেন আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:১০:৩৭ দুপুর
টুডেতে আমার বারোমাস। সবাইকে ‘সালামুন আলাইকুম’, সব ব্লগার, ভিজিটর আর সম্পাদকদের প্রতি রইলো আন্তরিক ধন্যবাদ । ব্লগে আমি পেয়েছি কিছু অন্যরকম বন্ধু, পেয়েছি নতুন নতুন লেখার উৎসাহ কিন্তু সেই উৎসাহকে ঠিক মত কাজে লাগতে পারিনি। পারিনি সবার সাথে প্রাণ খোলে হাসতে, মন খোলে মিশতে -এটা আমারই ব্যর্থতা, সো সরি...! সবার কাছে দোয়া প্রার্থী, প্লিজ সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
পর্ব-০১
এখানে আমি এক অদক্ষ মাঝি,
হাল ছেড়ে দিশেহারা জীবনের বহুমাত্রিকতায়।
তবু হাল ধরি, দাঁড় বেয়ে যায় একটি সোনলি স্বপ্নীল ভোরের আশায়।
একটু পিছন থেকে...
মাদ্রাসার হোস্টেলে থাকতাম। আমাদের ক্লাশের আমরা ৮ জন থাকতাম একই রুমে। অনেক দিন এক সাথে থাকতে থাকতে আমাদের মাঝে গড়ে উঠেছিল চমৎকার বন্ধুর সম্পর্ক। হাসি-ঠাট্টা-আনন্দ-বেদনায় সবাই ছিলাম সবার সঙ্গী। ২০০৭ সালে দাখিল পরীক্ষা দিয়ে, গাট্টি-বোচকা-ব্যাগ নিয়ে যখন হোস্টেল ছেড়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছিলাম তখন বুঝতে পারি- আসলে আমাদের মাঝে সম্পর্কটা কেমন ছিল। হৃদয়টা কেমন হুঁ হুঁ করে উঠল। অজান্তেই টলমল চোখ থেকে ঝরে পড়েছিল কয়েক ফোটা অশ্রু...। যাই হোক, সে ভিন্ন কথা। ২০০৫ সাল। তখন পড়ছিলাম ক্লাশ নাইনে। আমাদের ৮ জনের মধ্যে যাকে নিয়ে আমরা বেশি ঠাট্টা রসিকতা করতাম, সে আমাদের ‘মিশকাত’। এই মিশকাতকে নিয়ে ‘মনের মায়া’ শিরোনামে ৬/৭টি ছড়া লেখার মধ্য দিয়ে আমার লেখালেখি শুরু।
‘ফেবু’ থেকে ‘ব্লগ’ নামের অচেনা গ্রহে...
২০০৬, ০৭, ০৮ এই তিন সালে লেখা হয়নি তেমন কিছুই। বলতে গেলে লেখালেখির সাথে মোটেও জড়িত ছিলাম না। আবৃত্তি আর অভিনয়ের প্রবল আগ্রহে যুক্ত হয়েছিলাম ‘পারাবার সাহিত্য সাংষ্কৃতিক সংসদ’র সাথে। সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর চলে গেলাম, আনোয়ারার ‘কাফেলা শিল্পী গোষ্ঠী’তে। অভিনয় বিভাগের সহকারী পরিচালক হিসেবে এখনো আছি এই কাফেলাতে। ২০০৯ সালে অনার্সে বাংলায় ভর্তি হওয়ার পর লেখালেখির ইচ্ছেটা আবার মাথা ছাড়া দিয়ে উঠে। ফেবুতে লিখতে শুরু করি ছোট খাট কবিতা, স্মৃতি, ভ্রমণ কাহিনী। ২০১০ সালের কোন এক সময়ে আমার বন্ধু ফাহিমের কাজ থেকে জানতে পারি ব্লগ সম্পর্কে। সেই থেকে শুরু হয় ‘ব্লগ’ নামের অচেনা গ্রহে আমার স্মৃতি-চিহ্নহীন পদচারনা। সামু, চতুর্মাত্রিক, এসবি, বর্ণমালা অবশেষে এই টুডেতে।
জীবনের এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে...
উপরোল্লিখিত ব্লগ ছাড়া আরো অনেক অনলাইন পত্রিকা, ব্লগেও আমি মাঝে মাঝে লিখি। তবে ফেবুতেই আমি সব চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করি। মাঝে মাঝে ভাবি আর কখনো কবিতা লিখবো না, লিখবো কোন অনুভূতি, সুখ দুঃখগাঁথা। তারপরও কেন আমি লিখি, কিন্তু কেন লিখি? নিজের মাঝেও খুঁজে পাই না এই ‘কেন’র জবাব। জীবনের এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মাঝে মাঝে নিজের মনে প্রশ্ন জাগে- কয় পৃষ্টাই আমি লিখেছি? হবে হয়তো দু’এক পৃষ্টা। অনাদরে অযত্নে ধুলোমলিন বইয়ের ভাজে চাপা পড়া সেই ডায়রীটার কোন এক সাইটে। কে জানবে এই নিভৃতচারীর অনাদরের ডায়রীটার কথা? অথবা খাতার ছেড়া পাতায় মনের খেয়ালে আঁকতে আঁকতে লিখি কয়েক লাইন, একটি ছোট্ট কবিতা। কে পড়বে আমার সেই গভীর অনুভূতিহীন এই দুই চার লাইনগুলো?
চলবে...
বিষয়: বিবিধ
১২৬০ বার পঠিত, ৫০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/8257/DORANTO/39346#.UwyiMOOSyi4
কেউ পড়ুক না পড়ুক ব্লগাররা পড়ে । ব্লগাররা শুধু লিখতে আসেনা পড়তেও আসে। আপনার মত গুনি লোকেরাই এই ব্লগগুলোকে সাজায় নিজের কিবোর্ডে ফুটিয়ে তোলে শিউলি , চাঁপা , হাস্নাহেনা,জুই ,চামেলী নানা রকম ফুলেল লেখা দিয়ে। শুভ কামনা ও দোয়া রইল।
ইয়ে এক পেলেট গরুর গোস্ত ভুনা দিলে ভাল হয় মনেহয়।
তবে আপনার বর্ণনার সাথে আংশিক মিলে গেছে অদ্ভুত মিল পেলাম।
কলম অবিরাম চলুক সেই দোয়ায় রইল।
মিলের ব্যাপারটা বুঝি নাই...
মন্তব্য করতে লগইন করুন