ছেলেটি তখন খিলবাইছা মাদ্রাসায় পড়ে
লিখেছেন লিখেছেন জাকির ১৪ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:০৮:৪৪ দুপুর
ছেলেটি তখন খিলবাইছা মাদ্রাসায় পড়ে।একদিন টয়লেটে গিয়ে ময়লা ঢিলা কুলুখের সাথে একখন্ড কাগজ দেখতে পেল।তাতে লেখা ছিল “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম”।সাথে সাথে তার সমস্ত শরীর শিউরে উঠল।মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাকের পবিত্র নামের এই অবমাননা?সমস্ত পৃথিবীটা যেন তার চোখের সামনে দুলে উঠল।সঙ্গে সঙ্গে কাগজটি সে তুলে নিল এবং ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে আতর মেখে নিজের হেফাজতে রেখে দিল।কিন্তু আল্লাহর পবিত্র নাম ও কোরআনের এই অবমাননা সে মেনে নিতে পারল না।সেই দিন থেকে মনে মনে স্থির করল-যেকোন উপায়েই হউক আমাকে কুরআনের হাফেজ হতে হবে।সময় যত গড়িয়ে যায়,তার অস্থিরতা তত বেড়ে যায়।অবশেষে সিদ্ধান্ত নিল পানিপথ গিয়ে কোরআন শিক্ষা করবে।কাউকে না জানিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে মাত্র একটাকা বার আনা সম্বল নিয়ে রওনা করল পানিপথের দিকে।চলতে লাগল অজানা পথে,আসা শুরু করল হাজারো বিপদ।কিন্তু এই বিপদই তাকে পৌছে দিল তার গন্তব্য স্থানে।একতো অল্প পুজি নিয়ে রওনা হয়েছে অজানা রাস্তায় আর এরই মাঝে আক্রান্ত হল পাগলা কুকুরের কামড়ে।তার পরিস্থিতিতে স্থানীয় লোকজন তাকে চিকিতসার জন্য পাঠাল পানিপথে।এদিকে ছেলেটি আনন্দে আত্মহারা,এই আনন্দ চিকিতসার জন্য নয় এই আনন্দ আল্লাহর কোরআনের এলম অর্জনের আনন্দ।হয়তো ভাবছেন কে এই ছেলেটি।তিনি আর কেউ নন এদেশের হাজারো মানুষের শ্রদ্ধাভাজন মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর(রহঃ)।
বিষয়: বিবিধ
১২৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন