আপনি কি জানেন ?? আপনি আমি নিজের অজান্তেই জাহান্নামী হয়ে যাচ্ছি ??
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ০৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:৪৯:৩১ দুপুর
নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনা শরীফ গিয়ে দুই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দুই ঈদ চালু করেছিলেন। ঐ দুইটি অনুষ্ঠানের একটি ছিলো খেলতামাশা এবং অপরটি ছিলো নওরোজ বা বছরের পহেলা দিবস উদযাপন।
আসলে ইসলাম কখনই কোন বছরের প্রথম দিন বা নওরোজ পালনকে সাপোর্ট করে না। কেউ যদি পহেলা মুহররমও পালন করতে চায় তাও নয়। কারণ কোন বছরের পহেলা দিন পালন করা অগ্নি উপাসকদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আর হাদীস শরীফে আছে, “যে যার সাথে মিল রাখে তার হাশর-নশর তার সাথে হবে।”
এ সম্পর্কে হযরত ইমাম আবু হাফস কবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “নওরোজ বা নববর্ষ উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলেও তা বরবাদ হয়ে যাবে।” অর্থাৎ এ দিবস উদযাপন করাই হারাম, সেটা যেভাবেই হোক।
যার কারণে কোন বছরের পহেলা দিন উদযাপন করার কোন ইতিহাস হাদীস শরীফ, কোন সাহাবী কিংবা ওলী আল্লাগগনের জীবনে দেখা যায় না। অপরদিকে এটা যে মুশরিক ও অগ্নি পূজকদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান তার প্রমাণ মেলে পহেলা বৈশাখে হিন্দুদের ঘটপূজা, গণেশ পূজা, সিদ্ধেশ্বরী পূজা, ঘোড়ামেলা, চৈত্রসংক্রান্তি, চড়ক বা নীল পূজা, শিবের উপাসনা, গম্ভীরা পূজা, কুমীরের পূজা, বউমেলা, মঙ্গলযাত্রা, সূর্যপূজা, অগ্নিনৃত্য, ত্রিপুরাদের বৈশুখ, মারমাদের সাংগ্রাই ও পানি উৎসব, চাকমাদের বিজু উৎসব ইত্যাদি দেখে।
অনেকে বলতে চায়, “ভাই! রমনা বটমূলে না গিয়ে বাসায় সবাই মিলে ভালো খেলে সমস্যা কি??”
এর উত্তরে বলতে হয়, বছরের প্রথম দিন আপনি যেভাবেই করেন, রমনা বটমূলে গিয়ে করেন আর বাসায় বসে উদযাপন করেন কোনটাই শরীয়ত সম্মত হবে না।
আবার অনেকে বলে থাকে, “ভাই! আমরা তো বাঙালী সংস্কৃতি হিসেবে করি, পূজা হিসেবে করি না”।
এর উত্তরে বলতে হয়, “মনে রাখবেন, আমরা কিন্তু বাঙালী মুসলমান, বাঙালী হিন্দু নই। আমরা ততটুকু সংস্কৃতি গ্রহণ করব, যতটুকু আমাদের ধর্ম অনুমুতি দেয়। এর বাইরে গ্রহণ করা কখনই ঠিক হবে না।”
তাই কেউ যদি এ অনুষ্ঠানে যোগদেয় তবে অবশ্যই সে মজুসী-মুশরিকদের অনুসরণ করার কারণে কুফরী করে ঈমান হারা হবে। আর কুফরী করলে শরীয়ত অনুসারে
১) তার বউ তালাক হবে, পুরনায় তওবা করে না দোহরালে তার সন্তানরা সব জারজ হবে।
২) তার ওয়ারিশ স্বত্ত্ব বাতিল হয়ে যাবে, হজ্জ করলে হজ্জ বাতিল হয়ে যাবে।
৩) মারা গেলে কাফন-দাফন করা যাবে না, পশুর মত মাটি চাপা দিতে হবে।
প্রত্যেকে মনে রাখতে হবে, সবাইকে কিন্তু একদিন মরতে হবে। কেউ দুনিয়াতে চিরদিন থাকবে না। তাই দুনিয়ার সামান্য মজা-ফূর্তির জন্য যদি চিরজীবন জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হয় তবে তা বোকামি ছাড়া অন্য কিছুই না। তাই সময় থাকতে সবাই সচেতন হোন।
বিষয়: বিবিধ
১২২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন