আল্লাহ্র রাজি-খুশির জন্যই হোক আমাদের সকল ভাল কাজ
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ১৯ মার্চ, ২০১৩, ০৬:০৮:৫৬ সন্ধ্যা
মানবতার কল্যাণে প্রতিটি মানুষ নিবেদিতপ্রাণ হবে আল্লাহ এমনটি দেখতে চান। ইসলামী বিধান অনুযায়ী আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের বদলে কেউ মানুষকে দেখিয়ে যশ-খ্যাতি লাভ বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সৎকাজ করলেও তার নাম_ রিয়া। আল্লাহ মোনাফেকদের নিদর্শন বর্ণনা করে ঘোষণা করেন : 'তারা মানুষদেরকে প্রদর্শন করে বেড়ায়, তারা আল্লাহকে কমই স্মরণ করে।' -সূরা নিসা-১৪২।
শুধু মানুষের কল্যাণ নয়, ইবাদতের ক্ষেত্রেও লক্ষ্য থাকতে হবে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে 'অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাজির, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে অমনোযোগী, যারা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্যকে দেয় না।' -সূরা মাউন-৪-৭।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ আরও ঘোষণা করেন : 'হে ইমানদারগণ! তোমরা নিজেদের অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে এবং কষ্ট দিয়ে নিজেদের সদকাগুলো বরবাদ করো না সেই লোকের মতো, যে রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে আপন অর্থ-সম্পদ খরচ করে।' -সূরা বাকারাহ-২৬৪।
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। এ ইবাদত হতে হবে শতভাগ সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে নিবেদিত। সেখানে কোনো ধরনের অন্যথা কাম্য নয়। পবিত্র কোরআনে এ প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে আল্লাহতা'আলা বলেন : 'যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ লাভের আশা করে, সে যেন সৎকাজ করে এবং তার প্রতিপালকের ইবাদতে অন্য কাউকে শরিক না করে। (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া অপর কাউকে দেখানো বা সন্তুষ্ট করার জন্য ইবাদত না করে)।' -সূরা কাহ্ফ-১১০।
মানুষ যদি শুধু সৃষ্টিকর্তার জন্য ইবাদত করে, যদি তাকে সন্তুষ্ট করার জন্য মানুষের কল্যাণ সাধনে নিজেকে নিয়োগ করে, তবে তা যেমন সামাজিক ঐক্য দৃঢ় করবে তেমন সবধরনের হীনম্মন্যতা থেকে মানুষকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে। এক মানুষের সঙ্গে অপর মানুষের সম্পর্ক বৃদ্ধিতেও তা সহায়ক বলে বিবেচিত হবে। আল্লাহ আমাদের সব ধরনের রিয়া থেকে দূরে থাকার তওফিক দান করুন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন