ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে ঘুষ লেনদেন।
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:৪৮:৩৯ বিকাল
ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে ঘুষ লেনদেন। সরকারি অফিস থেকে শুরু করে বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানেও এখন ঘাটে ঘাটে চলছে ঘুষ উৎসব। ফুয়েল না দিলে ফাইল নড়ে না। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, ঘুষ না দিলে মন্ত্রীর চাকরির সুপারিশও অনেক সময় কার্যকর হয় না। ঘুষবাণিজ্য রীতিমতো ‘প্রাতিষ্ঠানিক বৈধতা’ পাওয়ার পর্যায়ে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পিয়ন-দারোয়ান থেকে শুরু করে শীর্ষ কর্মকর্তা- সব শাখায়ই শ্রেণিমাফিক ঘুষ দিয়ে তবেই কাজ হাসিল করতে হয়। বিমানের কার্গো থেকে পণ্য ছাড়াতে সবচেয়ে বেশি স্থানে ঘুষ দিতে হয়। ঘুষের এই হার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকার বেশি। জরুরি হলে গুনতে হয় দ্বিগুণেরও বেশি। ঘুষ ছাড়া কোনো পণ্য বের হওয়ার নজির নেই। বাংলাদেশ বিমান, কুরিয়ার সার্ভিস আর কাস্টমসের একটি সিন্ডিকেট এই ঘুষবাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘুষ দিতে অনীহার কারণে একটি ফ্লাইট অবতরণের পর ২০-২৫ দিনের আগে পণ্য খালাস সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পণ্যগুলো বিমানবন্দরের রানওয়ের খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিতে পচতে থাকে। এই সুযোগে সিন্ডিকেট কার্টন ভেঙে, পলিথিন খুলে হরহামেশা চুরি করে নিয়ে যায় শত শত কোটি টাকার মূল্যবান পণ্য। একইভাবে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১৭ খাতে ঘুষ না দিয়ে পেনশন পাওয়ার উপায় নেই। সরকারি সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও ন্যক্কারজনকভাবে ঘুষ প্রচলিত। সেখানে সেবা গ্রহীতাকে পদে পদে যেমন ঘুষ দিতে হয়, তেমনি কোনো কাজের জন্য ঠিকাদাররা ঘুষবাণিজ্যের ধকলে চরম বিপাকে পড়েন। ঘুষের বিস্তার এখন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও। পদ্মা সেতু দুর্নীতি, নাইকোর ঘুষ গ্রহণ কেলেঙ্কারি, এফবিআই সদস্যকে ঘুষ দেওয়ার মতো ঘটনায় বাংলাদেশি নাগরিকদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আবার একটি কোম্পানির বীমা দাবি আদায় নিশ্চিত করতে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। অস্ত্র নয়, ফাইল ঠেকিয়েই আদায় হচ্ছে অর্থ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নানা পেশার কর্মকর্তারা ঘুষের কল্যাণে বিত্তশালী হয়ে উঠছেন। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ঘুষ কোথায় আছে সে প্রশ্ন নয়, বলুন কোথায় নেই? এমনকি অর্থ ছাড় পেতে এক মন্ত্রণালয় আরেক মন্ত্রণালয়কে ঘুষ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সরকারি গাড়ির সরবরাহ পেতে আন্তমন্ত্রণালয় পর্যায়ে ঘুষ উপহার পাঠানোর রেওয়াজ আছে। প্রশাসন, কাস্টমস, পুলিশ, সার্ভিস সেক্টরে ঘুষ হচ্ছে ওপেন সিক্রেট। পৈতৃক ভিটেমাটি হুকুম দখল করে নেওয়ায় এর ক্ষতিপূরণ তুলতেও ১০-১৫ ভাগ হারে ঘুষ দিতে হয়। এর আগে রাজউকের উত্তরা মডেল টাউন প্রকল্পে হুকুম দখলের শিকার মানুষ মাসের পর মাস ধরনা দিয়েও ঢাকার জেলা প্রশাসক দফতর থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলতে ব্যর্থ হন। অবশেষে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী ঘুষের রেট ধার্য করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পর্যন্ত করেন। রাজউক উত্তরা শহর প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক কল্যাণ সমিতি অভিযোগ করে, তাদের ৫৮০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বিল তুলতে ১১৬ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। তবে ইদানীং পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে, বেশির ভাগ দফতরে কাজের ধরন অনুযায়ী কত টাকা ঘুষ দিতে হবে তা ভুক্তভোগীদের মুখস্থ রয়েছে। সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে রাজধানীর অনেক থানায় ৫০০ টাকা এবং বাইরের থানাগুলোতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত খরচ লাগবে- এটা আর কাউকে এখন বলে দিতে হয় না। কেন্দ্রীয় কারাগারে আসামি দেখতে হলে নির্ধারিত টিকিট কাটার পরও পাঁচ-সাতশ টাকা জেলপুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে, এটাও কারও অজানা নয়। শুধু যে পুলিশ আর সরকারি কর্মকর্তা পর্যায়েই ঘুষের প্রথা চালু রয়েছে তা নয়, মানুষ বানানোর কারিগর হিসেবে পরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়েও ঘুষের বিস্তার ভয়াবহ। রাজধানীর নামিদামি সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রাথমিক শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তি করার ক্ষেত্রে এক থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ছাপানো হাজার হাজার পোস্টার-স্টিকার লাগানো রয়েছে অফিসে অফিসে। তাতে লেখা আছে- ‘ফাইল আটকানো আর পিস্তল ঠেকানো সমান অপরাধ।’ কিন্তু এই স্টিকারের নিচে বসেই পরিবহন পোলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ঘুষের টাকা পকেটস্থ করে গাড়ির চাবি বুঝিয়ে দেন। আবার কোথাও কোথাও মাসিক হারেও ঘুষের নজির আছে। আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিরা থানায় থানায় মাসিক হারে টাকা দিয়ে তবেই গ্রেফতারমুক্ত থাকতে সক্ষম হন। অপরাধ-অপকর্ম, মাদক বাজার, নারীবাণিজ্য, জুয়াবাণিজ্য বহাল রাখতেও ঘাটে ঘাটে মাসিক এমনকি সাপ্তাহিক হারেও মাসোহারা ধার্য আছে।
নিয়োগ-বদলিতে আছে মোটা অঙ্কের ঘুষ। সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে মাথাপিছু তিন-চার লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পর্যায়ে নিয়োগ পেতে খরচ করতে হয়েছে সাত-আট লাখ টাকা। শুধু নিয়োগ নয়, লোভনীয় স্থানে পোস্টিং পাওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে আলাদা আলাদা রেট। ঢাকার বাইরে থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা ডিএমপির যে কোনো থানায় পোস্টিং পেতে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালতে সব সময়ই প্রস্তুত থাকেন। সাব-রেজিস্ট্রার বদলি-পোস্টিংয়ে কোটি টাকা লেনদেনের অবিশ্বাস্য ঘটনাও জানা গেছে। দেশের যে কোনো এলাকা থেকে রাজধানীর তেজগাঁও, চট্টগ্রাম, পটিয়া, কক্সবাজার, নোয়াখালী, সাভারসহ ২০টি স্থানে সাব-রেজিস্ট্রারের পোস্টিং রেট এখন কোটি টাকা ছাড়িয়ে। রাজধানীর সেবা খাত বিশেষ করে সিটি করপোরেশন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসার প্রতিটি কর্মকাণ্ডে ধাপে ধাপে ঘুষের ছড়াছড়ি।
ওয়াসার একাধিক ঠিকাদার ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আগে এক কোটি টাকার কোনো কাজের ক্ষেত্রে অফিস পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৭-৮ লাখ টাকা দিলেই যথেষ্ট ছিল। তখন কর্মকর্তারা পদ-পদবি অনুযায়ী হাজার থেকে লাখ টাকা দাবি করতেন। কিন্তু এখন সবাই পার্সেন্ট আকারে ঘুষ চান। এমনকি চূড়ান্ত বিল তোলার ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট শাখাকেও শতকরা দুই ভাগ হারে টাকা দিতে হচ্ছে। ফলে এক কোটি টাকার কাজ করতে গেলে ঘুষের খাতেই ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ভুক্ত সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ), বিআরটিএ দফতরে সরকারি ফি পরিশোধের আগে ঘুষের টাকা পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক বিধান। স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন কাজ, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহ, নিয়োগ, বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতির প্রতিটি ধাপেই অনিয়ম ও দুর্নীতির মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে দলীয় তদবিরের পাশাপাশি ১০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী ইউনিয়ন নেতা, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এই ঘুষ গ্রহণ করে থাকেন। এ ছাড়া চিকিৎসকদের সঙ্গে বেসরকারি খাতের ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর অবৈধ কমিশন লেনদেনের অভিযোগ অনেক পুরনো। পরিবেশ দূষণের মূলেও রয়েছে ঘুষের লেনদেন। অন্যদিকে, ঢাকা শহরের পথে হরহামেশাই দেখা যায় বাস, ট্যাক্সি, ম্যাক্সি, টেম্পো, বেবিট্যাক্সি, ট্রাক ও রিকশাচালকরা পুলিশ ও মাস্তানকে ঘুষ দিচ্ছেন। ঘুষ না দিয়ে কোনো উপায়ও নেই। ইনকাম ট্যাক্স বিভাগের চিঠি পেলেই ঘুম হারাম হয়ে যায়। বলা হয়, ট্যাক্সের বাঘে ছুঁয়েছে এখন আঠারো ঘা হবে। আর এর একমাত্র ওষুধ ঘুষ। সরকারি কর্মচারীরা চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার আগে পেনশনের কাগজপত্র ঠিক করাতে দিতে হয় ডোনেশনের নামে ঘুষ। বিভিন্ন ছুটিতে ঘরে ফিরতে ট্রেন-বাসের টিকিট সংগ্রহের জন্য দিতে হয় বাড়তি অর্থ। পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন লাইন পেতে দিতে হয় ঘুষ। পোস্ট অফিসে বেশি চিঠি নিয়ে গেলে, ভবন তৈরির জন্য রাজউকের অনুমোদন পেতে ঘুষের কোনো বিকল্প নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য বাজারজাত করা যায় ঘুষ দিয়ে।মহাহিসাব নিরীক্ষক অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন বাজেটের শতকরা ২০ ভাগ টাকা ঘুষ হিসেবেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পকেটে চলে যায়। এটা সরকারি দফতর-অধিদফতরের প্রকাশ্য ঘুষ হিসেবে ওপেন সিক্রেট ব্যাপার।’ তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি, গ্যাস, সড়ক ও জনপথ, বন অধিদফতরসহ কয়েকটি সেক্টরের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এসব স্থানে যে কোনো উন্নয়ন কাজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তাদের ঘুষের বণ্টন হিসাবে নির্ধারণ করা আছে। শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ টাকা। অঙ্কের হিসাবে প্রতি বছর উন্নয়ন বাজেট থেকেই কয়েক হাজার কোটি টাকা শুধু ঘুষ বাবদ লুটপাট হয়ে থাকে। এরপরও আছে বিশেষ কিছু লেনদেন।’
আইনজীবী শাহদীন মালিক মনে করেন, ‘ঘুষ নেওয়ার অপরাধে কারও উল্লেখযোগ্য শাস্তি না হওয়ার কারণেই তা দিন দিন বাড়ছে। এ ঘুষ ব্যবস্থা বন্ধ করতে হলে সরকারি পর্যায়ে কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মানুষের মনে আস্থার সৃষ্টি করতে হবে। ঘুষ গ্রহণ করলে যে শাস্তি পেতে হয়, তা নিশ্চিত করাটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’ টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৯ মাসব্যাপী পরিচালিত টিআইবির এক গুণগত গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, চুক্তিভিত্তিক (এডহক) চিকিৎসক নিয়োগে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায় হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে ১ থেকে ৫ লাখ টাকা নেওয়া হয়। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ঢাকা ও ঢাকার পাশের জেলায় বদলির ক্ষেত্রে নেওয়া হয় ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা। চিকিৎসকদের উপজেলা এবং সদর থেকে ঢাকায় বদলি করতে নেওয়া হয় ১ থেকে ২ লাখ টাকা। দুর্গম এলাকা থেকে সদরে, এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলা এবং উপজেলা থেকে সদরে বদলির জন্য ঘুষ দিতে হয় ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।’ তিনি আরও জানান, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বদলির জন্য দিতে হয় ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা। আর সুবিধাজনক স্থানে দীর্ঘদিন অবস্থানের জন্য আড়াই লাখ বা তার ওপরে উৎকোচ দিতে হয়। ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটির (ডিপিসি) মাধ্যমে পদোন্নতির ক্ষেত্রে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায় করা হয় ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দফতর-অধিদফতরগুলোতে এভাবে ঘুষ-দুর্নীতির প্রচলন চলতে থাকলে সেখানে জনস্বার্থ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।’
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যে কোন কাজ হাসিল/ত্বরান্বিত করতে বা পেতে এই স্পিড মানি ব্যবহার করতে হয় ।
বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা এই স্পিডমানির স্পিডেই চলছে
মন্তব্য করতে লগইন করুন