ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর স্বাধীন হতো ০৭ দিনে ৭০ বছরে নয়, যদি তারা হতো খ্রীষ্টান প্রধান অঞ্চল।
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ২৪ জুন, ২০১৪, ০৪:৪৯:৫৪ বিকাল
সম্প্রতি সৌদি আরবে ওআইসির এক বৈঠকে কাশ্মির সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। তবে ভারত সরকার এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কাশ্মিরের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার জন্য ওআইসির প্রতি আহবান জানিয়েছে। ভারতে বিজেপির নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর হুররিয়াত কনফারেন্সের নেতা মির ওয়ায়েজ ওমর আবারো বলেছেন, একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই কাশ্মির সমস্যার সমাধান হতে পারে এবং এর অন্যথায় ভারতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি রাজনৈতিক উপায়ে কাশ্মির সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আহবান জানান। কারণ কাশ্মিরের অব্যাহত সংকট ওই অঞ্চলকে নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন, একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই কাশ্মির সমস্যার সমাধান হতে পরে।
১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হওয়ার পর মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে জম্মু-কাশ্মির পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তৎকালীন ভারত সরকার ষড়যন্ত্র করে ও ব্রিটেনের সহযোগিতায় জম্মু-কাশ্মিরকে নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। ভারত সরকারের দাবি কাশ্মিরের তৎকালীন শাসক মহারাজার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তারা কাশ্মিরে সেনা সমাবেশ ঘটায়। কিন্তু ভারত ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য ব্রিটেন সে সময় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চিরস্থায়ী দ্বন্দ্বের ব্যবস্থা করে যায় যাতে এই অঞ্চলে কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে। এ কারণে ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মিরের মালিকানা নিয়ে এ পর্যন্ত দুইবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।
যদিও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মির সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দেয়া হয়েছে কিন্তু ভারত ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে এবং কাশ্মিরের মালিকানা দাবি করে আসছে। ভারত কাশ্মিরকে বিতর্কিত এলাকা বলতেও অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। এ কারণে নয়াদিল্লী তার দেশের সংবিধানের আওতায় কাশ্মির সমস্যা সমাধানের কথা বলছে। কিন্তু কাশ্মিরের প্রভাবশালী দল হুররিয়াত কনফারেন্স ভারত,পাকিস্তান ও কাশ্মিরের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দিয়ে আসছে।
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের ওপর জোর দিয়েছেন এবং সম্প্রতি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী একে অপরের মায়ের জন্য উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন যাতে উত্তেজনা কমিয়ে এনে এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করা যায়।
গত প্রায় সাত দশক ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার বড় কারণ হচ্ছে কাশ্মির সংকট এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোও এ পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে। সন্ত্রাসীরা ভারত ও পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে এ দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা জিইয়ে রেখেছে। এ অবস্থায় কাশ্মির সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ওআইসির প্রতি আহবান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কাশ্মিরের ইতিহাস এবং অর্থনিতি সবসময়ই বর্তমান পাকিস্তানের সাথে সুংযুক্ত ছিল এবং কাশ্মির একটি স্বাধিন রাস্ট্র ছিল। সম্প্রতি পড়লাম ভারতিয় সাবেক সেনা প্রধান জেজে সিং এর আত্মজিবনিতে তিনি দাবি করেছেন যে পাকিস্তানি আযাদ কাশ্মির এর থেকে নাকি ভারতিয় কাশ্মির অনেক উন্নত! বইটি আমার এক বন্ধু যিনি জাতিসংঘের হয়ে উভয় অংশে গিয়েছেন তাকে দিলে তিনি বলেন যে এর চেয়ে বড় মিথ্যা আর হতেই পারেনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন