ভারতের নির্বাচনকে ঘিরে হিন্দুদের আস্ফালন এবং বর্তমানে ভারতীয় মুসলমানদের করণীয়
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ২২ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:১৮:৪৪ সকাল
গত কয়েকদিন যাবত বিজেপির একের পর মুসলিম বিরোধী বক্তব্য এবং ভারতীয় মুসলমানদের ধরপাকড়ের খবরগুলো দেখে না লিখে পারলাম না। খবরে দেখলাম:
১) হিন্দু এলাকা থেকে মুসলমানদের তাড়িয়ে দিতে বলছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি (সূত্র:ক)
২) মুম্বাইয়ে বাংলাদেশীদের নাম করে মুসলমানদের উপর ব্যাপক ধরপাকড় চলছে, নিপীড়ন চালাচ্ছে শিবসেনারা। (সূত্র:খ)
আসলে বিশ্বহিন্দু পরিষদ, বিজেপি কিংবা শিবসেনার এ ধরনের বক্তব্য বা কার্যক্রম নতুন নয়, এ উগ্রসাম্প্রদায়িক হিন্দুদলগুলোর সমস্ত কার্যক্রমই হচ্ছে ইসলাম ও মুসলমান বিরোধী, এটা ঐ এলাকার সবারই জানা। তাই স্বাভাবিকভাবে এদের গুরু বিজেপির মোদি ক্ষমতা আসলে কি হবে তা সহজেই অনুমেয়।
যেমনটি ১৯৯২ তে উত্তর প্রদেশে বিজেপি ক্ষমতায় গিয়ে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গন ও তৎসংশ্লিষ্ট মুসলিম নিধনে দাঙ্গা সৃষ্টি করে (সূত্র:গ) এবং
২০০২-তে গুজরাটে ক্ষমতায় গিয়ে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা তৈরী করে।
তাহলে আপনি বলুন, যখন পুরো ভারতের ক্ষমতায় যখন বিজেপি আসবে তখন কি হবে???
শুধু কি বিজেপি-ই সাম্প্রদায়িক?
১) কংগ্রেসের প্রথমকার নেতা এবং বর্তমানের গান্ধী পরিবারের মূল জহরলাল নেহেরু ছিলো চরম সাম্প্রদায়িক ও ইসলাম বিদ্বেষী, যে ১৯৪৮ সালে হায়দারাবাদে গণহত্যা চালিয়ে ১০ লক্ষ মুসলমানকে হত্যা করে। (সূত্র:ঘ) কংগ্রেস মুসলমানদের শুধু ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করে, কিন্তু সারা দেশে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যক্রমকে তারা পরোক্ষভাবে মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা করে।
২) তৃণমূলের কথা বলবেন?? তৃণমূলের মমতাই তো ছিলো গুজরাট দাঙ্গায় হিন্দুদের সাপোর্টে। (সূত্র:ঙ)
৩) সমাজবাদী পার্টি কথা বলবেন? এরাও রাজনৈতিক কারণে দাঙ্গায় হাওয়া লাগায়। এবার মুজাফফরনগরে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাদের সরকারের চোখের সামনেই মুসলমানদের উপর চলে মুজাফফরনগরে নিধনযজ্ঞ।
৪) সর্বশেষ, ভারতের সমস্ত হিন্দুদের উপর কি আস্থা রাখা যায়?? এর উত্তর হচ্ছে না। কারণ যারা মোদির মত একটা চরম উগ্র সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীকে ক্ষমতার আসনে বাসাতে চায় তাদের মন মানসিকতা কতটুকু মুসলিম বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক হতে পারে তা চিন্তার বিষয়।
অর্থাৎ এখন কংগ্রেস হোক,বিজেপি হোক, সমাজবাদী হোক আর তৃণমূল হোক কেউই মুসলমানদের ভালো চায় না, কেউ ক্ষমতায় আসলেই মুসলমানদের ভালো হবে না। এরা প্রত্যেকেই মুসলিম বিরোধী, এবং রসুনের গোড়ার মত মুসলিম নিধনের ঐক্যবদ্ধ।
ভারতের মুসলমানরা এতদিনে কি পেয়েছে??
ভারতের মুসলমানরা হিন্দুদের নিপীড়ন ছাড়া আর কিছুই পায়নি। ১৯৪৮ থেকে এ পর্যন্ত ভারতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গার সংখ্যা ১ লক্ষের উপরে। (সূত্র:চ) মুসলমানদের শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠান নির্মাণে দেয়া হয় বাধা সেখানে, চাকুরী ক্ষেত্রে করা হয় চরম বৈষম্য, মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে পথে বসানো হয় তাদের। মুজাফরনগরে মুসলমানরা তীব্র শীতে থেকেছে খোলা আকাশের নিচে। মনমোহন গিয়েছে, সোনিয়া গিয়েছে কিন্তু তারা মুসলমানদের জন্য সামান্য বাসস্থানদের ব্যবস্থাটুকু করেনি। উল্টো রাহুল গান্ধী মুজাফফরনরগ দাঙ্গার জন্য মুসলমানদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিয়েছে!!
আসলে, ভারতের মুসলমান যতদিন এই হিন্দুদের পথ চেয়ে থাকবে ততদিন তাদের মার খেতেই হবে, তাই এবার ভিন্ন কি কিছু চাই।
তাহলে মুসলমানরা এখন কি করবে???
বাঁচার ভারতীয় মুসলমানদের সামনে এখন একটাই পথ, সেটা হচ্ছে ভারত জুড়ে বিদ্রোহ শুরু করা। এবং মুসলমানদের জন্য পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরী করে নেয়া।
এখানে মনে রাখতে হবে, মোদিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছেই মুসলিম নিধন করার শর্তে। তাই মুসলমান যদি ভাবে সে চুপ থেকে বেচে যাবে, তা কিন্তু সে পারবে না। তাকে আজ হোক কাল হোক হিন্দুদের ছুরির নিচে পড়তেই হবে, মেয়েকে তুলে দিতে হবে হিন্দুদের হাতে।
তাই কাপুরুষের মত পালাতে দিয়ে মারা যাওয়ার থেকে সিংহের মত লড়াই করা অবশ্যই উত্তম।
এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ভারতের মুসলমানদের জনসংখ্যা দাবি হয় ১৮ কোটি মত। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বর্তমানে ভারতে মুসলমানদের জনসংখ্যা ৫০ কোটির উপরে। কিন্তু ভারত সরকার তা কৌশলে লুকিয়ে রেখেছে। (সূত্র:ছ)
তাছাড়া ভারতের মুসলমানরা একবার বিদ্রোহ শুরু করলে পাশ্ববর্তী পাকিস্তানের ২০ কোটি মুসলমান এবং পাশ্ববর্তী বাংলাদেশের ১৫ কোটি মুসলমান অবশ্যই তাদের সাহায্যের জন্য এগিযে যাবে। তখন মাত্র ৭০ কোটি হিন্দু (তারা মিথ্যা বাড়িয়ে বলে) বিপরীতে মুসলমানদের সংখ্যা হবে (৫০+২০+১৫=) ৮৫ কোটি যা মুসলমানদেরকে সংখ্যা গরিষ্ঠতা এনে দেবে।
আর ভারতে যদি মুসলমানরা একবার বিদ্রোহ শুরু করে তবে তা হিন্দুদের জন্য ঠেকায় রাখা কঠিন। কারণ মুসলমানদের সামনে হিন্দুরা কিছুই নয়, একযোগে সব মুসলমান যদি একবার তাকবীর ধ্বনী তবেই কাপুরুষ হিন্দুগুলো গর্তে গিয়ে লুকাবে।
আরো জানা জরুরী:
১) বর্তমানে আর্থিক সমস্যা কারণে ভারত সরকারের অবস্থা খুবই দুর্বল। সেনবাহিনী ভুগছে যুদ্ধাত্র সংকটে। যুদ্ধ লাগলে ২০ দিনের বেশি যুদ্ধ করার গোলাবারুদ নেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে। (সূত্র:জ)
২) ভারতে মাওবাদীদের বিদ্রোহ চরমে, তারাও চাইছে ভারতকে ভাগ করে দিতে।
৩) মুসলমানদের উপর মহান আল্লাহ তায়ালার গায়েবী মদদ আছে। জিহাদের সময় মহান আল্লাহ ফিরিশতা দিয়ে মুসলমানদের সাহায্য করেন। তাই কাফিরদের বিরুদ্ধে যেকোন জিহাদে অবশ্যই মুসলমানরা জয়ী হবেই হবেই।
আর ভারতীয় হিন্দুদের প্রতি শেষ আহ্বান:
হিন্দুদের অতিসত্ত্বর উচিত হবে অতিভদ্রভাবে ভারতের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা খালি করে অন্যত্র চলে যাওয়া। কারণ ঐ এলাকায় মুসলমানরা পৃথকরাষ্ট্র বানিয়ে বসবাস করবে। হিন্দুরা যদি স্বেচ্ছায় এলাকা না ছাড়ে, তবে খুব শিঘ্রই পুরো ভারত বর্ষের সমস্ত মুসলমানরা এক হয়ে হিন্দুদের কচুকাটা শুরু করবে, ছুড়ে ফেলবে ভারত মহাসাগরে। ফের দখল করে নেবে পুরো ভারতবর্ষের ক্ষমতা। (ইনশাআল্লাহ) (সংগৃহীত)
বিষয়: বিবিধ
১৫১৫ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ব্লগ ব্যান হবার আগেই মডুদের উচিত হবে এই পোস্ট সরিয়ে ফেলা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন