আজ ১১ রবিউস সানী অর্থাৎ পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম

লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:৪৮:০১ দুপুর



আজ ১১ রবিউস সানী অর্থাৎ ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। ফাতেহার অর্থ মহান ওলী আউলিয়া তথা মনীষীগণের জন্য দোয়া। তাই ১১ রবিউস সানী ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসকে জীবন্ত করে তোলে। এদিন ওলীকুল শিরমণি তৎকালীন যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস, মুফাস্সির, ফকিহ, দার্শনিক, সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, সুবক্তা, কাদেরিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা গাউসুল আযম হযরত শেখ মুহিউদ্দীন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর ইন্তিকালবার্ষিকী। এ দিবসটি সমগ্র বিশ্বে বিশেষ করে এ উপমহাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে অতীব তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহর রাসুলের (সা.) পর্দা করার পর সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীনে ইমামদের সোনালী যুগে কোরআন-হাদিসের আলোকে দুনিয়া ছিল ঝলমল। পরবর্তীতে ভোগবাদী স্বার্থান্বেষী ও বিজাতীয় ষড়যন্ত্রের ফলে উম্মতের ঐক্য নষ্ট হয়ে বিভিন্ন ফেরকার সৃষ্টি হয়। যার ফলে মুসলমানদের বিজয়ের ধারা মুখ থুবড়ে পড়ে। কিন্তু মহান ওলীগণ জিহাদের ময়দান থেকে সামান্য সময়ের জন্যও পিছু হটেননি। তারা শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মা‘রিফাতের ঝা-া নিয়ে বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছুটে চলতে শুরু করেন। প্রতিষ্ঠা করেন লাখ লাখ দ্বীনি মারকাজ, মসজিদ মাদরাসা ও খানকা। এরূপ প্রতিটি খানকাই ছিল তৎকালীন জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়। অপরদিকে ছিল শাসনকার্যের দফতর এবং ক্যান্টনমেন্ট স্বরূপ। এসব খানকা থেকেই ইলমী রুহানী যোগ্যতা নিয়ে বের হয়েছিলেন হাজার হাজার মর্দে মুজাহিদ। যারা ঘর ছেড়ে দুনিয়ার আনাচে-কানাচে দ্বীনের প্রচার-প্রসারে বের হয়ে কাজ সম্পন্ন করে ইন্তিকাল করে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছিলেন হযরত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)। বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর (রহ.) সাপ্তাহিক মাহফিলে তৎকালীন জমানায় ৬০-৭০ হাজার মানুষ হাজির থাকতেন। তার কণ্ঠের আওয়াজ এবং আহ্বান শুনে অনেকেই ঘরে ফেরেননি। ছড়িয়ে পড়েছেন বিশ্বের সর্বত্র। কোটি কোটি মানুষ তার নিকট ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন। পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের ওলীগণের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বেশির ভাগই কাদেরিয়া, চিশতিয়া তরিকার শায়খ বা পীর। এ মহান ব্যক্তির ৫৪ জন সন্তানের পরবর্তী বংশধরগণ এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখে গেছেন। এমতাবস্থায় ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম ১১ শরিফ অনুষ্ঠানের গুরুত্ব কত বেশি তা একজন বুঝদার ও বিবেকবান লোকের জন্য বোঝা কঠিন নয়।

হযরত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মানব কল্যাণে সত্য প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। জীবনে কঠিন মুহূর্তেও দাঁড়িয়ে কখনও সত্য বিচ্যুত হননি। তিনি সত্যবাদীতার দ্বারা মাত্র আঠার বছর বয়সে গোটা ডাকাত দলকে তওবা করিয়ে আল্লাহর ওলীতে পরিণত করেছেন। আমরাও যদি ব্যক্তি জীবনে সত্যকে দৃঢ়তার সাথে আঁকড়ে ধরি তাহলে এ সমাজ হতে সর্বপ্রকার অশান্তি দূরীভূত হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) তার আদর্শের মাধ্যমে তৎকালীন বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। বর্তমান বিক্ষুব্ধ বিশ্বের শান্তির একমাত্র পথ ঐ সকল আউলিয়া কেরামের আদর্শকে অনুসরণ করা।

বিষয়: বিবিধ

১২১৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

176329
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:১৯
এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী লিখেছেন : ঐ সকল আল্লাহর ওলীগন কুরআন-হাদিসের আলোকে সমাজকে গড়ার সর্বত্বক চেস্টা চালিয়ে গেছেন।বর্তমানে সুবিধবাদি গোমড়ারা তাদের নামে ইসলামের দোহাই দিয়ে অপকর্ম করছে।
176347
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৬
জাগো মানুস জাগো লিখেছেন : this date, we Bangladesh all educational institute are holiday.
But we surprisely see maximum muslim students donot the what is Fatiha esdaham.
So We should read the meanings & also teach our childrens the meanings,spirit of this historic day.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File