ফরয নামায না পড়ার শাস্তিঃ
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:৪৬:৫৫ দুপুর
একবার এক স্বপ্নে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে কয়েকটি পাপের শাস্তি দেখানো হয়। উল্লেখ্য, নবী-রাসুলদের সব স্বপ্ন ওহী, অর্থাত আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্য স্বপ্নঃ
একদিন সকালে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ "আজ রাতে আমার কাছে দুইজন আগন্তুক এসেছিল। তারা আমাকে বললো, আমাদের সাথে চলুন। আমি তাদের সাথে গেলাম। আমরা এমন এক লোকের কাছে পৌঁছলাম, যে চিত হয়ে শুয়ে ছিলো। অপর এক ব্যক্তি পাথর নিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সে পাথর দিয়ে শুয়ে থাকা ব্যক্তির মাথায় আঘাত করছে এবং থেঁতলে দিচ্ছে। যখন সে পাথর নিক্ষেপ করছে তা গড়িয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। লোকটি গিয়ে পাথরটি পুনরায় তুলে নিচ্ছে। এবং তা নিয়ে ফিরে আসার সাথে সাথেই লোকটির মাথা পুনরায় পূর্বের মতো ভালো হয়ে যাচ্ছে। সে আবার লোকটির কাছে ফিরে আসছে এবং তাকে পূর্বের মতো শাস্তি দিচ্ছে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আমি আমার সংগী দুইজনকে জিজ্ঞাস করলামঃ সুবহা’ন-আল্লাহ! এরা কারা? তারা পরবর্তীতে উত্তর দেন, সে হচ্ছে এমন ব্যক্তি যারা কুরান মুখস্থ করে তা পরিত্যাগ করে এবং ফরয নামায না পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে”।
সহীহ বুখারী, রিয়াদুস সালেহীনঃ ১৫৪৬।
নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক, হে আল্লাহ আমাদের অতীতের ভুল ত্রুটিগুলো মাফ করো এবং ভবিষ্যতে সমস্ত গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তোওফিক দান করো, আমীন।
***নামায ওয়াক্ত অনুযায়ীই পড়তে হবে, নিজের মন মতো সময়ে পড়লে গ্রহণযোগ্য হবেনাঃ
"ইন্নাস-সালাতি কানাত আ'লাল মুমিনিনা কিতাবান মাওক্বুতা।"
অর্থঃ নিশ্চয়ই নামায মুমিনদের জন্য সুনিদিষ্ট সময়ের সাথেই ফরয করা হয়েছে।
সুরা আন-নিসা, আয়াত ১০৩।
***ওয়াক্ত অনুযায়ী নামায না পড়লে তার শাস্তিঃ
"ফাওয়াই লুল্লিল মুসাল্লিন, আল্লাযীনা হুম আ'ন-সালাতিম সাহুন।"
অর্থঃ অতএব দূর্ভোগ ঐ সমস্ত নামাযীদের জন্য, যারা নিজেদের নামাযের ব্যাপারে উদাসীন।"
সুরা আল-মাউন, আয়াত ৪-৫।
লক্ষ্যণীয় বিষয়ঃ এখানে উদাসীন বলতে যারা নামায পড়ে, কিন্তু দেরী কড়ে পড়ে তাদেরকে বুঝানো হয়েছে। যেই ব্যক্তি নামায পড়ে কিন্তু দেরী করে পড়ে, তাকেই যদি জাহান্নামের ওয়াইল নামক স্থানে (জাহান্নামের একটি চূড়াতে) যেতে হয়, তাহলে যেই ব্যক্তি নামায পড়েই না তার জাহান্নামের কোন কঠিন ও ভয়াবহ স্থানে যেতে হবে...?
কথা হলো ঈমান......
কেউ যদি সত্যিই বিশ্বাস করে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে - আর মৃত্যুর পরের জীবন দুনিয়ার জীবনের মতোই আরেকটা জীবন, বরং সময়ের দিক থেকে সেটাতো অনন্ত - তাহলে অবশ্যই সে যত যাই থাকুক অন্তত ফরয নামাযটা হলেও আদায় করার চেষ্টা করবে...
আর যার ঈমান শুধু মুখে, অন্তরে নাই - সে বলবেঃ এই পড়বো, পড়া দরকার ব্লা ব্লা। কিন্তু পড়ার জন্য যে উদ্যোগ ও চেষ্টা করা দরকার সেটা কোনোদিন করবেনা।
আল্লাহ আমাদেরকে পূর্ণ ৫ ওয়াক্ত নামাযী হিসেবেই মৃত্যু দান করুন, আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৬২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগ্লো...
মন্তব্য করতে লগইন করুন