ইসলামের জঘন্য শত্রু: তুরস্কের মুস্তফা কামাল ‘আতাতুর্ক’

লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৪৬:৪৬ সকাল



মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক জন্মগ্রহণ করে ১৮৮১ সালে সালোনিকার [বর্তমানে Thessaloníki] একটি জীর্ণ কোয়ার্টারে। সে ছিল একজন ‘Doenme’ [অর্থাৎ যারা উপরে মুসলমানের লেবাস ধরে আছে কিন্তু ভিতরে ইহুদি!]। সে এবং তার পূর্বপুরুষের ছিল ‘Sabbetai Zevi’ [ভন্ড ইহুদি নবী] এর অনুসারী! এই ইহুদিগুলো [Sabbetai & Marranos] স্পেনে [+ইতালি ও আইবেরিয়ান পেনিনস্যুলা] ইনকুইজিশনের [ইউরোপকে মুসলমান ও ইহুদি মুক্ত করা] সময় অটোমান সুলতানই এদেরকে অটোমান সাম্রাজ্যে থাকার অনুমতি দেন অথচ এরা তো ইহুদি, এদেরতো চিন্তা চেতনাতেই সমস্যা! তাই যখন সুযোগ পেল তখন পিছনে ঠিকই ছুরি মারলো!!

মুস্তফা কামাল যে ইহুদি ছিল সেটা আপনি নিচের লিংকে ভিজিট করলে প্রমাণ পাবেন:

http://www.youtube.com/watch?v=dzZQ2MG2fPc

http://eyeforknowledge.wordpress.com/2012/06/12/was-mustafa-kemal-ataturk-jewish-andor-subservient-to-jewish-world-agenda/

http://radioislam.org/ataturk/jewish.htm

শেষের দিকের অটোমান/উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতানরা ইহুদিদের কাছে থেকে প্রচুর পরিমানে সুদে অর্থ ঋণ নিতে থাকে, যদিও ইসলামে এটা কবীরা গুনাহের মধ্যে অন্যতম। [এটা এতবড় গুনাহ যে যারা সুদ খাবে তারা যেন আল্লাহ ও তাঁর নবী/রসুলের সাথে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত থাকে। শেষ বিচারের দিন ফেরেশতারা সুদখোরের হাতে তলোয়ার তুলে দেবেন এবং বলবেন এখন তলোয়ার দিয়ে আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালার সাথে যুদ্ধ কর!!] অবস্থা এমন হয় যে পুরো তুরস্ক ঋণে জর্জরিত ও ডুবন্ত। দেউলিয়া পনার কাছাকাছি। সেই সময় খলিফা হন সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ। তিনি তার সততা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইহুদিদের ঋণের অনেকটাই পরিশোধ করে দেন।

ইহুদিরা শেষ খলিফা দ্বিতীয় আব্দুল হামিদের কাছে প্রস্তাব দেয়, তাদেরকে যদি ফিলিস্তিন দিয়ে দেয়া হয় তবে তারা তাদের ঋণ পরিশোধ বলে গণ্য করবে! খলিফা ঘৃণাভরে তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

তুরস্কের সুলতান আবদুল হামিদকে অপসারণের খবর তাকে (খলিফা আবদুল হামিদ) দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান তাওফিক পাশাকে ডাকা হয়। কিন্তু তিনি সেটা প্রত্যাখ্যান করেন। তাই তারা চারজনের একটি দল খলিফার কাছে পাঠায়: আরেফ হিকমাত, আরাম আফান্দি [একজন আর্মেনীয় নাগরিক], আসাদ তোবাতানি এবং এমানুয়েল ক্রাসো [আশকেনাজি ইহুদি]! যখন তারা খলিফার অফিসে প্রবেশ করলেন, তারা তাকে শান্তভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখলো, আরেফ হিকমাত তাকে তাদের মতামত শোনালো করার সময় তার অফিসে তিন জন যায় এবং জানায় যে জাতি তার শাসন আর চায় না।

আবদুল হামিদ রেগে গেলেন এবং বললেন:

“জাতি আমাকে আমার অফিস থেকে সরিয়ে দিয়েছে সেটা ঠিক আছে ..... কিন্তু কেন তুমি খলিফার অফিসে ইহুদিকে নিয়ে এসেছো” এবং তিনি ইমানুয়েল কারাসো এর দিকে ইশারা করলেন।

এটার মাধ্যমে ইহুদিরা খলিফা আবদুল হামিদকে দেখালো যে তুমি তো আমাদের তখন ফিলিস্তিন দিলে না, এখন দেখ তোমাকে আমরাই তোমার অফিস থেকে বহিস্কার করলাম এবং ফিলিস্তিন আমরা নিয়েই ছাড়বো!!

মুস্তফা কামাল ‘আতাতুর্ক’-এর সাথে ফ্রিমেইসনদের সংযোগ আছে। এটা জানতে নিচের লিংক ভিজিট করুন:

http://radioislam.org/ataturk/jewish.htm [একটু নিচের দিকে পাবেন]

কামাল ‘আতাতুর্ক’ এর জঘন্য বক্তব্য ও কাজ-কর্ম:

১. সে আরবি আল্লাহ নামের পরিবর্তে ‘তানরি’ নামের প্রচলন করে। তুরস্কের মুসলিমরা ১৩০০ বছর ধরে সৃষ্টিকর্তাকে আল্লাহ বলে জেনে এসেছে আর সে আল্লাহর পরিবর্তে ‘তানরি’ শব্দের প্রচলন করে, যেটার মানে তুর্কি ভাষায় সৃষ্টিকর্তা।

২. কামালের কর্ম জীবনের প্রথম দিকে তার বেশিরভাগ অনুসারীর ধারণা ছিল যে সে খৃষ্টানদের বিরুদ্ধে ইসলামের পক্ষে যুদ্ধ করছে। তাই তারা তাকে উপাধি দিয়েছিল ‘গাজী, খৃষ্টানদের ধ্বংসকারী’। তারা যদি তার সত্যিকারের পরিকল্পনা জানতো তবে তারা তাকে উপাধি দিত “গাজী, ইসলামের ধ্বংসকারী”।!

৩. সে বলেছিল, “ইসলাম, এই ধর্ম অনৈতিক আরবদের, এটা মৃত। এটা মরুভূমির বেদুঈনদের জন্য উপযুক্ত। এটা আধুনিক প্রগতিশীল রাষ্ট্রের জন্য কোন কাজের না।”

৪. “আল্লাহ ওহী! আল্লাহ বলে কেউ নেই। এটা একটা শিকল যেটার মাধ্যমে মৌলভীরা এবং খারাপ শাসকেরা লোকজনকে বাধ্য করে রাখতো।”

৫. কামাল একদিন আনাতোলিয়াতে সৈনিকদের পর্যবেক্ষণে গিয়েছিল। সে সেখানে জিজ্ঞাসা করে, “সৃষ্টিকর্তা কে এবং কোথায় সে বাস করে?” সৈনিকটি তাকে খুশি করার জন্য বললো, “সৃষ্টিকর্তা মুস্তফা কামাল পাশা। সে আংগোরায় থাকে।” কামাল জিজ্ঞাসা করলো, “এবং আংগোরা কোথায়?”

“আংগোরা ইস্তাম্বুলে” সৈনিকটির উত্তর!!

৬. সে তুরস্কের দূরবস্থার জন্য আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা ও পবিত্র কুরআনকে দায়ী করে।

৭. পবিত্র কুরআন সম্পর্কে সে বলেছে, “আমরা আকাশ থেকে আমাদের আইন গ্রহণ করিনা।”

৮. সে মসজিদের মধ্যে কার্পেট উঠিয়ে মত কাঠের বেঞ্চ বসায় যাতে মুসলমানরা নিজেদের মত করে ইবাদত করতে না পারে অর্থাৎ সালাত আদায় না করতে পারে।

৯. সে খৃষ্টানদের প্রতি এতই অনুরক্ত ছিল যে সে বলতো, যদি তুরস্কের লোকজন মুসলমান না হয়ে খৃষ্টান হতো!!

১০. সে মেয়েদের পাবলিক প্লেসে হিজাব পরা রহিত করে।

১১. মসজিদের ১৩০০ বছর ধরে মুসলিমরা খালি পায়ে আসে অথচ সে খৃষ্টানদের প্রতি আসক্তির কারনে মসজিদে জুতা পরে আসার প্রচলন করে।

১২. সে তুর্কি ভাষায় আজান ও কুরআন তিলাওয়াত করার প্রচলন করে, আরবি ভাষায় এসব করা রহিত করে। কারণ তার দৃষ্টিতে আরবি অনৈতিক আরব বেদুইনদের ভাষা!

১৩. সে ছিল একজন মেয়েখোর। সে সুন্দরী মেয়ে দেখলে নিজেকে ধরে রাখতে পারতো না। সে কারণে তার নিজের নিকট জন তাদের স্ত্রী ও মেয়েদের কামালের কুদৃষ্টি থেকে দূরে রাখতো

১৪. সে ছিল উন্মত্ত মাতাল, অতিরিক্ত মদ পানের কারণে লিভার সিরোসিসে সে মারা যায়

১৫. সে তুরস্কের নারীদের পরপুরুষের সাথে [খৃষ্টান] শরীরের সাথে শরীর ঘেষে পাবলিক প্লেসে নাচ করার উৎসাহ দেয়। যখন এর বিপরীতে তখনকার তুরস্কের শায়খুল ইসলাম বলেন, তুরস্কের নারীদের এভাবে পরপুরুষের সাথে নাচা মানায় না, তখন কামাল তার দিকে পবিত্র কুরআনে ছুড়ে মারে!

১৬. একবার এক পার্টিতে গান বাজনা চলছিল আর সে সময় নামাজের সময় হয়ে গিয়েছিল। মুয়াজ্জিন আযান দিচ্ছিলেন। মুয়াজ্জিনের আযানের কারনে তার পার্টির গান বাজনায় ছেদ পড়ছিল এতে সে খুব ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং নির্দেশ দেয় যেন ঐ মসজিদের মিনার ভেঙ্গে ফেলা হয়!!

১৭. তার সুন্দর বালকদের প্রতি কামুক ভাব ছিল!

১৮. সে ইউরোপের খৃস্টানদের মত নামের শেষে পরিবারের নাম [Surname] যোগ করার নিয়ম চালু করে। সে নিজে নিজের Surname ‘আতাতুর্ক [তুর্কি জাতির জনক]’ লাগিয়ে নেয়!

১৯. সে ৩রা মার্চ ১৯২৪ সালে খিলাফত বিলুপ্ত করে দেয় এবং শেষ খলিফা আবদুল হামিদ ও তার পরিবারকে সুইজারল্যান্ডে নির্বাসিত করে!

মুস্তফা কামাল সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকগুলো ভিজিট করতে পারেন:

http://radioislam.org/ataturk/jewish.htm

http://radioislam.org/islam/english/index_asia.htm

বিষয়: বিবিধ

৪২৮৮ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

172319
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ তথ্যপুর্ন পোষ্টটির জন্য। কামাল আতাতুর্ক ফ্রিম্যাসন ছিলেন। কামাল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ-ফ্রেন্চ বাহিনীকে গ্যালিপোলিতে পরাজিত করার কৃতিত্ব দাবি করেন। যদিও সে সময় ছিলেন তিনি একজন মেজর মাত্র। স্থল যুদ্ধে অবশ্যই তার কিছু কৃতিত্ব ছিল কিন্তু সর্বময় কৃতিত্ব তার নয়। বিশেষ করে নৈীযুদ্ধে তার কোন অংশগ্রহনই ছিলনা। কিন্তু মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে তিনি নিজেকে বীর হিসেবে তরুনদের কাছে উপস্থাপন করেন।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩১
126052
গৃহস্থের কইন্যা লিখেছেন : আপনি বলছেন এই কথা!! কিন্তু তুরুস্কের জনগন মোস্তফা কামালকে "আতাতুর্ক(জনক) বলে। তা হলে আমরা কার কথা বিশ্বাস করব! আপনাকে? নাকি তুরুস্কের আমজনতাকে??
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫০
126053
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : তুরুস্কের আমজনতা নয় বরং সরকারী উদ্যোগে তাকে আতাতুর্ক বা জাতির পিতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। যেমন আমাদের দেশে জোড় করে সকলেরউপর জাতির পিতা চাপান হচ্ছে। আপনি কিছুই না জেনে সর্বজান্তার ভান না করে অন্ততপক্ষে উইকিপিডিয়াতে এই সংক্রান্ত এন্ট্রিগুলি পড়ুন।
172321
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
হতভাগা লিখেছেন : ইহুদীরা অভিশপ্ত আর খৃস্টানরা পথভ্রষ্ট
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:২৫
126050
গৃহস্থের কইন্যা লিখেছেন : তাহলে সুপথে থাকা মুসলমানদের এই শোচনিয় দশা ক্যান?
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৮
126061
হতভাগা লিখেছেন : এটা আল্লাহর তরফ থেকে তার প্রিয় বান্দাদের জন্য পরীক্ষা । আল্লাহর উপর সঠিকভাবে ঈমান এনে , আল্লাহর মদদে ধৈর্য্য ধরে এগুলে - পুরষ্কার আসবে আল্লাহর তরফ থেকে ।

দুনিয়াতে কাফের - মুশরিকদের জৈলুশ পূর্ণ অবস্থানের মানে এই নয় যে আল্লাহ তাদের উপর খুশি । আল্লাহ তাদেরকে তাদের গোমরাহির মধ্যে বাড়তে দেন এবং শয়তানও তাদেরকে ফুসলাতে থাকে - ফলে যে সব অন্যায় ও পাপ কাজ তারা করছে তা তাদের চোখে ভালই মনে হয় । শয়তান তাদের দৃষ্টিতে তাদের এই কাজগুলোকে ভাল রুপে তুলে ধরে ।

আর মুসলমানরা খুন হীনদীন অবস্থায় আছে - তার মানে এই নয় যে আল্লাহ তাদের উপর নারাজ । কারণ , যাকে ইচ্ছা আল্লাহ প্রচুর দেন আবার যাকে ইচ্ছা কমিয়ে দেন । যাকে ইচ্ছা আল্লাহ শাস্তি দেন , আর যাকে ইচ্ছা আল্লাহ শাস্তি দেন না । এগুলো একমাত্র আল্লাহর একচ্ছত্র ক্ষমতা । তিনি পরম করুণাময় , অশেষ ক্ষমাশীল ; আবার কঠোর শাস্তিদাতাও ।

কাফেরদের লক্ষ্য দুনিয়া আর মুসলমানদের লক্ষ্য আখেরাত ।

যাদের কাছে দুনিয়াই প্রিয় আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়াতেই দিয়ে দেন , আখেরাতে তার কোন অংশ থাকে না ।

আর মুসলমানদের কাছে দুনিয়ার চেয়ে আখেরাতই বেশী প্রিয় । এবং সে জন্যই সে আখেরাতে কামিয়াব হবার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যায় ।

দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী । আখেরাতের জীবন শেষ হবার হয় ।

কোন টা চান - ক্ষণস্থায়ী লাভের বিনিময়ে দীর্ঘস্থায়ী লোকসান , না কি

ক্ষণস্থায়ী লোকসানের বিনিময়ে দীর্ঘস্থায়ী লাভ

The path has been shown , choice is your's .

172337
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
বেআক্কেল লিখেছেন : সুন্দর ও তথ্যবহুল পোষ্ট। অনেক ধন্যবাদ।
172345
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:২৯
গৃহস্থের কইন্যা লিখেছেন : আপনি বলছেন এই কথা!! কিন্তু তুরুস্কের জনগন মোস্তফা কামালকে "আতাতুর্ক(জনক) বলে। তা হলে আমরা কার কথা বিশ্বাস করব! আপনাকে? নাকি তুরুস্কের জনগন কে??
172349
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩৭
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : তথ্যবহুল লেখা।
অনেক সত্য ইতিহাস জানতে পারলাম।
অনেক ধন্যবাদ।
172450
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৯
আহমদ মুসা লিখেছেন : ২০১২ সালের রমজান মাসে পবিত্র হারাম শরীফে এক তুর্কী দম্পতির সাথে আমার পরিচয় হয়। স্বামী ডাক্তার এবং স্ত্রী ইংরেজীর মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষিকা। সাথে স্কুল পড়ুয়া তাদের একমাত্র ছেলে সন্তানও ছিল। তারা আমার মত ওমরাহ পালনের জন্য মক্কা গমন করেছে। তাদের সাথে আলাপ প্রসঙ্গে জানতে পারলাম মোস্তফা কামাল আতাতুর্ককে তুর্কী জনগন অত্যন্ত ঘৃণা করে। আধুনিক পৃথিবীর বুকে তুর্কীদের প্রভাব প্রতিপত্তি কার্যকরভাবে বিস্তার করতে না পারার পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে তথাকথিত তুর্কীদের স্বঘৌষিত জনক ইয়াহুদীর সন্তান ছদ্মবেশী মোস্তফা কামালই দায়ী। কামালের তসনস করে দেয়া তুর্কী সমাজ ব্যবস্থার যতদিন পর্যন্ত না পূর্নাঙ্গভাবে ইসলামের দিকে প্রত্যবর্তন না হবে ততদিন এই শয়তানটার আসল মুখোশ বিশ্ববাসীর কাছে পরিস্কার করা যাবে না। কারণ এখনো পর্যন্ত তুরুস্কের রাষ্ট্রীয় সংবিধান ও দেশ পরিচালনার যাবতীয় আইন কানুন অনেকটাই মোস্তফা কামালের বশংবদদের হাতেই নিয়ন্ত্রিত হয়।
তুর্কী এই দম্পতির কথা শুনে আমার দেশের কথাই মনে পড়লো। আমাদের দেশে এখন সব কিছু এক ব্যক্তির স্বপ্ন বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। আইন করে উক্ত ব্যক্তির সমালোচনা না করার বিধান করা হয়েছে। অথচ এই ব্যক্তির করুণ মৃত্যুর পর দেশের মানুষ জায়নাজার নামাজের পরিবর্তে শোকরানার নামাজ পড়েছিল। যদি কোন সময় নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান অবৈধ সরকারকে গতি থেকে উৎখাত করা যায় তবে হয়তো উক্ত ব্যক্তির ব্যাপারেও সঠিক অবস্থান ও তার প্রাপ্য মান মর্যাদা নির্ধারণ করবে দেশের জনগন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File