মহিষের পূর্ণ জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন বাংলাদেশ ও চীনের বিজ্ঞানীরা

লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ২৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:০৮:১৪ বিকাল



বাংলাদেশ ও চীনের বিজ্ঞানীরা সম্মিলিত উদ্যোগে মহিষের পূর্ণ জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন।

বাংলাদেশের লাল তীর লাইভস্টক ও গণচীনের বেইজিং জেনম ইনস্টিটিউটের (বিজিআই) যৌথ উদ্যোগে ‘মহিষের পূর্ণ জীবন রহস্য উন্মোচন’ প্রকল্প পরিচালিত হয়।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলের বল রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চীনের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের এ অভাবনীয় আবিষ্কারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রকল্পে জীববিজ্ঞানী, বায়ো-ইনফরমেটিশিয়ান ও তথ্য-প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে গঠিত একদল গবেষক মহিষের জেনোম উপাত্ত থেকে জৈবিক উপাদান শনাক্ত ও বিশ্লেষণ করেছেন। এ গবেষণায় পাওয়া উপাত্তগুলো মহিষের উন্নত ও অধিক উৎপাদনশীল জাত উন্নয়নে সহায়ক হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত উজ্বল। দেশের যে বিজ্ঞানীরা মহিষের পূর্ণ জীবন রহস্য উদঘাটনে ভূমিকা রেখেছেন, তাদের কাছে আমরা সবাই কৃতজ্ঞ।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন বলেন, এশিয়ার এ অংশের পরিবেশ ও আবহাওয়া মহিষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ গবেষণায় ভূমিকা রেখেছেন চায়নিজ বিজ্ঞানীরাও। যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করলে বড় কিছু করা যায়।

গবেষণা কাজে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ দলের প্রধান লাইভস্টক গবেষক মনিরুজ্জামান বলেন, মহিষ বাংলাদেশের প্রাণীজ আমিষের একটি বৃহৎ উৎস। দেশের প্রাণীজ আমিষের মূল যোগানদাতাদের মধ্যে মাংস ও দুধের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে মহিষ পালন থেকে। বাংলাদেশের উপকূলীয় ও নদী বিধৌত অঞ্চলে মহিষ পালন করা হয়। সারা বিশ্বে বিশেষত ভারত ও পাকিস্তানে মহিষ খামারে পালন করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো মহিষ সনাতন পদ্ধতিতে পালন করা হয়। আমাদের দেশে মহিষের খামার গরুর খামারের তুলনায় বেশি লাভজনক। কারণ গরুর তুলনায় মহিষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। গরুর তুলনায় মহিষের মাংস-দুধও বেশি পুষ্টিকর। মহিষের দুধে স্নেহজাতীয় পদার্থের পরিমাণ প্রায় ৮ শতাংশ, যেখানে গরুর দুধে এর পরিমাণ ১ থেকে ৩ শতাংশ। মহিষের মাংসে তুলনামূলক চর্বিও অনেক কম। এছাড়াও মাথাপিছু মাংস ও দুধ উৎপাদনশীলতায় মহিষ গরু থেকে অধিকতর উৎপাদনশীল।

বিজ্ঞানী ড. মনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ মহিষ পালনে এশিয়ায় নবম স্থানে। দেশে মহিষের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। এফএও-এর এক গবেষণায় পাওয়া যায়, বাংলাদেশে দৈনিক মাথাপিছু দুধের চাহিদা ২৫০ গ্রাম। কিন্তু সরবরাহের পরিমাণ মাত্র ৩০ গ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী দেশে মাথাপিছু মাংস সরবরাহের পরিমাণ বছরে মাত্র ৭ দশমিক ৪৬ কেজি। যেখানে চাহিদা ৮০ কেজি হওয়া দরকার।

বিষয়: বিবিধ

১৫৭৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

167313
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:২০
বড়মামা লিখেছেন : সুন্দর ভালো লগলো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
167401
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪২
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : সুন্দর লেখা।
আমার দেশে এমন বিজ্ঞানী আছে বলে নিজেদেরকে ধন্য মনে করি।
তবে, তারা কি সম্মান পাবে আমার দেশে? নাকি ডঃ ইউনুসের অবস্থা হবে?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File