মৃত্যুর পর মানুষকে কতদিন কবরে থাকতে হবে?

লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ২১ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৬:২৮:০১ সন্ধ্যা



মানুষের শরীর থেকে রুহ আলাদা হয়ে যাওয়ার নাম মৃত্যু। মৃত্যুর পর মানুষের জন্য নতুন একটি জীবন শুরু হয়; যার নাম বারযাখ। এটি দুনিয়া ও কেয়ামতের মধ্যবর্তী সময়।

এ সময় কতটা দীর্ঘ হবে তা সঠিকভাবে বলা মুশকিল। তবে যখন বিচারের দিন বা কেয়ামত এসে উপস্থিত হবে তখন সব রুহকে উপস্থিত করা হবে। প্রত্যেক মানুষের শরীরের সঙ্গে রুহ বা আত্মাকে সংযুক্ত করে কেয়ামতের ময়দানে উপস্থিত করা হবে।

এ সম্পর্কে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের সুরা কাহাফের ৯৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন: “আমি সেদিন তাদেরকে দলে দলে তরঙ্গের আকারে ছেড়ে দেব এবং তখন শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে। অতঃপর আমি তাদের সবাইকে একত্রিত করে আনব।”

এ ছাড়া, মহান আল্লাহ সুরা ইয়াসিনের ৫১ নম্বর আয়াতে বলেন: “যখন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে,তখন মানুষ কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে আসবে।”

পবিত্র কুরআনের এ দুই আয়াত থেকে এটা স্পষ্ট যে, যখনই শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে তখনই কিয়ামতের কঠিন দিন শুরু হয়ে যাবে। আর এসব আয়াতে গভীরভাবে মনোনিবেশ করলে এটাও প্রতীয়মান হয় যে, কিয়ামতের দিন শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত মানুষকে বারযাখের জীবন কাটাতে হবে। অবশ্য দুনিয়ার জীবনের মৃত্যুর পর মাটির তৈরি মানবশরীর মাটিতে মিশে যাবে। কিন্তু তার রুহ বা আত্মাই শুধু বারযাখের জীবনযাপন করবে। রুহ বা আত্মার কোনো মরণ নেই। এ কারণেই মানুষ মারা গেলে আমরা বলি ইন্তেকাল (স্থানান্তর হওয়া) করেছেন। অর্থাত একজন মানুষ দুনিয়ার জীবন থেকে বারযাখের জীবনে স্থানান্তর হয়েছেন মাত্র।

বিষয়: বিবিধ

১৬৫২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

165479
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৫
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে মৃত্যু দেয়ার পূর্বেই জান্নাতের উপযোগি করুন। আমীন
165506
২১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:২৩
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ভালো লাগলো
165590
২১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৯
তায়িফ লিখেছেন : রুহ হচ্ছে এক প্রকার শক্তি। আর বিজ্ঞান বলে যে, শক্তির কোন ক্ষয় নাই। শক্তির শুধু অবস্তার পরিবর্তন হয়। আমাদের মাটির তৈরী দেহ থেকে রুহ চলে যায়। কেয়ামতের দিন আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে। এই সহজ বৈজ্ঞানি ব্যখ্যা নাস্তিকরা বুঝে না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File