হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিসের প্রতিরোধ লিংকজাই-৮ ও ক্যানসার প্রতিরোধক বি-ডি গ্লুকেন রয়েছে মাশরুমে।
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ০২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৩:৩৯:৪৫ দুপুর
বিগত কয়েক বছর ধরে মাশরুম চাষ নিয়ে আমাদের দেশে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। শুধু চাষ নয়, মাশরুম এখন অনেকেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় পৌঁছে গেছে। যারা মাশরুম চাষ করছেন ও খাচ্ছেন, তাদের জন্য সুখবর হলো সম্প্রতি এক গবেষণায় বের হয়েছে, মাশরুম খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ বেড়ে যায়। হানোফার শহরে প্র্যাকটিস করা চীনা বংশোদ্ভূত ডা. জিয়ে হুয়াং বলেন, অনেক রোগী নানারকম মাশরুমের গুণাগুণে মুগ্ধ। এগুলোর নাম মাইটেক, পমপম, শিটেক কিংবা রাইশি। ডা. হুয়াংয়ের ভাষায়, কোনো কোনো মাশরুম লিভারের জন্য ভালো। কফ, কাশি দমনে সাহায্য করে। কাজ করে সংক্রমণ প্রতিরোধী হিসেবে। হাঁপানি, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, রক্ত জমাট বাঁধা কিংবা বহুমূত্র রোগে মাশরুমজাত ওষুধ ব্যবহার করা হয়। জার্মানির কিছু ওষুধের দোকানে চীনা ভেষজ ওষুধও পাওয়া যায়।
রেইশি নামের মাশরুম রোগ প্রতিরোধের শক্তি বাড়ায়। কর্ডিসেপস বিষণœতা দূর করতে ও কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কোনো কোনো মাশরুম ক্যানসার প্রতিরোধী হিসেবেও কাজ করে। ৪০ বছর আগে ব্রাজিল থেকে আসা সান মাশরুমও উপকারী বলে শোনা যায়। গবেষণায় দেখা যায়, মাশরুমের ভেতর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যা মানবদেহের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জেনে রাখা ভালো, মাশরুম এক ধরনের ছত্রাক আর এন্টিবায়োটিকের অগ্রদূত পেনিসিলিনও ছত্রাক থেকেই তৈরি। মাশরুম থেকে পাওয়া সাইক্লোস্পরিন ছাড়া প্রতিস্থাপন চিকিৎসার কথা চিন্তাই করা যায় না। ছত্রাকে রয়েছে অসংখ্য জটিল মলিকিউল বা অণু। কাঁচা অথবা রান্নাকৃত মাশরুম সাধারণত ক্যালরিযুক্ত খাদ্য হিসেবে স্বীকৃত। কাঁচা অবস্থায় এতে ভিটামিন বি খাদ্যপ্রাণ থাকে যাতে রিবোফ্লোবিন, নায়াসিন এবং প্যান্টোথেনিক এসিড থাকে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান যথাÑ সেলেনিয়াম, কপার এবং পটাসিয়াম থাকে। মাশরুমে চর্বি, শর্করা, ভিটামিন, মিনারেল ও ক্যালরির এমন সমন্বয় রয়েছে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও শর্করা ও চর্বির পরিমাণ কম থাকায় এবং আঁশ বেশি থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। দেহের কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ইরিটাডেনিন, লোভাস্টটিন ও এনডেনিন মাশরুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। এ কারণে এটি হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন ডি রয়েছে, যা দাঁত ও হাড় শক্তিশালী করতে কার্যকরী। ফলিক এসিড ও লোহা পর্যাপ্ত থাকায় এটি দেহের রক্ত শূন্যতা দূর করতেও সাহায্য করে। হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিসের প্রতিরোধ লিংকজাই-৮ ও ক্যানসার প্রতিরোধক বি-ডি গ্লুকেন, ল্যাম্পট্রোল, টারপিনওয়েড ও বেনজোপাইরিন রয়েছে মাশরুমে। এক মাশরুমে যখন এত পুষ্টিগুণ তবে কেন আমরা মাশরুম খাব না। আসুন আজ থেকেই মাশরুম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি ও অন্যকেও উৎসাহিত করি। -
বিষয়: বিবিধ
১৭৫১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ্ আপনার ভালা করুক,
মন্তব্য করতে লগইন করুন