ইহুদিবাদী পেরেজের গোপন সভায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ২৯টি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৬:১১:১২ সন্ধ্যা



আবুধাবিতে দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ২৯টি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদদের এক সমাবেশে গোপনে ভাষণ দিয়েছেন ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ।

ইসরাইলি দৈনিক ‘ইয়েদিয়োথ অহরোনোথ’ আজ (সোমবার) এই খবর দিয়েছে বলে লেবাননের আলমানার টেলিভিশনের ওয়েবসাইট (আজ) জানিয়েছে।

মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের এবং বিশেষ করে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল ও আরব লিগভুক্ত ২৯ টি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক সমাবেশে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন পেরেজ। সৌদি রাজা আবদুল্লাহর ছেলেও ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

মুসলমানদের প্রথম কিবলার শহর বায়তুল মোকাদ্দাস বা জেরুজালেমে নিজ দপ্তর থেকে বক্তব্য রাখেন পেরেজ। তার পেছনে ছিল ইসরাইলের পতাকা।

পেরেজের সামনে মুখোমুখি বসে ছিলেন জাতিসংঘের উপমহাসচিব টি. লারসেন ও ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি আলোচনার বিষয়ে বিশেষ মার্কিন দূত মার্টিন ইন্ডিক। লার্সেন পেরেজকে নানা প্রশ্ন করেন এবং পেরেজ সেসব প্রশ্নের জবাব দেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পক্ষ থেকে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট পেরেজকে প্রশ্ন করার বা তার উদ্দেশে কথা বলার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

আরব লিগের সব পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিশেষ করে, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, ইয়েমেন ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বলে ইসরাইলি দৈনিকটি জানিয়েছে। এ ছাড়াও সেখানে ছিলেন বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আরো কয়েকটি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এই গোপন বৈঠকের আয়োজক-সংঘটকদের আগেই এ শর্তও দেয়া হয়েছিল যে পেরেজের বক্তব্য ফাঁস বা প্রকাশ করা হবে না এবং কেবল এ শর্তেই তিনি এই গোপন সভায় বক্তব্য রাখবেন।

দৈনিকটি আরো জানিয়েছে, " বৈঠকের আয়োজক ছিল আরব আমিরাত এবং ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট পেরেজকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এমন একটি সময়ে অভিন্ন শত্রু ইরানের মোকাবেলায় ইসরাইলের সঙ্গে সুসম্পর্কের বা বন্ধুত্বের গুরুত্ব তুলে ধরা হল।”

এই গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক টাইমসের প্রধান বিশ্লেষক থমাস ফ্রাইডম্যান। তিনি জানিয়েছেন, এ বৈঠকে পেরেজ নানা ইস্যু সামাল দিয়েছেন। পেরেজ জোর দিয়ে বলেছেন, “ ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় ফ্যাক্টর বা চালিকাশক্তি হতে পারে এবং পারমাণবিক ইরান ও মৌলবাদী ইসলামের বিরুদ্ধে সংগ্রামের অভিন্ন লক্ষ্যে সংলাপের একটি সুযোগ রয়েছে।” এ ছাড়াও পেরেজ বিশ্ব শান্তির ব্যাপারে ওই বৈঠকে নিজের মতামত তুলে ধরেন বলে ফ্রাইডম্যান জানান।

মুসলমানদের প্রথম কেবলা দখল করে রাখা জালিম ইহুদিবাদী নেতারা যখন অবৈধ ইহুদি বসতি জোরদারের মাধ্যমে ফিলিস্তিনে জবর দখল পাকাপোক্ত করাসহ নানা ধরনের নৃশংস হামলা আর আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে তখন একটি ইসলামী দেশের অগ্রগতি ঠেকানোর জন্য মুসলমান, খ্রিস্ট ও ইহুদি ধর্মসহ সব ঐশী ধর্ম এবং মানবতার জাত শত্রু ইহুদিবাদীদের সঙ্গে কথিত মুসলিম সরকারি কর্মকর্তাদের এই বৈঠকের খবর অপ্রত্যাশিত হলেও নজিরবিহীন ঘটনা নয় বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন।

বিষয়: বিবিধ

৯৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File