দাওয়াত ও জিহাদ ইসলামের টিকে থাকার মূল চালিকা শক্তি, যা মহান আল্লাহ্ কখনও কখনও অক্ষম ব্যক্তিদের দিয়েও করান।
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১০:৫৭:১২ সকাল
এশার নামায পড়তে গেছি মসজিদে। আমার পাশে এসে তিনজন লোক বসল। তাদের মধ্যে একটা ছেলে এত্ত সুন্দর !! অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম কিছুক্ষন। মানুষ এত্ত সুন্দর হতে পারে? দাড়ী টুপি পড়নে ওয়ালা পাঞ্জাবী পড়নে ওয়ালা ছেলে তো আরে অনেক আছে, কিন্তু এত্ত সুন্দর ছেলে আমি খুব কমই দেখেছি।
খুবই আগ্রহ সহকারে তার দিকে সালাম দিয়ে হাতটা বাড়িয়ে দিলাম, সেও হাতটা বাড়িয়ে দিলো। মোসাহাফা হলো, বিশ্ময়কর একটা হাসি দিয়ে কর্দমদন করলো। যখনই তার নাম জিজ্ঞেস করলাম প্রচন্ড একটা ধাক্কা খেলাম !!! ছেলেটা ভাষা ও শ্রবন প্রতিবন্দী !!!!
নামায শুরু হলো, কিন্তু কিছুতেই যেন নামাযে মনযোগ দিতে পারছিলাম নাহ, মনের গভীর থেকে একটা আস্ফালন বার বার বেড়িয়ে যেতে চাইছে "আল্লাহ সবাইকে সব কিছু দেন না"।
নামায শেষ করে জানতে অপর এক জনের সাথে জানতে পারলাম মসজিদে একটি বোবাদের জামাত এসেছে। আল্লাহু আকবার !!
মুখের ভাষা নেই, নেই শব্দ শুনার অনুভুতি, তবুও দ্বীন প্রচারে পিছিয়ে নেই। জামাতের অনুবাদক বুয়েটের দুই ভাই। ঐ ভাইয়ের সাথে কথা বলে জানা গেলো, প্রথমে বোবাদের ইশারা বুঝে এমন কয়েকজন ভাই বধিরদের মধ্যে দ্বীনি মেহনত করে তাদের আমলের উপর তোলেন। তারপর বধির সংস্থার কিছু ভাইদের মধ্যে এই মেহনতকে ছড়িয়ে দেয়া হয়। তারা একে অপরের উপর মেহনত করে আমলী করে তোলে।
এমন অনেক বধির আছেন যে ধর্ম কি, নামায কি, রোজা কি তাই জানেন না। অথচ তারাই আজ নিজে দ্বীন শিখে বধির ও ভাষাভাষিদের মধ্যে দ্বীনি উদ্দেশ্যে ছড়িয়ে পড়ছেন। আল্লাহু আকবার, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে তাবলীগের পক্ষেই এটা সম্ভব। তারা সকল শ্রেনীর মুসলিম ও অমুসলিমের মধ্যে দ্বীনের দাওয়াত পৌছে দিচ্ছে।
আমাদের মধ্যে আল্লাহ যাদের কথা বলার শুনার ক্ষমতা দিয়েছেন, তারা যদি নিজের দ্বীনের জন্য কিছু না করে ঐ সব ভাইদের সমালোচনা করেন কষ্ট লাগে তখন। এমন বিবেবকহীনতা আল্লাহ সইবেন না। নিজেরা যেটা না পারেন অন্যকে তা করার জন্য খোটা বা বিদ্রুপ করবেন না।
আল্লাহ আমাদের সকলকে দাওয়াতের মেহনেতর সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার তৌফিক দান করুন। - আমীন
বিষয়: বিবিধ
১৫৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন