বিটিসিএলের ৭ বছরের ডাটা উধাও

লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১১:১৩:৫০ রাত



রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ডাটা প্রসেসিং স্টোর থেকে গত সাত বছরের ডাটা খোয়া গেছে। এর মধ্যে আছে বিল, রুট ও পিএমআর রেজিস্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এসবের ভিত্তিতেই সরকারি রাজস্ব হিসাব করে তা আদায় করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিটিসিএলের কাছে এসব নথি চাইলে বিষয়টি ধরা পড়ে। অবৈধ ভিওআইপির ঘটনা তদন্তের স্বার্থে কমিশন সাত বছরের নথি চাইলে সেগুলো তাদের স্টোরে সংরক্ষণ নেই বলে জানায় বিটিসিএল।

বিটিসিএল জানিয়েছে, ২০০৬ সালের জুন থেকে ২০১২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের ডাটা হারিয়ে গেছে। সে সময় শেরেবাংলা নগরে বিটিসিএলের ডাটা প্রসেসিং স্টোরের দায়িত্বে ছিলেন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পরিচালক (রাজস্ব-১) গুলশান আরা বেগম। ভিওআইপি মামলার আলামত নষ্ট করতেই এসব ডাটা সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিটিসিএল থেকে একটি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব ডাটা সামারিতে বৈদেশিক কলের তথ্য ও রুট সামারি সংরক্ষণ ছিল।

তবে তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন গুলশান আরা বেগম। তিনি বলেন, কেউ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এসব তথ্য ছড়াচ্ছে। তবে সাত বছরের ডাটা খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।

জানা গেছে, হিসাবরক্ষণ অফিসের ডাটা খোয়া গেলেও রুমটি তালাবদ্ধ ও দরজা অক্ষত ছিল। তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে এসব ডাটা বাইরে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব ডাটা সরিয়ে ফেলায় প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হওয়ারও সুযোগ রয়েছে।

অবৈধ ভিওআইপির মাধ্যমে প্রায় ২০৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৫ নভেম্বর রমনা থানায় পাঁচটি মামলা করে দুদক। বিটিসিএলের পাঁচ কর্মকর্তা ও বিদেশী ক্যারিয়ার-সংশ্লিষ্ট নয়জনকে এসব মামলায় আসামি করা হয়। এর আগে গত বছরের ২১ অক্টোবর ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিটিসিএলের কর্মকর্তাসহ চারজনকে আসামি করে সাবিল আইটির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। আর চলতি বছরের ২৯ আগস্ট প্রায় ৬০৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিটিসিএলের বর্তমান ও সাবেক পাঁচ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাসহ ২২ জনকে আসামি করে চারটি মামলা করে দুদক।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদেশ থেকে প্রতিদিন আসা ফোনকলের মাত্র ১৩ শতাংশের তথ্য কল ডাটা রেকর্ডে (সিডিআর) সংরক্ষণ করা হয়। বাকি ৮৭ শতাংশের কোনো রেকর্ড নেই।

সিংহভাগ তথ্য সংরক্ষণ না করার মাধ্যমে অভিযুক্তরা প্রতি বছর বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে মনে করছেন দুদক কর্মকর্তারা। বৈদেশিক ক্যারিয়ারের স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগসাজশে বিটিসিলের এসব কর্মকর্তা বিদেশ থেকে আসা সিংহভাগ কলের তথ্য সংরক্ষণ করেননি বলে প্রমাণও পেয়েছে দুদকের অনুসন্ধান দল।Click this link

বিষয়: বিবিধ

৯৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File