অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তির সহজ উপায়
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ২৩ নভেম্বর, ২০১৩, ০৯:২১:১৬ সকাল
গ্যাস্ট্রিক আমাদের দেশের অতিপরিচিত রোগ। প্রকৃতপক্ষে এটা কোন রোগ না। বরং কিছু বদভ্যাসের ফলাফল মাত্র। তবে যেকোনো রোগের চেয়েও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। একদিনে হয়তো পুরোপুরি নিরাময় হবেনা। কিন্তু ক্রমাগত অভ্যাসে অ্যাসিডিটি অনেকাংশেই মুক্ত থাকা যাবে।
আসুন দেখে নেই নিয়মগুলো কি কি
১। নিয়মিত প্রায় একই সময়ে দিনের ৩ বেলার খাবার গ্রহণ করুন।
২। যথাসম্ভব তৈলাক্ত খাবার বর্জন করুন। যদি একান্তই প্রয়োজন হয় তখন তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার আগে বা পরে পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তৈলাক্ত খাবার খাবার অন্তত ৩০ মিনিট পরে এক গ্লাস পানি খান।
৩। মাংস, ডিম, বিরিয়ানী, মোঘলাই, চাইনিজ খাবার যাই খান না কেন; সেটা দুপুরের মেনুতে অন্তর্ভুক্ত করুন। রাতের খাবার হালকা হওয়াই শ্রেয়। শাক-সবজি, ছোট মাছ এসব দিয়ে রাতের মেনুতে রাখুন।
৪। সাইনাসের সমস্যা না থাকলে ঠান্ডা পানি খান। খুব বেশী ঠান্ডা পানি যেন না হয়। গরম পানি না খাওয়াটাই মঙ্গলজনক।
৫। ভাত খাওয়ার কিছু সময় পূর্বে এক বা দু গ্লাস পানি খেয়ে নিন। খাওয়ার পরপরই অনেক বেশী পানি খাওয়ার প্রবণতা বর্জন করুন। ভাত খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে পানি খান।
৬। প্রতিদিন খাবারের মেনুতে অন্তত একটি হলেও যেন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থাকে তা নিশ্চিত করুন। সেটা ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করবে। অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে। এতে গ্যাস তৈরী হবেনা। যেমন- শাক-সবজি, কলা, পেপে, ঢেড়শ ইত্যাদি।
৭। সরাসরি গ্লুকোজ অর্থাৎ চিনি যথাসম্ভব কম খান। তাও যদি খেতে হয় চেষ্টা করুন চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করতে।
৮। বাজারজাতকৃত সমস্ত জুস যথাসম্ভব বর্জন করুন।
৯। অনেকেই দেশে তৈরী আইসক্রীম রাতে খাওয়ার পরে খেতে পছন্দ করেন। এটা বর্জন করাই শ্রেয়।
১০। দিনে কিংবা রাতে- খাওয়ার পরপরই আস্তে আস্তে হাঁটাচলা করতে পারেন অথবা বসে থাকতে পারেন সোজা হয়ে। খাবার গ্রহণের অন্তত ৩০ মিনিট পর বিছানা যাবেন।
নিয়মগুলো মানার চেষ্টা করুন। কিছুদিনের মধ্যেই ইতিবাচক ফলাফল পাবেন।
বিষয়: বিবিধ
১১১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন