স্বাস্থ্যের উপকারে সূর্যালোক যা উৎপাদন করে ভিটামিন ডি, এর অভাবে বেড়ে যায় ক্যান্সারের ঝুঁকি।
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ০৫ নভেম্বর, ২০১৩, ০১:০১:৫৩ দুপুর
একটু একটু করে গরমের ভাব চলে গিয়ে শীত চলে আসছে আর সূর্যালোকের মাঝে আসছে একটা মিষ্টি ভাব। ভোরের কুয়াশার জাল ছেঁড়া এই রোদ শরীরে মাখতে কে না ভালোবাসেন? এই সূর্যালোক যে আমাদের স্বাস্থ্যের উপকার করতে পারে সেটা কিন্তু অনেকেই জানেন না। আমরা এটুকুই জানি যে সূর্যের আলো থেকে শরীরে ভিটামিন তৈরি হয় কিন্তু এর বাইরে তেমন কিছু আমাদের জানা নেই। সূর্যের আলো থেকে শুধু গাছাপালাই খাদ্য পায় না, সেটা আমাদের শরীরের জন্যেও অনেক দরকারি। অতিরিক্ত রোদ থেকে স্কিন ক্যান্সার হতে পারে বটে কিন্তু পরিমিত সূর্যালোক আমাদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ভীষণ দরকার। আসুন দেখে নেওয়া যাক সূর্যালোকের কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
সূর্যালোক থেকেই তো স্কিন ক্যান্সার হতে পারে। তাহলে এটা আবার ক্যান্সার প্রতিরোধ করে কিভাবে? করে। গাছ যেভাবে সূর্যের আলোকে কাজে লাগায়, অনেকটা সেভাবে কিন্তু অনেক জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানবদেহ সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করে। ভিটামিন ডি এর সাথে ক্যান্সার রোধের সংযোগ স্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার দুই গবেষক, ডক্টর ফ্র্যাঙ্ক এবং সেড্রিক গারল্যান্ড। তারা দেখেন, রৌদ্রোজ্জ্বল নিউ মেক্সিকোতে কোলোন ক্যান্সারের প্রকোপ কম, কিন্তু নিউ ইয়র্কে বেশি। কারণ হিসেবে জানা যায়, নিউ ইয়র্কের মানুষ রৌদ্রে বেশি সময় কাটান না। এতে শরীরে সৃষ্টি হয় ভিটামিন ডি এর অভাব এবং তা থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিশেষ করে কোলোন ক্যান্সারের ঝুঁকি এভাবে বাড়ে। ভিটামিন ডি শরীরে যথেষ্ট থাকলে অনেকাংশে এই ঝুঁকি কমে যায়। আর রৌদ্রে গেলে যে শরীরে ভিটামিন ডি বাড়বে তা তো বোঝাই যায়।
আলঝেইমার্স রোগীদের জন্য উপকারী
গবেষণায় দেখা গেছে, দিনের বেশ কিছুটা সময় পূর্ণ রৌদ্রালোকের উপস্থিতি এবং রাত্রে অন্ধকারের উপস্থিতি আলঝেইমার্সের কয়েকটি উপসর্গ সারিয়ে তুলতে সক্ষম। যেমন অস্থিরতা, ঘুম কম হওয়া এসব কমে যায়।
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এর ঝুঁকি কমায়
বিষুবরেখা থেকে যত দূরে যাওয়া যায়, এই রোগের প্রকোপ তত বেশি হয়। স্নায়বিক এই রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে ১৫ বছর বয়সের আগে। এ থেকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, জীবনের প্রথম দুই দশকে শরীরে পড়া রৌদ্রের পরিমাণ কম হলেই এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া, গর্ভাবস্থার তৃতীয় পর্যায়েও বেশি পরিমাণে রৌদ্রে গেলে এই রোগের ঝুঁকি কম হতে দেখা যায়। মায়ের শরীরের ভিটামিন ডি এর মাত্রা অনাগত সন্তানকে রাখে সুস্থ।
বিষণ্ণতার উপশম করে
সূর্যের আলোতে গেলে যে একটু মন ভালো হয়ে যায় সেটা খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই? এটা সবার ক্ষেত্রেই ঘটে। রৌদ্র এবং মেজাজের কোনও সম্পর্ক আছে কিনা তা বের করতে অনেক গবেষণা হয়েছে। একটি গবেষণায় শক্ত প্রমান পাওয়া যায় যে রৌদ্রে গেলে মস্তিষ্কে একটি অ্যান্টিডিপ্রেসান্ট এর পরিমাণ বেড়ে যায়। অর্থাৎ আমাদের ডিপ্রেশন বা বিষ%
বিষয়:
১০৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন